ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

পুলিশসহ আহত ১০

মুন্সীগঞ্জে হাউজিং ব্যবসা নিয়ে টেঁটাযুদ্ধ

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ

প্রকাশিত: ০০:৩৭, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

মুন্সীগঞ্জে হাউজিং ব্যবসা নিয়ে টেঁটাযুদ্ধ

সিরাজদিখান উপজেলার বালুরচরের খাসকান্দি-বেগম বাজার এলাকায় ব্যবসায়ী দুই গ্রুপের টেঁটাযুদ্ধ

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বালুরচরের  খাসকান্দি-বেগম বাজার এলাকায় সোমবার হাউজিং ব্যবসা নিয়ে  দুইগ্রুপের সংঘর্ষে এক পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের ঢাকা ও স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।  
সংঘর্ষের সময়  শতশত টেঁটা নিয়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।  বেলা  ২টা পর্যন্ত ৩ ঘণ্টা দফায় দফায় এই সংঘর্ষ চলে।  এই সময় ভাঙচুর হয় ৩টি মোটরসাইকেল ও পুলিশের একটি পিকাপ। পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি। তবে ফেলে যাওয়া বিপুল পরিমাণ টেঁটা জব্দ করে।  
পুলিশ জানায়,  হাউজিং ব্যবসাকে কেন্দ্র করে নুজহান সিটির আলী ইসলাম  ও দক্ষিণা গ্রীন সিটি সুমন মিয়া গ্রুপের মধ্যে  প্রভাব বিস্তার নিয়ে  দ্বন্দ্ব চলছিল। 
সোমবার সকালে খাসকান্দি এলাকায়  দক্ষিণা গ্রুপের একটি স্থাপনা ভেকু দিয়ে ভেঙে ফেলে নুজহা সিটির আলী ইসলাম গ্রুপ। এ নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
 বেলা ১১টার দিকে বেগমবাজার এলাকায় শতশত টেঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দুইপক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। 
খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে হিমশিম খায়। ভাংচুর করা হয় পুলিশের গাড়ি। 
পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি  নিয়ন্ত্রণে নেয়।  এই নিয়ে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। সিরাজদি খান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একে এম মিজানুর হক জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

ভৈরবে যৌনহয়রানির ঘটনায় সংঘর্ষ 
নিজস্ব সংবাদদাতা, ভৈরব থেকে জানান, সোমবার বিকেলে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে যৌন হয়রানির ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভৈরব-পৌরসভার প্রধান সড়ক রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এলাকার আলিম সরকার বাড়ি ও ছাবর হাজী বাড়ির কিশোররা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল মেরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
এ সময় এ সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সংঘর্ষে রাস্তার পাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ আবাসিক ভবনের ব্যাপক ক্ষতি হয়।
খবর পেয়ে  পুলিশ এসে আলিম সরকার বাড়ির ভৈরব চেম্বার সভাপতি হুমায়ুন মিয়া ও ছাবর হাজী বাড়ির আওয়ামী লীগের থানা কমিটির সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সেন্টুকে ডেকে তাদের বাড়ির ছেলেদের নিয়ন্ত্রণ করতে বলে। তারা উভয়ে সালিশে বসবে বলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। কিন্তু পুলিশ যাওয়ার পরে আবার তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

×