ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

কর্মসৃজন প্রকল্পের অনিয়মের অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, জামালপুর 

প্রকাশিত: ১৭:২০, ৮ ডিসেম্বর ২০২২

কর্মসৃজন প্রকল্পের অনিয়মের অভিযোগ

অনিয়মের অভিযোগ

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের প্রথম পর্যায়ে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচীর (ইজিপিপি’র) কাজের শুরুতেই অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২৬ নভেম্বর সংশ্লিষ্ট এলাকায় সাইনবোর্ড টাঙিয়ে প্রকল্পের কাজ শুরু করার কথা থাকলেও কোথাও প্রকল্পের সাইনবোর্ড দেখা যায়নি। 

জানা গেছে, জেলার ইসলামপুর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে প্রথম পর্যায়ে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচীর (ইজিপিপি’র) ৫৫টি প্রকল্পে মোট বরাদ্দ দেওয়া হয় চার কোটি ৫০ লাখ ২৪ হাজার টাকা ও ননওয়েজ কষ্ট প্রায় ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এসব প্রকল্পে দুই হাজার ৮১৪ জন শ্রমিক দিয়ে কাজ করার কথা। দৈনিক মজুরি ধরা হয়েছে শ্রমিক প্রতি ৪০০ টাকা হারে। 

জানা যায়, চলতি অর্থ বছরের নভেম্বর মাসে শ্রমিক নির্বাচন করে শ্রমিকদের জব কার্ড বিতরণ করে ২৬ নভেম্বর সংশ্লিষ্ট এলাকায় সাইনবোর্ড টাঙিয়ে প্রকল্পের কাজ শুরু করার কথা ছিলা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইসলামপুর উপজেলার পাথর্শী ইউনিয়নে ছয়টি প্রকল্পের মধ্যে কোন প্রকল্পে তালিকাভুক্ত জব কার্ডধারী শ্রমিক পাওয়া যায়নি। ধর্মকুড়া-গুঠাইল পাকা রাস্তায় পারিবারিক গোরস্থান হতে বড় দেলিরপাড় শাহজাহানের বাড়ি পর্যন্ত ২৯ নম্বর প্রকল্পে রাস্তা মেরামতে ৭৫ জন শ্রমিক রাস্তার কাজ করার কথা থাকলেও সেখানে কোন শ্রমিক পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে স্থানীয়রা জানান, ১৫-২০ দিন আগে ট্রাক্টর দিয়ে এই ভাঙ্গা রাস্তাটুকু কাজ করেছে। এখানে মাটিকাটার কোন শ্রমিককে কাজ করতে দেখা যায়নি। এ ব্যাপারে প্রকল্পের সভাপতি মোছা. লতিফা বেগম জানান, সামনে ভুট্টাসহ বিভিন্ন ফসল চাষের সময় মাটির অভাবে আমরা আগেই মাটি কেটে রাস্তা নির্মাণ করেছি। 

অপরদিকে দেলিরপাড় উত্তর খানপাড়া জামে মসজিদ হতে খালেক মাস্টারের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা মেরামতের ২৮ নম্বর প্রকল্পে গিয়ে দেখা যায়, ৫০ জন শ্রমিক কাজ করার কথা থাকলেও কোন শ্রমিক পাওয়া যায়নি। ওই প্রকল্পের সভাপতি হাসান হাবিবুল্লাহ জানান, রাস্তার দু-পাশে ধান কাটা হলে রাস্তার কাজ ধরতে পারবো। পাথর্শী ইউনিয়নের ছয়টি প্রকল্পে গিয়ে দেখা যায়, প্রকল্পের কোন শ্রমিক নেই। কোন প্রকল্পেই সাইনবোর্ড টানানো হয়নি। 

এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রতি বছরই এ ধরনের উন্নয়ন প্রকল্পে লাখ লাখ টাকা সরকার বরাদ্দ দেয়। এসব বরাদ্দের বিপরীতে কোন কাজ হয় না। রাস্তা নির্মাণে মেরামতের টাকা সিংহভাগ প্রকল্পের সভাপতির পেটে চলে যায়। অভিযোগ প্রসঙ্গে ইসলামপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেদী  হাসান টিটু বলেন, জীন পরীরা এসে মাটি কেটে রাস্তা মেরামত করছে নাকি? 
 

এমএস

×