ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

পৌরসভার সঙ্গে খাজনা নিয়ে বিরোধ, মুরগি বিক্রি বন্ধ 

নিজস্ব সংবাদদাতা,পাথরঘাটা, বরগুনা

প্রকাশিত: ১৬:০৮, ৪ মার্চ ২০২৩

পৌরসভার সঙ্গে খাজনা নিয়ে বিরোধ, মুরগি বিক্রি বন্ধ 

মুরগির বাজার

বরগুনার পাথরঘাটায় পৌর পরিষদের সঙ্গে মুরগি ব্যবসায়ীদের খাজনা নিয়ে বিরোধ থাকায় তিন দিন ধরে মুরগি বিক্রি বন্ধ রেখেছে ব্যবসায়ীরা। এতে বিপাকে পড়েছে সাধারণ ক্রেতা, বিক্রেতা ও হোটেল ব্যাবসায়ীরা।

পাথরঘাটা শহরের শনিবার দুপুরে মুরগি বাজারে দোকান বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করছে মুরগি ব্যবসায়ীরা এমন চিত্র দেখা গেছে। গ্রাম থেকে আসা খুচরা বিক্রেতারা মুরগির দাম কেজিতে ৫০ থেকে ৮০ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করেছে। তাও ঘন্টা খানেকের মধ্যে শেষ হয়ে গেছে। 

বাজারে মুরগি কিনতে আসা আব্দুল মালেক জানান, বাড়িতে মেয়ে জামাই এসেছে। বাজারে এসেছিলাম কমদামে বয়লার মুরগি কিনতে। 

সোবাহান জানান, আমি চাকরি করি, ছুটির দিনে পুরো সপ্তাহের বাজার করি। 
আমার ছোট ছেলে মুরগির মাংস ছাড়া ভাত খেতে চায়না। দুদিন ধরে বাজারে এসেও মুরগি কিনতে পারিনি। 

হোটেল মালিক জাকির হোসেন জানান, ক্রেতারা কম দামে মুরগির মাংস খেতে চায়। তিন দিন হোটেলে মুরগি রান্না হয়নি। এছাড়াও দাম বেশি হওয়ায় গরুর বা খাশির মাংস হোটেলে চলে কম।

মুরগি ব্যাবসায়ীরা জানান, জেলা পরিষদের নির্ধারিত হারে খাজনা পরিশোধ করে আসলেও পাথরঘাটা পৌরসভা থেকে মুরগীর ড্রেসিং এ বাড়তি তিন টাকা খাজনা নির্ধারণ করেছে যা দেশের কোথাও নেই। এ খাজনা না দেয়ার কারণে মুরগি ড্রেসিং মেশিন পৌর কর্তৃপক্ষ নিয়ে গেছে।

মুরগি ব্যাবসায়ী সমিতির সভাপতি আলম মিয়া জানান, মুরগি প্রতি ড্রেসিংএ বাড়তি তিন টাকা করে খাজনা ধার্জ করছেন পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। না দেয়ায় মেশিন তুলে নিয়ে গেছে। মুরগি ড্রেসিং করে না দিলে ক্রেতারা মুরগি কিনতে চায় না। তাই ড্রেসিংয়ের উপর খাজনা বাতিলসহ মেশিন ফেরত দেয়ার দাবিতে গত বৃহস্পতিবার থেকে মুরগি বিক্রি বন্ধ রেখেছি। 

সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন জানান, তিন দিনের ধর্মঘটের কারণে প্রতিটি ব্যাবসায়ীর ১০ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকার মুরগি মারা গেছে। পৌর পরিষদের খামখেয়ালীর কারনে এ ক্ষতি হচ্ছে তাদের।

ব্যবসায়ী বাবুল জানান, গত তিনদিন মুরগি বিক্রি বন্ধ থাকায় আমার দশ হাজার টাকার মুরগি মারা গেছে। এনজিওর লোনের টাকায় ব্যাবসা করি। এতোগুলো টাকা আবার ধার দেনা করে পরিশোধ করতে হবে।

এ বিষয়ে পাথরঘাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হোসেন আকন বলেন, তারা পৌরসভার নিয়মিত খাজনা পরিশোধ করছে না। পাশাপাশি খোলা জায়গায় মুরগি ড্রেসিং করে পরিবেশকে নষ্ট করছে। দুর্গন্ধে ওই এলাকায় কেউ যাতায়াত করতে পারে না। তাই তাদের মেশিন জব্দ করা হয়েছে।

পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুফল চন্দ্র গোলদার জানান, পৌরসভার সঙ্গে খাজানা বিষয় নিয়ে ঝামেলা রয়েছে। এটি পৌরসভার বিষয়। তারাই সমাধান করবেন।

 এসআর

×