
ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী গমখেতে অস্ট্রেলিয়ান গবেষকগণ
গমের ব্লাস্ট প্রতিরোধী জাত আবিষ্কারে বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা সফল হয়েছেন। যশোর আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের বিস্তীর্ণ মাঠে গত ২০১৬ সাল থেকে চলছে গমের ব্লাস্ট রোগের প্রতিরোধী জাতের এ গবেষণা কার্যক্রম। শুক্রবার বিকেলে গবেষণা কার্যক্রম সরেজমিনে দেখতে আসেন অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশন ও অস্ট্রেলিয়ান সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল রিসার্চ (এসিআইএআর) প্রতিনিধিদল। ২০ সদস্যের এ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন অস্ট্রেলিয়ান কমিশনের দলনেতা ফিওনাসিমসন ও অস্ট্রেলিয়ান কমিশনার ফর এগ্রিকালচারাল রিসার্চ এসিআইএআর এর দলনেতা প্রফেসর এন্ড্রু কেম্বেল।
বিজ্ঞানীরা জানান, ২০১৬ সালে বাংলাদেশে গমের ব্লাস্ট রোগ দেখা দেওয়ার পর থেকে এসিআইএআর ও সিমিটের সহায়তায় বিডাব্লিউএমআরআই ব্লাস্ট প্রতিরোধী গমের জাত উদ্ভাবনে গবেষণা করে আসছে। আঞ্চলিক কেন্দ্র, যশোরে একটি আন্তর্জাতিক মানের প্লাটফর্ম স্থাপন করা হয়েছে যেখানে বিভিন্ন দেশের প্রায় চার হাজার গমের জাত প্রতি বছর বাছাই করা হয়। বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট এ পর্যন্ত বারি গম ৩৩ ও বিডাব্লিউএমআরআই গম ৩ নামে ২টি ব্লাস্ট প্রতিরোধী জাত উদ্ভাবন করেছে। এদিকে অস্ট্রেলিয়ান প্রতিনিধিদল গমের ব্লাস্ট রোগের গবেষণার অগ্রগতি দেখে ভূয়সী প্রশংসা করেন।
২০ সদস্যের এ প্রতিনিধি দল যশোর আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মাঠে এসিআইএআর বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পক্ষে প্রকল্পের গবেষণা কার্যক্রম সরেজমিনে দেখে ব্যাপক উৎসাহিত হন। এ সময় অস্ট্রেলিয়ান কমিশনার ফর এগ্রিকালচারাল রিসার্চ এসিআইএআর এর দলনেতা প্রফেসর এন্ড্রু কেম্পবেল বলেন, গমের জন্য ভয়ংকর রোগ হচ্ছে ব্লাস্ট। সেই রোগ প্রতিরোধী জাত আবিষ্কারে এখানকার বিজ্ঞানীরা যে সফল হয়েছেন তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। সিমিট বাংলাদেশের কৃষি উন্নয়ন কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ বলেন, যশোরসহ দক্ষিণের জেলাগুলোতে এখন চাষিরা নতুন উদ্ভাবিত ব্লাস্ট প্রতিরোধী গমের আবাদ করে বেশ লাভবান হচ্ছেন।
অস্ট্রেলিয়ান প্রতিনিধিরা গবেষণার মাঠ পরিদর্শন শেষে যশোর আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের সম্মেলন কক্ষে এ বিষয়ে এক সেমিনারে যোগ দেন। সেমিনারে বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা ছাড়াও কৃষি বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।