
গণধর্ষণ
শেরপুরের শ্রীবরদীতে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনায় গতকাল শুক্রবার রাতে ধর্ষিতা নিজেই বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামি করে শ্রীবরদী থানায় ধর্ষণ মামলা করেন।
গত বৃহস্পতিবার উপজেলার রাণীশিমুল ইউনিয়নের ভায়াডাঙ্গা এলাকার একটি মাছের খামারে ওই গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। আজ শনিবার দুপুরে জেলা সদর হাসপাতালে ওই গৃহবধূর ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে।
অভিযুক্ত আসামিরা হলেন- স্থানীয় মো. মিল্লাত (৪০), ফারুক মিয়া (৩৯), বাবু মিয়া (২৫), নজরুল ইসলাম (৩৫) ও শিপন মিয়া চুক্কা (২৮)।
জানা যায়, শেরপুর শহরের সজবরখিলা মহল্লার বাসিন্দা ওই নারীর (২৫) বিয়ে হয় বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার বেতগনিয়া গ্রামে। তারা স্বামী-স্ত্রী দুজনই ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন। সম্প্রতি ঢাকা থেকে শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার ভায়াডাঙ্গা আসন্দিপাড়ায় তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান ওই গৃহবধূ গার্মেন্টস কর্মী। গত ২৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে ওই নারী তার মামাতো বোনকে নিয়ে পাশের এলাকায় এক ধর্মসভায় যান ওয়াজ শোনার জন্য। সেখান থেকে ফেরার পথে আসামিরা ওই নারীকে স্থানীয় সাইদুর রহমানের মৎস্য খামারের পাশে নিয়ে হত্যার হুমকি দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ওই ঘটনায় পরদিন শুক্রবার রাতে শ্রীবরদী থানায় ওই পাঁচ জনকে আসামি করে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন তিনি।
এ বিষয়ে শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার বিশ্বাস জানান, ওই ঘটনায় থানায় একটি ধর্ষণ মামলা রুজু হয়েছে। আমরা ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গে আসামিদের ধরতে অভিযান শুরু করেছি। আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
এমএইচ