ছুরিকাঘাত
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে রনি (১৫) নামে এক কিশোরকে ছুরিকাঘাতে গুরুতরভাবে জখম করার অভিযোগে সৎ বাবা মাহাবুব রহমানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের রুপগঞ্জ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে রনি ঠাকুরগাঁও সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহত রনি ওই গ্রামের নাসিরুল ইসলামের ছেলে। রনির সৎ বাবা চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার শংকর বাটি গ্রামের নুরুল হুদার ছেলে। এ ঘটনায় রনির আপন বাবা নাসিরুল ইসলাম বাদী হয়ে বালিয়াডাঙ্গী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল আনাম ডন জানান, নাসিরুল ইসলাম তার স্ত্রী নুর নিহারকে তালাক দেওয়ার পর তার স্ত্রী মাহাবুব রহমানের সঙ্গে দ্বিতীয় সংসার পাতেন। নাসিরুলের ছেলে রনি কিছুদিন তার মায়ের কাছে ও কিছুদিন তার আপন বাবার কাছে থাকেন। রনি রাজমিস্ত্রির সহকারী হিসেবে শ্রমিকের কাজ করতেন। বিকেলে তার সৎ বাবা মাহাবুব রহমান নেশা করার জন্য টাকা চাইলে রনি টাকা দিতে অস্বীকার জানায়। এসময় তার সৎবাবা স্বজোরে মাথা, বুক ও হাতে আঘাত করে গুরুতর রক্তাক্ত ও জখম পূর্বক হত্যার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে মাহাবুব রহমান পালানোর চেষ্টা করলে জনতা তাকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
আহত রনিকে উদ্বার করে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় স্থানীয় লোকজন। পরে কর্তব্যরত আবাসিক মেডিকেল অফিসার আশঙ্কাজনক
অবস্থায় তাকে ঠাকুরগাঁও সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
রনির ফুপু নাসরিন বলেন, রনির মা মাদরাসায় পড়াতে গিয়েছিল। মাদরাসা থেকে এসে স্বামী ও স্ত্রীর মাঝে কথাকাটাকাটি হয়। পরে রনির সঙ্গে মারামারি করে তার
সৎ বাবা। এসময় তাকে দা দিয়ে আঘাত করছে তার সৎ বাবা।
রনির আপন বাবা নাসিরুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, ছেলের অবস্থার উন্নতি-অবনতি কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। বর্তমানে ঠাকুরগাঁও সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ করেছি। জড়িতের শাস্তির দাবি করছি।
ওসি খায়রুল আনাম ডন জানান, এ ঘটনায় অভিযুক্ত আসামিকে আজ গ্রফতার করে ঠাকুরগাঁও কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
এমএইচ
