
.
করিমগঞ্জের বালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সাময়িক বরখাস্তকৃত দুই শিক্ষকের লোকজন প্রধান শিক্ষককে অপদস্থ করায় ও খন্ডকালীন এক শিক্ষককে স্কুলে আসতে বাধা দেওয়ায় ক্লাস বর্জন করে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে। রবিবার দুপুরে ওই বিদ্যালয়ের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী এ কর্মসূচিতে অংশ নেয়। এ সময় তারা স্কুলের মাঠে প্ল্যাকার্ড হাতে প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলামের অপদস্থকারীদের শাস্তি ও ইংরেজি বিভাগের খন্ডকালীন শিক্ষক তানভীর আহমেদকে নির্বিঘ্নে বিদ্যালয়ে আসার সুযোগের দাবি জানায়। এদিকে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ প্রদর্শনের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম বিদ্যালয়ে আসার সময় প্রায়ই বরখাস্ত শিক্ষকদের স্বজনেরা পথ আটকে দেয়। একবার তার মোটরসাইকেল আটকে রেখে তাকে মারধর করতে উদ্যত হয়। এ বিষয়ে ওই প্রধান শিক্ষক করিমগঞ্জ থানায় একটি জিডিও করেছেন। বিষয়টি স্কুল ম্যানেজমেন্ট কমিটি, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো সমাধান না পেয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছে বলেও জানায়।
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া দুই শিক্ষক এবং গণিত শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে স্কুলের নির্বাচিত সাবেক অভিভাবক সদস্য মহসিন রেজা ও আব্দুল লতিফ জানান, ‘স্কুলের সহকারী শিক্ষক কামরুল ইসলাম ও সালমা আক্তার এবং সহকারী প্রধান শিক্ষক সামছ উদ্দিনের কারণে বিদ্যালয়ে কোনো ভালো শিক্ষক আসছে না। বিদ্যালয়ে ইংরেজি পড়ানোর দক্ষ শিক্ষক নেই। শুধু হিংসার কারণে খন্ডকালীন শিক্ষক তানভীর আহমেদকে তারা তাড়ানোর চেষ্টা করছে। তানভীর চলে গেলে শিক্ষার্থীরা ইংরেজিতে দুর্বল হয়ে পড়বে। তাই অভিভাবকদের পক্ষ থেকে দাবি, তানভীরকে যেন বিদ্যালয়ে বহাল রাখা হয়, প্রয়োজনে আমরা বেতন দেব’। এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘যদি খারাপ হতাম বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আমার পক্ষে থাকবে কেন? ওদের তো আমি বলে দেইনি বিক্ষোভ করতে। ওরা ক্লাস বর্জন করেছে, আমি বলেছি বাবারা তোমরা ক্লাসে যাও। তোমাদের দাবির বিষয়গুলো ম্যানেজিং কমিটি দেখবে, প্রশাসন দেখবে।