ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া

ডুবোচরে নৌচলাচল ব্যাহত

নিজস্ব সংবাদদাতা, রাজবাড়ী

প্রকাশিত: ২১:৩৪, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

ডুবোচরে নৌচলাচল ব্যাহত

পদ্মার বুকে জেগে ওঠা চর 

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট। সচল রাখতে ড্রেজিং। তবুও অসংখ্য ডুবোচর।  নৌ চ্যানেলে অসংখ্যা ডুবোচর থাকায় ফেরিগুলো ৩/৪ কিলোমিটার ভাটিতে গিয়ে চলাচল করছে। ঘুরে আসার কারণে প্রতিটি ফেরির দ্বিগুণ সময় লাগছে। এতে ব্যয় হচ্ছে অতিরিক্ত সময় ও টাকা।
দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া নৌরুটে বর্ষার পর থেকে নাব্য সংকট দেখা দেয়। এই নৌরুটে নৌযান চলাচলে ব্যাহত হয়। গুরুত্বপূর্ণ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট সচল রাখতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন (ড্রেজিং বিভাগ) কর্তৃপক্ষ ড্রেজিং করে। কিছুদিন যেতে না যেতে আবারও অসংখ্য ডুবোচর দেখা যায়। 
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (ড্রেজিং বিভাগ) সহকারী প্রকৌশলী মো. মাসুদ জানান, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট সচল রাখতে পদ্মানদীতে পানি কমে যাওয়ার কারণে একাধিক ড্রেজার দিয়ে ড্রেজিং করা হয়েছে। তবে বর্তমান নদীতে পানি বৃদ্ধি রয়েছে। যে কারণে সকল ড্রেজার বন্ধ রাখা হয়েছে।
এদিকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে অসংখ্য ডুবোচর রয়েছে। পদ্মা নদীর মাঝে বালুচর উঠেছে। বাধ্য হয়ে এই নৌরুটে চলাচলরত ফেরিগুলো ৩/৪ কিলোমিটার ঘুরে যাচ্ছে। 
একাধিক ফেরিমাস্টার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,  দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট অনেক সরু। এক সঙ্গে দুইটি ফেরি চলাচল করতে অনেক সমস্যা হয়। এর মধ্যে পদ্মা নদীর মাঝখানে অসংখ্য ডুবোচর উঠেছে। 
দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের ইদ্রিস নামের এক লঞ্চচালক বলেন. নদীতে ডুবোচর থাকায় লঞ্চ চালাতে অনেক কষ্ট হয়। স্বাভাবিক চলাচল করতে অনেক পথ ঘুরে যেতে হয়। তিনি আরও জানান, বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ যদি নৌরুট সচল রাখতে ড্রেজি চলমান রাখত তাহলে এত দুর্ভোগ হতো না। 
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা বন্দরের উপপরিচালক শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ জানান, শুকনো মৌসুমে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট সচল রাখতে নদীতে একাধিক ড্রেজিং করা হয়েছে। তারপরও মাঝ নদীতে অসংখ্য ডুবোচর উঠেছে। ডুবোচর থাকায় ফেরি চলাচলে ব্যাহত হয়। তিনি আরও জানান, এই নৌরুটে বর্তমান ১২টি ছোট বড় ফেরি চলাচল করছে।
নাব্য সংকটে দাড়াইন
সংবাদদাতা, শাল্লা, সুনামগঞ্জ থেকে জানান, শাল্লা উপজেলার দাড়াইন নদী নাব্য সংকটে পড়েছে। এ ছাড়া নদী দখলের প্রতিযোগিতায় নেমেছে প্রভাবশালী লোকজন। ফলে কৃষিপ্রধান এ অঞ্চলে নৌযোগাযোগ ও চাষাবাদ এখন হুমকিতে। শাল্লা উপজেলা থেকে কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় নৌপথে চলাচলের মাধ্যম একমাত্র দাড়াইন নদী। ব্যবসায়ীদের মালামাল এই নদী পথেই আসে। কিন্তু নদী ভরাট হয়ে যাওয়ায় নৌ চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে শাল্লার ব্যবসায়ীরা পড়েছেন মহাসংকটে।
এ বিষয়ে শাল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুল কাইয়ুম জানান শাল্লার দাড়াইন নদীকে দখলমুক্ত করে খননের জন্য কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে।

×