ছবি: দৈনিক জনকন্ঠ।
নরসিংদীতে অপহরণের শিকার এক কলেজ ছাত্রকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় অপহরণকারী চক্রের ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।শুক্রবার(৩০ মে) রাতে শিবপুর উপজেলার খড়িয়া এলাকা থেকে উদ্ধার এবং আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।
অপহরণের শিকার সাইফুল ইসলাম(২৬) রায়পুরা উপজেলার মাহমুদাবাদ এলাকার বাইতুল মুকাদ্দাসের ছেলে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, পলাশ উপজেলার জিনারদী ইউনিয়নের বাড়ারচর এলাকার মনিরুজ্জামানের ছেলে ইফতিয়ার (২০), চরনগরদি এলাকার ফারুক মিয়ার ছেলে সিজান(১৯) এবং শিবপুর উপজেলার খড়িয়া এলাকার মৃত মান্নান প্রধানের ছেলে নাঈস (১৬)। এসময় তাদের কাছ থেকে ১টি ছুরি ও ১টি চাপাতি উদ্ধার করা হয়। শনিবার(৩১মে ) দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানায় শিবপুর থানা পুলিশ।
পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে ফেসবুকে টিউশনির বিজ্ঞাপন দিয়ে অপহরণ করে আসছিলো একটি চক্র। প্রথমে চক্রটি বিভিন্ন পেইজের মাধ্যমে টিচার প্রয়োজন এরূপ বিজ্ঞাপন দিতো। বিজ্ঞাপন দেখে কেউ আগ্রহ প্রকাশ করলে তাকে ইনবক্সের মাধ্যমে কোথায় আসতে হবে তা জানিয়ে দেওয়া হতো।
এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার বিকেলে এলএলবি প্রথম বর্ষের ছাত্র সাইফুল ইসলামকে টিউশনির কথা বলে শিবপুরের বন্যার বাজার এলাকায় আসতে বলে চক্রটি। পরে সেখান থেকে চক্রটির সদস্য ইফতিয়ার, সিজার ও নাঈম তিনজন মিলে তাকে শিবপুরের গোবিন্দি ও খড়িয়ার মধ্যবর্তী নির্জন খাল পাড় নিয়ে আটকে রেখে মারধর করে এবং তার কাছ থেকে টাকা পয়সা কেড়ে নেয়। একপর্যায়ে সাইফুলের ব্যবহৃত মোবাইল দিয়ে তার বাবা ভাইয়ের নিকট ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে ।
পরে সাইফুলের বাবা ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে বিস্তারিত যানান। এরপর শিবপুর থানা পুলিশ বিষয়টি অবগত হলে সাইফুলকে উদ্ধারে নামে পুলিশ । স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় উপজেলা খড়িয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাইফুলকে উদ্ধার করাসহ অপহরণকারী ৩ জনকে আটক করে পুলিশ। এসময় আসামিদের কাছ থেকে ১টি ছুরি ও ১টি চাপাতি উদ্ধার করা হয়। আটককৃতদের বিরুদ্ধে সাইফুলের মা বাদি হয়ে শিবপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।
শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আফজাল হোসাইন জানান, "শুক্রবার রাতে ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে আমরা অপহরণের শিকার সাইফুলকে উদ্ধারে নামি। পরে ঐ রাতেই তাকে উদ্ধার করে অপহরণকারী ৩জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ৩ জনের নামে মামলা হয়েছে। পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া চলমান।"
পৃথী
