ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

ভয়াবহ আগুনে পুড়ল ফরিদপুরের জোবায়দা করিম জুটমিল

প্রকাশিত: ১৮:২৯, ১৪ মে ২০২৩

ভয়াবহ আগুনে পুড়ল ফরিদপুরের জোবায়দা করিম জুটমিল

জোবায়দা করিম জুটমিলে ভয়াবহ আগুন নিয়ন্ত্রণে

ফরিদপুরের বাখুন্ডায় জোবায়দা করিম জুটমিলে ভয়াবহ আগুনের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিলের চারটি শেডই পুড়ে গেছে। ছাই হয়ে গেছে সেখানকার মালামাল। বিপুল পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।  

রবিবার (১৪ মে) বিকেল পৌনে চারটার দিকে দক্ষিণ-পশ্চিম কোণের এক নম্বর শেড থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানা গেছে। বিকেলে সাড়ে পাঁচটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও পুড়ে যাওয়া শেড থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে।

জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ে কাজ চলছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জেলার গেরদা ইউনিয়নে অবস্থিত জোবায়দা করিম জুটমিল এই অঞ্চলের একটি বৃহৎ পাটজাত পণ্য প্রক্রিয়াকরণ কারখানা। মোট চারটি শেডে পাট প্রক্রিয়াজাতকরণসহ সুতা ও চটজাত পণ্য উৎপাদন করা হয়।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মিল শ্রমিক ফজলু মিয়া  বলেন, বিকেল পৌনে চারটার দিকে দক্ষিণ পশ্চিম দিকে পাট প্রক্রিয়াকরণের প্রথম শেড থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এরপর একে একে সবকটি শেডে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।

খবর পেয়ে প্রথমে ফরিদপুর থেকে এবং পরে আশেপাশের অন্যান্য উপজেলা থেকে ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার, পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান, জুট মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহাঙ্গীর মিয়াসহ বিশিষ্টজনেরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

ফরিদপুরের ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. আসাদুজ্জামান  বলেন, আগুন নেভাতে আমাদের সাতটি ইউনিট কাজ করে। প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলেও এখনো বিভিন্ন স্থান থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে।

ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ের পর এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷

ডিসি বলেন, জোবায়দা করিম জুটমিল এই অঞ্চলের একটি বড় ধরনের শিল্প প্রতিষ্ঠান। এখানে কয়েক হাজার শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়। অগ্নিকাণ্ডের পর প্রতিষ্ঠানটি কীভাবে পুনরায় সচল করা যাবে সেটি ভাবনার বিষয়।

এব্যাপারে জোবায়দা করিম জুট মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহাঙ্গীর মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

 

এমএস

সম্পর্কিত বিষয়:

×