ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি, স্বস্তির সঙ্গে ভোগান্তিও

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপের প্রভাবে বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ ঘুম থেকে জেগেছেন বৃষ্টির শব্দে। টানা গরমের পর এই বৃষ্টি যেমন এনেছে স্বস্তি, তেমনি দুর্ভোগও তৈরি করেছে কর্মজীবী মানুষ ও শিক্ষার্থীদের জন্য।

ছাতা হাতে দুর্ভোগ, যানজটে নাকাল রাজধানীবাসী

রাজধানী ঢাকায় খুব ভারী না হলেও সকাল থেকেই হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হচ্ছে। এতে কর্মজীবী মানুষ ও শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছেন।

বৃষ্টি শুরুতে স্বস্তিদায়ক লাগলেও কিছু সময় পর তা ভোগান্তির রূপ নেয়। অনেকে ছাতা নিয়েও পুরোপুরি ভিজে যান, আবার অনেকেই বাসা থেকে বের হতে না পেরে দেরিতে পৌঁছান গন্তব্যে।

গুলিস্তান ফুলবাড়িয়া ও বিজয়নগরের মতো ব্যস্ত এলাকায় সকাল ১০টার দিকে দেখা গেছে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে মানুষ বাসের অপেক্ষায়। প্রতিটি বাস থামলেই হুড়োহুড়ি শুরু হয় ওঠার জন্য।

 আগামীকালও চলবে বৃষ্টি, কমবে তাপমাত্রা

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, আগামীকাল শুক্রবার (৩১ মে) পর্যন্ত এই বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।

আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ বলেন, এবার মৌসুমী বায়ু স্বাভাবিকের তুলনায় আগেই দেশে প্রবেশ করেছে। ইতোমধ্যে বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ এবং ঢাকা বিভাগের কিছু অংশে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু ঢুকে পড়েছে।

তিনি আরও জানান, রংপুর বিভাগ ছাড়া দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলেই এখন বৃষ্টির প্রভাব দেখা যাচ্ছে।

এ সময়ে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রাও কিছুটা হ্রাস পাবে।

নিম্নচাপ থেকে গভীর নিম্নচাপে রূপ নেওয়ার সম্ভাবনা, তবে ঘূর্ণিঝড় নয়

আবহাওয়া অধিদফতরের বিশেষ বুলেটিনে জানানো হয়েছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি ঘনীভূত হয়ে একটি নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।

এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও উপকূলীয় এলাকায় ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এজন্য:

• চট্টগ্রাম

• কক্সবাজার

• মোংলা

• পায়রা

এই চারটি সমুদ্রবন্দরে স্থানীয় সতর্কতা সংকেত নম্বর ৩ দেখাতে বলা হয়েছে।

এছাড়া, উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার ট্রলার ও নৌকাগুলোকে উপকূলে ফিরে আসতে ও পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদে নোঙর করে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

বৃষ্টিপাত ও তাপমাত্রা: কোথায় কত?

• গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে পটুয়াখালীর কুয়াকাটার খেপুপাড়ায়, যেখানে ৯১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।

• ঢাকায় একই সময়ে ৬ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড হয়েছে।

• অন্যদিকে, দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা রেকর্ড করা হয়েছে নীলফামারীর ডিমলায়।