ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কেশবপুরে আওয়ামী লীগের জয়ের সম্ভাবনা

প্রকাশিত: ২৩:০২, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৮

কেশবপুরে আওয়ামী লীগের জয়ের সম্ভাবনা

নিজস্ব সংবাদদাতা, কেশবপুর ॥ কেশবপুরে নির্বাচনী মাঠে নেই অন্যদল। আজ শুক্রবার সকাল আটটা পর্যন্ত প্রচারের শেষ সময়েও বিএনপিসহ বাকি চার প্রার্থীর কোন প্রচারনা দেখা যায়নি। বিএনপির গত তিনদিন আগে নির্বাচনী মাঠ ছেড়ে দিয়েছে। ক্ষমতায় যেতে না পারার কারনে তারা নির্বাচনী মাঠ ছেড়েছে বলে বিএনপির নেতারা জানিয়েছেন। একমাত্র আওয়ামী লীগই নির্বাচনী মাঠে রয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রায় সারারাতই প্রতিটি গ্রামে নির্বাচনী মিছিল সমাবেশ করেছে আওয়ামী লীগ। আর এ কারনে আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে জয়ী হবে এমন মন্তব্য বিভিন্ন মহলের। কেশবপুরে আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেন আজাদ দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে ও টানা ১০ বছর ক্ষমতায় না থাকায় প্রথম থেকেই তারা কেশবপুরে ব্যাপক প্রচার করে কেশবপুর আসনটি কব্জা করতে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন। নির্বাচনে জয়ী হতে তারা ভিন্ন ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেছেন। মিছিল বা জনসভা না করে তারা প্রতিটি ঘরে ঘরে গিয়ে ভোটারদের ধরে রাখার আপ্রান চেষ্টা করেছেন। গত তিন দিন বিএনপি মাঠ ছেড়ে দিয়েছে। তারা মিছির মিটিং ও প্রচারও করেনি শেষ পর্যায়ে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর-৬ কেশবপুর আসন থেকে আরও তিন জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা হলেন, জাতীয় পার্টির এ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম বাচ্চু। ঐক্যজোটের প্রার্থী মাওলানা আবু ইউসুফ বিশ্বাস ও জাকের পার্টির প্রার্থী প্রভাষক সাইদুজ্জামান। তারাও নির্বাচনী মাঠে নেই। নেই তাদের প্রচারনা। এমন কি তাদের চেহারাও ভোটাররা দেখেননি। কেশবপুরে আসনে মূলত আওয়ামী লীগের ইসমাত আরা সাদেক ও ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী বিএনপির আবুল হোসেন আজাদের মধ্যে প্রতিদন্দ্বীতা চলে আসছে। স্বাধীনতার পর কেশবপুর আসন বিএনপি-জামায়াতের দখলে ছিল। ১৯৯৬ সাল থেকে আওয়ামী লীগের দখলে চলে যায় এই আসনটি। গত ৭ম, ৮ম, ৯ম ও ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরপর চারবার আওয়ামী লীগ কেশবপুর আসন থেকে বিজয়ী হয়। এই সময়ে কেশবপুরে ব্যাপক উন্নয়নও করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। সে কারনে এবারও কেশবপুর থেকে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হবে এমনটায় জনগনের মুখে মুখে প্রচার হচ্ছে। কেশবপুর আসনে মোট ভোটের সংখ্যা ১ লাখ ৯৩ হাজার ৫শ’৭০ জন। মোট ৭৯টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহন করা হবে। কেশবপুর থানা ওসি মোঃ শাহিন জানান, ভোট গ্রহনের সকল প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। কেশবপুরে তেমন ঝুকিপূর্ন কোন কেন্দ্র নেই। তবে ৩০টি ভোটকেন্দ্র গুরুত্বপূর্ন রয়েছে।
×