
মুন্সীগঞ্জের হিমাগারে আলু নিয়ে ভিষণ ব্যস্ততা।
ভোক্তা পর্যায়ে আলুর সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৩৭ টাকা নির্ধারণ করে মাইকিং চলছে মুন্সীগঞ্জে। জেলার ৬৯ ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় একযোগে এই মাইকিং চলে বুধবার। একই সাথে হিমাগারের স্টক নিয়েও মনিটরিং করা হচ্ছে।
খুচরা, পাইকারি এবং হিমাগার মালিকদের নিয়ে জেলা প্রশাসন বৈঠক করে দামের সমন্বয় করেছে। মুন্সীগঞ্জে এখনো ২ লাখ ৬ হাজার ৩৫৫ মেট্রিক টন আলু মওজুদ রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৭৭ হাজার মেট্রিক টন বীজ আলু।
খুচরা বাজারে কেজি প্রতি এখনো ৪৫ টাকা পর্যন্ত দামে আলু বিক্রি হচ্ছে। তবে জেলা প্রশাসক আবুজাফর রিপন জানান, তিন দিনের মধ্যে বাজার স্বাভাবিক হয়ে আসবে। হিমাগারগুলোতে বুধবার ৫৬ হাজার বস্তা আলু বাজারজাত করা শুরু হয়েছে। পুরো বিষয়টিই কঠোর নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে মতবিনিময় সভা হয়। জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবুজাফর রিপনের সভাপতিত্বে এতে আরও অংশ নেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদ এলাহী ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মো. মাসুদুল আলম। তবিনিময়ে অংশ নেন রিভারভিউ হিমাগারের মালিক ও পঞ্চসার ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফাসহ হিমাগার মালিক ও আলু ব্যবসায়ী।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুস সালাম ও কৃষি বিপণন কর্মকর্তা এবিএম মিজানুল হক প্রমুখ।
সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে খুচরা ও হিমাগার পর্যায়ে আলু বিক্রি নিশ্চিত করতে বাজার ও হিমাগারগুলোতে একযোগে তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক আবুজাফর রিপন জানান, আলু নিয়ে কোন রকম অসঙ্গতি সহ্য করা হবে না।
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফিফা খান জানান, সকাল থেকেই প্রতিটি ইউনিয়নে মাইকিং হয়। এছাড়া মনিটরিং টিম আলুর বাজার ও হিমাগার মনিটরিং করছে। ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা যায় মাইকিং চলছে হাট-বাজার এবং গ্রামে গ্রামে। আর জেলার সব কটি সচল হিমাগারেই আলু বাজারজাত নিয়ে চলছে কর্মব্যস্ততা। সদর উপজেলার গুহেরকান্দি গ্রামের আরতদার শহীদুল্লাহ ব্যাপারী জানান, তার ৩২শ’ বস্তুা আলু মওজুদ ছিল।
এখনো হিমাগারে আছে ১৭শ’ বস্তা। তবে ডিসেম্বরের প্রথমেই নতুন আলু আসবে। তখন এই পুরনো আলু নিয়ে চ্যালেঞ্জ হবে।
এস