ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

বাকেরগঞ্জে খাল পুনর্খননে অনিয়মের অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাকেরগঞ্জ, বরিশাল

প্রকাশিত: ০০:৫১, ১৭ মার্চ ২০২৪

বাকেরগঞ্জে খাল পুনর্খননে অনিয়মের অভিযোগ

উপজেলার পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নের বড় রঘুনাথপুর এলাকায় খাল পুনর্খনন

বাকেরগঞ্জ উপজেলায় সরকারি খাল পুনর্খনন কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে খাল উন্নয়ন প্রকল্প (আইপিসিপি) আওতায় ৩৪ লাখ ৪২ হাজার টাকা বরাদ্দে কার্যাদেশ পায় মেসার্স ওয়ারিশা এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, খালটি উপজেলার পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নের বড় রঘুনাথপুর পাশ খালি খাল হয়ে আমুয়ার বাজার পর্যন্ত ১৮০০ মিটার দৈর্ঘ্য। কাজ শুরু করার পর থেকেই ঠিকাদারের খামখেয়ালি ও অনিয়মতান্ত্রিকভাবে খাল খননের অভিযোগ ওঠে। খালটি খননে ৭০ ভাগ এসকাভেটর মেশিন (ভেকু মেশিন) দিয়ে মাটি কাটার নিয়ম বাকি ৩০ ভাগ কাজ শ্রমিকদের ব্যবহারের কথা থাকলেও ব্যবহার করা হচ্ছে মাটিকাটার এসকাভেটর মেশিন (ভেকু মেশিন)।

খাল পুনর্খননের আওতায় খালটি পুনর্জীবিত ও ফসলি জমির চাষাবাদে কৃষকদের উপকারের উদ্দেশে খালটি খনন করা হচ্ছে। কার্যাদেশ অনুযায়ী খালটির জিরো পয়েন্ট থেকে উপরিভাগে স্থানভেদে কোথাও ৩০ থেকে ৪০ ফুট প্রশস্ত আর তলদেশ কোথাও স্থানভেদে ১০ থেকে ১২ ফুট প্রশস্ত এবং খালের গভীরতা ৮ ফুট থেকে ১০ ফুট করে খনন করার কথা। তবে খাল খননের মাটি কোনো প্রকার ড্রেস করা ছাড়াই ছড়ানো ছিটানোভাবে ফেলে রাখা হয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, কার্যাদেশ অনুযায়ী খাল পুনর্খননের কাজ করা হচ্ছে না। খালের এক পাশ থেকে বেশি আরেক পাশ থেকে কম আড়াআড়ি করে কিছু মাটি কেটে ড্রেস ছাড়াই পাশে ফেলা হচ্ছে। যার ফলে খালের পাশে রাখা মাটি খালেই ভেঙে পড়ছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও কয়েকজন কৃষক বলেন, খাল খনন করা হয়েছে কৃষকদের উপকারের জন্য সঠিকভাবে খনন না করায় উপকারের চেয়ে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত বেশি হচ্ছি। খালের দুই পাশের বাগান বাড়িসহ কৃষিজমি নষ্ট হচ্ছে। তাছাড়া যে পরিমাণ খাল খনন করার কথা তা করছে না ঠিকাদার। এমনকি প্রকল্পের কোনো সাইনবোর্ড লাগানো হয়নি। 
খাল খননের দায়িত্বে থাকা উপজেলা এলজিইডি উপ-সহকারী প্রকৌশলী ইব্রাহিম বলেন, মেসার্স ওয়ারিশা এন্টারপ্রাইজের মূল ঠিকাদার আউয়াল শেখ তার থেকে কন্ট্রাকে খাল খননের কাজ ক্রয় করেছেন আনিচ নামের এক ঠিকাদার। তিনি আরও বলেন, খাল খননের কাজের শতভাগ বিল ঠিকাদার পায় না। এছাড়াও খাল খননের কাজ কোনো ঠিকাদার সঠিকমতো করতে পারে না। খাল খননের অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যান। বরিশাল এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আতিকুল ইসলাম বলেন, খাল খননে কোনো অনিয়ম হলে খনন কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে।

×