
ভারতীয় কাপড়
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ফেনী জেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে চোরাই পথে আসছে কোটি কোটি টাকার ভারতীয় তৈরি পোশাক। এতে করে সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে দেশের পোশাক শিল্প। ভারতীয় পোশাক গুলির মধ্যে রয়েছে শাড়ী, থ্রি-পিস ও লেহেঙ্গা। ভারতীয় এসব কাপড় গুলো ফেনী শহরের বিভিন্ন বিপণী বিতাণ গুলোতে বিক্রি হচ্ছে।
ফেনীর মার্কেটগুলো এখন ভারতীয় থ্রি-পিস ও শাড়িতে সয়লাব। এতে দেশীয় গার্মেন্টস শিল্পের তৈরি পোশাকসহ খাদি কাপড়ের চাহিদা বহুলাংশে কমে গেছে। প্রতিদিন এসব পোশাক সীমান্ত দিয়ে ফেনীতে প্রবেশ করলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে বেশির ভাগ ধরা ছোয়ার বাইরে। তবে গত এক মাসে র্যাব ও বিজিবি অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমানে ভারতীয় শাড়ী, থ্রি-পিস ও লেহেঙ্গা উদ্ধার করে চোরাকারবারীদের গ্রেফতার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। র্যাব-৭ ও বিজিবির অভিযানের পরেও চোরকারবারীরা থেমে নেই।
ফেনীস্থ র্যাব-৭ ও বিজিবি সূত্রে জানা যায়, গত তিন মাসে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকার ভারতীয় কাগড় জব্দ করা হয়েছে। ফেনীর বিভিন্ন সীমান্তবর্তী সদর উপজেলার ধর্মপুর, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া সীমান্তবর্তী চোরাই পথে ভারতীয় শাড়ি, থ্রি-পিস ও লেহেঙ্গা আসা এসব কাড়প। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো থাকায় ফেনী ঢাকা, চট্টগ্রাম জেলাসহ বিভিন্ন জেলায় পাইকারী মূল্যে এসব কাপড় বিক্রয় করে আসছে বলে জানায় সূত্রটি।
র্যাব-৭ সিনিয়র সহকারী পরিচালক মোঃ নূরুল আবছার জানান, গত ২৯ মার্চ ছাগলনাইয়া ঘোনার বাড়ী এলাকা ১০ লক্ষ টাকার ভারতীয় কাপড় উদ্ধার করে ও একজন চোরাকারবারীকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় চোরাকারবারে ব্যবহৃত একটি পিকআপ জব্দ করা হয়। এছাড়া ২৪ মার্চ সোনাগাজী থেকে বিপুল পরিমাণ অবৈধ ভারতীয় কাপড়সহ তিনজন চোরাকারবারীকে গ্রেফতার করেছে ফেনীস্থ র্যাব-৭। চোরাকারবারে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ৮শ ৯৫ পিস ভারতীয় শাড়ি ও ও ১শ ৬০টি থ্রি-পিস উদ্ধার করা হয়।
ফেনী ৪ বিজিবি লে. কর্নেল একেএম আরিফুল ইসলাম জানায়, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে চোরকারবারীরা ভারত থেকে মালামাল সক্রিয় হয়েছে। গত ১৪ মার্চ ছাগলনাইয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকার পূর্ব মধুগ্রাম নামক স্থানে ভারতীয় শাড়ী,লেহেঙ্গা ও টুপি উদ্ধার করা হয়েছে । উদ্ধারকৃত মালামালের আনুমানিক মূল্য ২ কোটি ৮৭ হাজার ১শ ৬০ টাকা। পূর্ব মধুগ্রামে একটি পরিত্যক্ত ঘর হতে ২ হাজার ৭শ৪৮টি শাড়ী, ৮টি লেহেঙ্গা ও ৪৩টি টুপিসহ ভারতীয় অবৈধ মালামাল উদ্ধার করে বিজিবির সদস্যরা। এছাড়া গত ২০ ফেব্রুয়ারি লালপোল কাভার্ডভ্যান থেকে ২৫ বস্তা ভারতীয় শাড়ি উদ্ধার করে। এর আনুমানিক মূল্য ৪৪ লাখ টাকা।
এমএস