ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

ধর্ষণে মা হয়েছেন বাক প্রতিবন্ধী স্কুল ছাত্রী, মেলেনি সন্তানের পিতৃপরিচয়! 

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাকেরগঞ্জ, বরিশাল

প্রকাশিত: ১৯:৪৫, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪; আপডেট: ১৯:৪৬, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

ধর্ষণে মা হয়েছেন বাক প্রতিবন্ধী স্কুল ছাত্রী, মেলেনি সন্তানের পিতৃপরিচয়! 

প্রতীকী ছবি

বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার গারুড়িয়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের সাহেবপুর গ্রামের দশম শ্রেণি পড়ুয়া বাক-প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ধর্ষণে কন্যা সন্তানের মা হয়েছেন দুই বছর আগে। এখন পর্যন্ত সন্তানের পিতৃ পরিচয় মেলেনি। 

অনুসন্ধানে জানা যায়, গারুড়িয়া ইউনিয়নের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী বাক প্রতিবন্ধী ছদ্মনাম (রেসি) একজন দিনমজুরের কন্যা। ওই স্কুল ছাত্রী রেসি বাড়িতে একা থাকেন। অসুস্থ বাবা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন থাকায় দীর্ঘদিন বাড়িতে একা বসবাস করলে ধর্ষণের শিকার হয়। ২০২২ সালে রেসি ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা হলে ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। 

তখন স্থানীয়রা অভিযোগ তুলেন স্থানীয় গ্রাম পুলিশ মিজানের বিরুদ্ধে। গ্রাম পুলিশ মিজান ওই বাড়িতে আসা-যাওয়া করতো। মিজান প্রভাবশালী হওয়ায় তখন ভুক্তভোগী পরিবার তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে ভয় পায়। 

তবে এ বিষয়ে রেসির মা জানান, আমার মেয়ের কাছে অন্তঃসত্ত্বা বিষয় জানতে চাইলে রেসি পাশের ঘরের শাহজাহান খানের পুত্র রাসেলের নাম কাগজে লিখে দেয়। তখন আমরা বাকেরগঞ্জ থানায় রাসেলের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করি। রাসেলকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠালেও ডিএনএ রিপোর্টে রাসেলের সঙ্গে রেসির কন্যা সন্তানের পিতৃ পরিচয়ের কোন মিল পাওয়া যায়নি। মামলা হলেও দুই বছরে কোন সুফল হয়নি। 

রেসির মা কান্না জড়িত কন্ঠে জনকণ্ঠকে বলেন, কয়েক মাস আগে আমার স্বামী মারা গেছেন। আমাদের সংসার চালানো এখন কষ্টসাধ্য। রেসির শিশু কন্যা আনিসার দুই বছর বয়স হয়েছে। এখন পর্যন্ত এই সন্তানের পিতার পরিচয় পাওয়া যায়নি। 

ভুক্তভোগী রেসির বড় ভাই জানান, আমার বোন ধর্ষণ ঘটনায় প্রথম থেকে স্থানীয় লোকজন অভিযোগ তুলেছিলেন গ্রাম পুলিশ মিজানের বিরুদ্ধে। মিজান এলাকায় প্রভাবশালী হওয়া আমরা তার বিরুদ্ধে মামলা করতে ভয় পেয়েছি। আমার বোনের ধর্ষককে চিহ্নিত করতে আমরা এখন আইনি প্রক্রিয়ায় আগাবো। এজন্য প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। 

এ বিষয়ে গ্রাম পুলিশ মিজানের সঙ্গে একাধিকবার কথা বলার চেষ্টা করলেও তিনি মোবাইল ফোন বন্ধ রাখেন।

 

এসআর

সম্পর্কিত বিষয়:

×