ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১২ মে ২০২৫, ২৮ বৈশাখ ১৪৩২

মুন্সীগঞ্জে ধলেশ্বরী তীর রক্ষা বাঁধে ধস

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ

প্রকাশিত: ২১:৪২, ৩০ আগস্ট ২০২৩

মুন্সীগঞ্জে ধলেশ্বরী তীর রক্ষা বাঁধে ধস

পঞ্চসারের ধলেশ্বরী তীরে নবনির্মিত রক্ষা বাঁধে ধস

পঞ্চসারের ধলেশ্বরী তীরে নবনির্মিত রক্ষা বাঁধ দেবে গেছে। আর পুরনো ব্লক তুলে নিয়ে বাঁধ নির্মাণ না করা অংশের ল-ভ- অবস্থা। মালিপাথর ও ফিরিঙ্গি বাজারসহ আশপাশের অধিবাসী ও শিল্প-কারখানার মালিকরা আতঙ্কে। আর মুক্তারপুর-বিনোদপুর সড়কের পথচারীরা পড়েছেন বিপাকে।  
মুক্তারপুর-বিনোদপুর সড়কের ধলেশ্বরী তীরের নবনির্মিত রক্ষা বাঁধ দেবে গেছে। বাঁধটি নতুন হলেও ব্যবহার করা হয় নব্বইয়ের  দশকে করা পুরনো বাঁধের ব্লকও। মুক্তারপুর থেকে মালিরপাথর ব্রিজ পর্যন্ত এক কিলোমিটারেরও বেশি অংশে বাঁধ নির্মাণ করতে না করতেই অসংখ্য পয়েন্ট ধসে যাওয়ায় কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পুরনো বাঁধের ব্লক তুলে নেওয়ায় ফিরিঙ্গিবাজার থেকে বিনোদপুরের দিকে প্রায় ২০০ মিটারের ল-ভ- অবস্থা। বাঁধ তো দূরের কথা ১২ ফুট প্রশস্ত রাস্তাই এখন অস্তিত্ব সংকটে।  গ্রামবাসী ও শিল্প-কারখানার মালিকরা রয়েছেন আতঙ্কে। আর পথচারীদের দুর্ভোগ চরমে।  
নির্ধারিত সময় পার হলেও শেষ হয়নি সড়ক ও নদী তীর রক্ষার সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ। মাঝপথে কাজ বন্ধ রেখে যেন উধাও ঠিকাদার। এমন পরিস্থিতিতে মুন্সীগঞ্জ সদরের জনগুরুত্বপূর্ণ ধলেশ্বরী নদী তীরবর্তী মুক্তারপুর-বিনোদপুর সড়কের বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে ভাঙন।  ক্রমাগত ধসে নদীতে বিলীন হচ্ছে সড়কের বিশাল অংশ। রীতিমতো পরিণত হয়েছে মরণফাঁদে। যে কোনো সময় পুরো সড়ক নদীতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। সরেজমিনে দেখা যায়, ধসে পড়েছে সড়কের কয়েকশ মিটার অংশ, তৈরি হয়েছে গভীর খাদ। এ অবস্থাতে ঝুঁকি নিয়েই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালসহ দৈনন্দিন বিভিন্ন প্রয়োজনে যাতায়াত করছে মানুষ।

মুন্সীগঞ্জ এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোনায়েম সরকার জানান, এই সড়কটির চুক্তি করেছিলাম গত বছরের প্রথম দিকে। কাজ চলমান ছিল। কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদার। কন্ট্রাক্ট অনুসারে কাজটি চলমান ছিল। যথাযথ সময়ে আসলে শেষ হয় নাই। প্রাকৃতিক কারণে বা ঠিকাদারের অবহেলায়। তার জন্য আমরা ঠিকাদারকে কন্ট্রাক্ট অনুযায়ী তার সঙ্গে চিঠিপত্র দিয়েছি। এখন এটা ঠিকাদারের দায়, চুক্তি অনুযায়ী কাজটি শেষ করে দেবে। অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

×