ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভেজাল গুড় উৎপাদন ও বিক্রি করে জরিমানা গুনলেন ৫ ব্যবসায়ী

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ

প্রকাশিত: ১২:০৫, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩; আপডেট: ১২:০৬, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

ভেজাল গুড় উৎপাদন ও বিক্রি করে জরিমানা গুনলেন ৫ ব্যবসায়ী

ভেজাল গুড়

নওগাঁর মহাদেবপুরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ভেজাল গুড় তৈরি ও বিক্রি করার অপরাধে পাঁচ প্রতিষ্ঠানের স্বত্ত্বাধিকারীকে ৪৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। 

র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মোস্তফা জামান ও সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মাসুদ রানা এবং এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার ভূমি নুসরাত জাহানের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এই জরিমানা করেন। এছাড়া বিপুল পরিমাণ ভেজাল গুড় ও উপকরণ জব্দ করা হয়। 

বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১১টার দিকে র‌্যাব-৫ এর দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এদিন বিকেল তিনটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত গোয়েন্দা তথ্যের ভিক্তিতে উপজেলার দোহালী এলাকায় পাঁচ প্রতিষ্ঠানে ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়। 

অর্থদন্ডপ্রাপ্ত ও ভেজাল গুড় ব্যবসায়ীরা হলেন- উপজেলার মথুর কৃষ্ণপুর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে ও “কালাম গুড় কারখানা” এর মালিক মো: আল মামুন সরদার (১৯), একই গ্রামের মো: আব্বাস আলীর ছেলে ও “ আল আমিন গুড় ঘর” এর মালিক আলামিন মন্ডল, দোহালী পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত অজয় চন্দ্র হাজড়ার ছেলে ও ‘হাজড়া গুড় ঘর’ এর মালিক শ্রী অনুকূল চন্দ্র হাজড়া (৪৫), একই গ্রামের শ্রী রবিন চন্দ্র মন্ডলের ছেলে ও “রতন গুড় ঘর” এর মালিক শ্রী রতন চন্দ্র মন্ডল (৪১) এবং শ্রী প্রবাস কুমার হাজড়ার ছেলে ও ‘গৌতম গুড় ঘর’ এর মালিক গৌতম কুমার হাজড়া (৩৫)।
    
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ওই পাঁচ প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ভেজাল গুড় তৈরি ও বিক্রি করে আসছিলো। এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিক্তিতে সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। 

এ সময় তাদের কাছ থেকে ভেজাল গুড় ৬ হাজার ৪০ কেজি, দূষিত চিনির শিরা ১৮ হাজার ৬৫০ লিটার, মিষ্টির ময়লা শিরা ৩ হাজার ১৬০ লিটার, হাইড্রোজেন ২ হাজার ৫৫০ কেজি, কেমিক্যাল রং সাড়ে ৪ কেজি, স্যাকারিন ৪ কেজি, ফিটকিরি ৫০০ গ্রাম এবং চুন ৫ কেজি জব্দ করা হয়। 

পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর ৫২ ধারায় কালাম গুড় কারখানার মালিকের ৩০ হাজার টাকা, আল আমিন গুড় ঘর মালিকের ৩ হাজার, হাজড়া গুড় ঘর মালিকের ৫ হাজার, রতন গুড় ঘর মালিকের ৩ হাজার টাকা এবং গৌতম গুড় ঘর মালিকের ৩ হাজার সর্বমোট ৪৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। 

পরবর্তীতে জব্দকৃত ভেজাল গুড় ও  উপকরণসমূহ ধ্বংস করা হয়। জরিমানাকৃত টাকা সরকারি কোষাগারে জমা করা হয়েছে।

এসআর

×