রাস্তার পাশে ময়লার ভাগাড়,নাক চেপে চলাচল মানুষের

২৪টি গ্রামের ময়লা আবর্জনা নিয়ে এসে ফেলা হচ্ছে রাস্তার পাশেই,পথচারীদের কি রকম কষ্ট হচ্ছে সেটি দেখার যেন কেউ নেই,চারপাশে আবাসিক এলাকাও রয়েছে,একাধিকবার পৌরসভায় যোগাযোগ করেও মেলেনি প্রতিকার। গাইবান্ধার পলাশবাড়ী পৌরসভার গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী সড়কের রাস্তার পাশে ময়লার ভাগাড়ে এসব ময়লার স্তূপ থেকে বের হওয়া উৎকট দুর্গন্ধ ও ধোঁয়ায় চরম বিপাকে পড়ছেন পথচারীসহ পৌরবাসী।

সরেজমিনে জানা যায়, তৃতীয় শ্রেণির পলাশবাড়ী পৌরসভাটিতে নির্দিষ্ট কোনো পয়েন্টে ডাস্টবিন নেই। ফলে পলাশবাড়ী-গাইবান্ধা সড়কের পাশেই পৌরসভার আবর্জনা ফেলা হয়। আর এ সড়কের পাশেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অবস্থিত। সেখান থেকে মাত্র ২শ’ গজ দূরে এমন যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনার ভাগারের স্তুপটি জনজীবন আরও দুর্বিষহ করে তুলেছে।

স্থানীয়রা বলেন, অপরিকল্পিতভাবে দিনের পর দিন পৌরসভা থেকে এসব ময়লা-আবর্জনা ফেলায় দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। নাকে কাপড় কিংবা নিশ্বাস বন্ধ না করে এই রাস্তা দিয়ে যাওয়া একেবারে অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এছাড়া এখানে সব সময় ময়লায় উৎপন্ন মিথেন গ্যাসের আগুন জ্বলতে থাকে।

স্থানীয়রা আরও বলেন, সেখান থেকে প্রতিনিয়ত যে দুর্গন্ধ ও ধোঁয়া বের হচ্ছে তাতে দূষিত হচ্ছে আশপাশের পরিবেশ। স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের পাশাপাশি পথচারীদের নাকে কাপড় চেপে চলাচল করতে হয়। ময়লার দুর্গন্ধ ও ধোঁয়ায় ছাত্র-ছাত্রীসহ আশপাশের অনেকেই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। আমরা পৌরসভায় বার বার অভিযোগ করেও কোনো সমাধান পাচ্ছি না।

সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও পৌর প্রশাসক মো. আল ইয়াসা রহমান তাপাদার বলেন, পৌরসভায় ময়লা-আবর্জনা রাখার জন্য নিজস্ব কোনো ডাস্টবিন বা জমি নেই। তবে পৌরসভার পক্ষ থেকে জমি খোঁজা হচ্ছে।জমি পেলেই ওই জায়গায় আর ময়লা আবর্জনা ফেলা হবে না।