ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

রাজশাহীর দুই নদীতে অপরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণ

হুমকিতে দুই হাজার হেক্টর জমির বোরো

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী

প্রকাশিত: ০১:৩৬, ১৭ মার্চ ২০২৩

হুমকিতে দুই হাজার হেক্টর জমির বোরো

পরিচ্ছন্ন ও সবুজ নগরী। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সৌন্দর্য বর্ধনে অপরূপ সাজে সেজেছে সড়ক

বাগমারা উপজেলা অংশের বারনই ও ফকিন্নী নদীর উজানে বাঁধ নির্মাণ করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। অপরিকল্পিতভাবে এ বাঁধ নির্মাণের কারণে শুকিয়ে গেছে পুঠিয়া উপজেলার জগদীশপুর অংশের নদীর পানি। ফলে বন্ধ হয়ে গেছে একাধিক ভাসমান সেচ পাম্প  (এলএলপি)। এসব সেচপাম্প থেকে পানি নিয়ে কৃষকরা চাষাবাদ করে আসছিলেন। তবে বাঁধের কারণে ভাসমান সেচপাম্প বন্ধ হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্তত দুই হাজার হেক্টর খেতের ধান ও বীজতলা। এ নিয়ে কৃষকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
এ অবস্থায় করণীয় নির্ধারণে সেচপাম্প এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) চেয়ারম্যান বেগম আখতার জাহান। বিএমডিএ চেয়ারম্যান বেগম আখতার জাহান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হলে অবশ্যই কৃষকদের তাদের সেচের সুব্যবস্থা করতে হবে। সরকারের উন্নয়নের কাজও যেন কোনো সমস্যা না হয় সেদিকে সকলকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

তাই পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আলাপ আলোচনার মাধ্যমে কৃষকের যেন কোনো ক্ষতি না হয় সে জন্য সুব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এবং সঠিক সময় যেন কৃষক পানি পায় তাদের ফসলি জমিতে সে জন্য নদীর ড্রেজিংয়ের কাজ খানিকটা বিঘœ হলেও তারা কৃষকের পানির সুব্যবস্থা করবেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাগমারার বারনই ও ফকিন্নী নদীর উজানে (বাগমারা উপজেলা অংশে) সম্প্রতি বাঁধ নির্মাণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নদী পুনর্খনন কাজ করছে। এ কারণে চলতি মৌসুমে বারনই নদীর ভাটির দিকে পুঠিয়া উপজেলা অংশে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য নদীর পানি শুকিয়ে গেছে। ফলে পুঠিয়া উপজেলার শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের জগদীশপুর নামক স্থানে বারনই নদীর ওপর বিএমডিএ কর্তৃক নির্মিত রাবার ড্যামের আপ স্ট্রিমে সেচের জন্য বিএমডিএর ২৪টি বিদ্যুৎচালিত এলএলপি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রায় ১৫০টি ডিজেল চালিত অধিকাংশ এলএলপি বন্ধ হয়ে গেছে। 
নদীর পানি কমে যাওয়ায় এসব এলএলপি বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে এসব সেচযন্ত্রের আওতায় আবাদকৃত প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমির রোপিত ধান নষ্ট হওয়ার পথে। ২ হাজার হেক্টর বোরো ফসল সেচের অভাবে অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হবে বলে স্থায়ীন কৃষকরা জানিয়েছেন। পরিদর্শনকালে বিএমডিএর চেয়ারম্যানের সঙ্গে কৃষকরা মতবিনিময়কালে এসব তথ্য অবগত করান। এ সময় কৃষকরা চলতি বোরো ফসল রক্ষার্থে বারনই নদীতে সেচের জন্য পানি সরবরাহ সচল রাখার দাবি করেন। পরে বিএমডিএর চেয়ারম্যান পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। তারা দু-একদিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান করবেন বলে চেয়ারম্যানকে জানান।
বিএমডিএ চেয়াম্যান বেগম আখতার জাহান বলেন, উন্নয়ন কাজ করতে হবে তবে কৃষককেও বাঁচাতে হবে। তিনি বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখবেন বলে জানান।

×