ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

মিরপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ॥ ঘুরে এলাম সোহাগপল্লী

প্রকাশিত: ০৬:৩৬, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

মিরপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ॥ ঘুরে এলাম সোহাগপল্লী

মন চায় পাখা মেলে উড়তে, নিজের বাধাধরা গ-ি থেকে বেরিয়ে প্রাকৃতিক প্রশান্তির মাঝে নিজেকে মেলে ধরতে। কিন্তু ক্লাস, পরীক্ষার মাঝে সময় বের করা বড়ই দুষ্কর। সারাদিন ক্লাস, প্র্যাকটিক্যাল নিয়েই ব্যস্ত থাকতে হয়। কিন্তু এই ব্যস্ততার মাঝেই যদি হঠাৎ করে একটা ঘোরাঘুরির ব্যবস্থা হয়ে যায় তাহলে কার না ভাল লাগে। এমন সময় ক্লাসের মধ্যে এলো কাক্সিক্ষত সেই নোটিস। মনের চাওয়াটা আজ পাওয়াতে রূপান্তরিত হতে চলেছে। তেমনই একটা দিন ছিল গত ২ ফেব্রুয়ারি। এই দিনে মিরপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষা সফর অনুষ্ঠিত হয় গাজীপুরের সোহাগপল্লীতে। সকাল সাড়ে ৮টায় গড়াল গাড়ির চাকা। একজন আরেকজনের দিকে তাকিয়ে, ঠোঁটের কোণে সবারই তৃপ্তির হাসি। মুখে তেমন কিছু না বললেও সবার চোখ যেন একটা কথাই বলছে, ‘অবশেষে আমরা যাচ্ছি।’ বাস ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাসের ভেতর শুরু হয় উৎসবের কলরব। বাসের গতি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গান, আড্ডা আর হৈ-হুল্লোড় আরও বাড়তে থাকে। সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের স্মৃতি ধরে রাখতে চলে ফটো ও ভিডিও সেশন। কেউ গান শুনছে বা গাইছে, কেউ দাঁড়িয়ে বাসের সামনের পথ দেখছে। অবশেষে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পৌঁছলাম কাক্সিক্ষত গন্তব্য সোহাগপল্লীতে। প্রবেশদ্বার দিয়ে ভেতরে ঢুকতেই চোখে পড়ল বাচ্চাদের খেলার নানান সামগ্রী। তারপরই রয়েছে একটি ছোট চিড়িয়াখানা। পাশে বিভিন্ন প্রজাতির জবা ফুলসহ অনেক ধরনের লতাপাতাজাতীয় গাছ। পাশেই একটা পুকুর। পুকুরের উপর দিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে দৃষ্টি নন্দন ব্রিজ। সেখান থেকে আরও একটু এগিয়ে গেলেই চোখে পড়ল ৫ নম্বর মাঠ। অল্প সময়ের মধ্যেই ৫ নম্বর মাঠটি পরিণত হলো যেন এক খ- মিরপুর কলেজে। কিছু সময় পরই শুরু হলো নানা রকম ইভেন্ট। শিক্ষার্থীদের মোরগ লড়াই, পিলো বদল, ফুটবলে গোল দেয়া ইত্যাদি এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মজার মজার গান ও নৃত্য। এরমধ্যে সবচেয়ে মজার ছিল কলেজের প্রিন্সিপাল স্যারের গাওয়া ‘অল্প না বয়সের সখিনা ছেরি আমার মনটা ক্যান করলি চুরি’ গানটি। মনোমুগ্ধ স্রোতার মতো শুনেছে উপস্থিত সকল ছাত্র-শিক্ষক। গানটি শেষ হতে না হতেই সমস্বরে আওয়াজ ওয়ান মোর ওয়ান মোর বলে। এরপর দুপুরের বিরতি এবং লান্সপর্ব শুরু হয়। সারিবদ্ধভাবে লান্স গ্রহণ করার পর আবার অনুষ্ঠানে ফিরে আসে শিক্ষার্থীরা। এরপর শুরু হলো ফটো সেশন। শিক্ষার্থীরা নিজেদের মতো করে স্মৃতির ফ্রেমে বেঁধে রাখতে চাইছে দিনটাকে। এরমধ্যে কেউ কেউ সেলফি তুলছে প্রিয় শিক্ষকের সঙ্গে। ইচ্ছা না থাকলেও অনাবিল প্রশান্তির এই ভূখ- থেকে এবার ফেরার পালা। বিকেল ৫টার দিকে রওনা দিলাম সেই চিরসবুজ ক্যাম্পাসের দিকে। তবে ট্যুরে অতিবাহিত সময়টুকু আজীবন বাঁধা থাকবে স্মৃতির মণিকোঠায়। বৈশাখি আক্তার তন্নি
×