ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আন্ধারমানিক নদী থেকে বালু উত্তোলনে ঘটনায় হুমকীর মুখে বেড়িবাঁধ

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ২০:১১, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

আন্ধারমানিক নদী থেকে বালু উত্তোলনে ঘটনায় হুমকীর মুখে বেড়িবাঁধ

বালু উত্তোলন

প্রায় এক যুগ পরে পর পর দুই বছর আমন ফসল ঘরে তুলতে পেরেছেন নিজামপুর, ইউসুফপুর, সুধিরপুর, কমরপুরসহ পাঁচ গ্রামের কৃষক। আন্ধারমানিক নদীর তীব্র ভাঙ্গনে বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধ মেরামত করায় কৃষকের মাঝে এ কারণে স্বস্তি ফিরে এসেছে। কিন্তু ব্লক দিয়ে প্রটেকশন দেয়া বেড়িবাঁধ নিয়ে তারা আবার শংকায় পড়েছেন। নিজামপুর স্কুল সংলগ্ন আন্ধারমানিক নদী থেকে হঠাৎ করে রবিবার থেকে একাধিক ড্রেজার দিয়ে বালু কাটায় এমন শংকায় পড়েছেন কৃষকরা। তাঁদের দাবি ফের বেড়িবাঁধে ভাঙ্গন দেখা দিবে। বালু কাটা বন্ধের দাবি তাঁদের।

কৃষক নিজামপুরের বাসীন্দা সিদ্দিক মুন্সি জানান, সিডরের তান্ডবে তাঁদের গ্রামের নদী পাড়ের বেড়িবাঁধ আন্ধারমানিক নদীতে বিলীন হয়ে যায়। তখন নদীপাড়ের গভীরতা ছিল ৬০-৭০ ফুট। প্রায় ১০ বছর ধরে বাঁধটি কয়েক দফা মেরামত করা হয়। সবশেষ তিন/চার বছর আগে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে সিসি ব্লক ও জিও ব্যাগ দিয়ে প্রটেকশন দেয়া হয়। ফলে ভাঙ্গন রোধ হয়। এছাড়া নদী তীর ঘেষে চর পড়তে থাকে। 

বর্তমানে নদী পাড়ের গভীরতা ১০-১২ফুটে পৌঁছেছে। স্লোপ বেড়েছে কিনার থেকে। কিন্তু হঠাৎ করে নিজামপুর স্কুল সোঝা নদীতে বালু কাটলে আবার তীরে ভাঙ্গন দেখা দেবে। বাঁধে ভাঙ্গন শুরু হবে। বালু কাটতে হলে খাজুরায় বালুমহাল যেখানে সেখান থেকে বালু কাটা হোক। 

এতাদিন ওখান থেকেই বালু কাটা হচ্ছিল। এ কারণে নিজামপুরসহ পাঁচ গ্রামের কৃষকের ফের ভাঙ্গন আতংকে রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। এসব কৃষকের দাবি নিজামপুর মৌজার নদী থেকে বালু কাটা বন্ধ করা হোক। নইলে আন্ধারমানিক নদীর ভাঙ্গন রোধ হবে না। বেড়িবাঁধসহ জনপদ রক্ষায় এই স্পটের বালুকাটা বন্ধের কোন বিকল্প নেই বলেও কৃষকরা জানান। অন্তত আমন ফসল আবাদের জন্য এবং লোনা পানির প্লাবন থেকে বাঁচতে বেড়িবাঁধ রক্ষায় এমন পদক্ষেপ নেয়া হোক।

পানি উন্নয়ন বোর্ড কলাপাড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আরিফ হোসেন জানান, বিষয়টি জরুরি ভিত্তিতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে। তাদের সঙ্গে কোন ধরনের আলোচনা না করেই ওই স্পট থেকে বালু কাটা হচ্ছে। যা বেড়িবাঁধের জন্য চরম হুমকি।

 

এমএস

×