
ছবি: সংগৃহীত
চোখে আঞ্জনি হলে যন্ত্রণার শেষ থাকে না। চোখ ফুলে ঢোল হয়ে যায়, অনেক সময় ব্যথা ও পুঁজ তৈরি হয়। চিকিৎসাবিজ্ঞানে এ সমস্যা স্টাই (Stye) নামে পরিচিত। এটি সাধারণ একটি ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ হলেও খুব অস্বস্তিকর ও যন্ত্রণাদায়ক হয়।
চোখে আঞ্জনি হওয়ার মূল কারণ হলো ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন, বিশেষ করে Staphylococcus aureus ব্যাকটেরিয়া। সংক্রমণ ঘটে চোখের পাপড়ির তলদেশে থাকা তেল গ্রন্থি অথবা আশপাশের চুলের ফলিকলগুলোতে। অপরিষ্কার হাত দিয়ে চোখে স্পর্শ করা, পুরনো বা নোংরা আই মেকআপ ব্যবহার, অপরিষ্কার কনট্যাক্ট লেন্স পরা, ব্লেফারাইটিস, চোখে ধুলো বা জীবাণু ঢুকে যাওয়া, ডায়াবেটিস বা দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও আঞ্জনির কারণ হতে পারে।
আঞ্জনি হলে করণীয়:
-
গরম সেঁক দিন: দিনে ৩-৪ বার ১০ মিনিট করে গরম জলে ভেজানো পরিষ্কার কাপড় দিয়ে চোখে সেঁক দিতে পারেন। এতে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়, যন্ত্রণাও কমে এবং পুঁজ দ্রুত বেরিয়ে যেতে সাহায্য করে।
-
চোখ পরিষ্কার রাখুন: হালকা স্যালাইন ওয়াটার বা অ্যান্টিসেপ্টিক ওয়াইপ দিয়ে চোখের চারপাশ পরিষ্কার রাখুন।
-
ব্যথা কমাতে প্যারাসিটামল: যন্ত্রণা বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শে প্যারাসিটামল বা আইবুপ্রোফেন খেতে পারেন।
-
মেকআপ ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন: আঞ্জনি সম্পূর্ণ সেরে না যাওয়া পর্যন্ত কোনও ধরনের আই মেকআপ ব্যবহার করা উচিত নয়।
-
প্রয়োজন হলে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার: দীর্ঘস্থায়ী বা গুরুতর সংক্রমণের ক্ষেত্রে ডাক্তার অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ বা অয়েন্টমেন্ট দিতে পারেন।
যা করা থেকে বিরত থাকতে হবে:
-
আঞ্জনি চেপে ধরবেন বা ফাটাবেন না, কারণ এতে সংক্রমণ ছড়াতে পারে।
-
ময়লা হাতে চোখে স্পর্শ করবেন না, যাতে সংক্রমণ বাড়ে না।
-
সমস্যা না সেরে যাওয়া পর্যন্ত কনট্যাক্ট লেন্স ব্যবহার করবেন না।
-
অন্য কারো তোয়ালে বা রুমাল ব্যবহার করবেন না, সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে।
সতর্কতা অবলম্বন ও নিয়ম মেনে চললে আঞ্জনি সহজেই এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব। যদি সমস্যা ঘন ঘন হয় বা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তবে অবশ্যই চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
রাকিব