ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ডায়াবেটিক নির্মুলে ঝাঁড় ফুকের মাধ্যমে প্রতারণা

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল

প্রকাশিত: ১৫:০০, ২৯ জানুয়ারি ২০২৩

ডায়াবেটিক নির্মুলে ঝাঁড় ফুকের মাধ্যমে প্রতারণা

ম্যাপে বরিশাল

ঝাঁড়-ফুকের মাধ্যমে চিরদিনের জন্য ডায়াবেটিক রোগ নির্মুলের নামে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন কথিত এক ভন্ড ফকির। কুফরীর মাধ্যমে ওই ফকিরের চিকিৎসায় উপকার না পেয়ে উল্টো এক নারী শারীরিক, মানসিকসহ অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে এখন নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন।

রবিবার সকালে নগরীর কাশিপুর এলাকার বাসিন্দা মমতাজ বেগম অভিযোগ করেন, দুইবছর পূর্বে লোকমুখে তিনি জানতে পারেন কাউনিয়া প্রধান সড়ক সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা হেমায়েত উদ্দিন মাস্টার ঝাঁড়-ফুকের মাধ্যমে চিরদিনের জন্য ডায়াবেটিক রোগ নির্মূল করেন। সে মতে তিনি (মমতাজ) ফকির হেমায়েতের কাছে গিয়ে ডায়াবেটিকসহ পলিপাস ও পাইলস রোগের কথা জানান। এসব রোগের জন্য মমতাজ বেগমকে ফকির হেমায়েত বাহিরের চিকিৎসা নিতে বারন করেন। পরবর্তীতে তিনি (হেমায়েত) একেক সময় চা, শরবত ও ডাবের পানি পান করিয়ে চিকিৎসা দিতে থাকেন।

মমতাজ বেগম বলেন, গত দুই বছরে দফায় দফায় আমার কাছ থেকে নগদ দুই লাখ টাকাসহ প্রায় ছয় লাখ টাকার মালামাল নিয়েছে ফকির হেমায়েত। তারপরেও আমি রোগ থেকে মুক্ত হতে পারিনি। পরবর্তীতে উপায় না পেয়ে ফকির হেমায়েতকে দেওয়া নগদ টাকা ফেরত চাওয়া হলে তিনি (ফকির) চিরতরে মুক্তি পেতে মমতাজ বেগমের কাছে উল্টো আরো ১৫ লাখ টাকা দাবি করে। নয়তো এনিয়ে বাড়াবাড়ি করা হলে কুফরীর মাধ্যমে মমতাজ ও তার পরিবারের সদস্যদের ক্ষতি করার হুমকি প্রদর্শন করা হয়।

পুরো ঘটনা উল্লেখ করে ভন্ড ফকির হেমায়েত উদ্দিন মাস্টারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে ভূক্তভোগী মমতাজ বেগম বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। 
মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

অভিযুক্ত ফকির হেমায়েত উদ্দিন মাস্টার বলেন, মানত করা বাবদ মমতাজ বেগম তাকে কিছু টাকা দিয়েছেন। এর বাহিরে যে সকল অভিযোগ করা হয়েছে তা সঠিক নয়। 

এরপূর্বে গত ২৮ জানুয়ারি দুপুরে ভূক্তভোগী মমতাজ বেগম পুরো ঘটনার বর্ননা করে বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনও করেছেন।
 

টিএস

×