
ছবি: দৈনিক জনকন্ঠ।
শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে রাজশাহীতে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করে কার্যকর বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
বক্তারা আক্ষেপ করে বলেন, আইন অনুযায়ী তামাকজাত পণ্যের বিজ্ঞাপন ও প্রচার নিষিদ্ধ হলেও বাস্তবায়নের ঘাটতির কারণে তরুণ প্রজন্ম তামাক কোম্পানির নানা কূটকৌশলের শিকার হচ্ছে।
দিবসটি উপলক্ষ্যে শনিবার (৩১ মে) রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ উপলক্ষ্যে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। এতে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ।
এর আগে ‘তামাক কোম্পানির কূটকৌশল উন্মোচন করি, তামাক ও নিকোটিন মুক্ত বাংলাদেশ গড়ি’- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। এতে অংশ নেন প্রশাসনের কর্মকর্তা, বিভিন্ন দফতরের প্রতিনিধি, স্বাস্থ্যকর্মী ও শিক্ষার্থীরা।
পরে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, তামাকপণ্য জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি। একজন ধূমপায়ী নিজেই ক্ষতিগ্রস্ত হন, পাশাপাশি অন্যকেও ক্ষতির মুখে ফেলেন। তাই তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করে কার্যকর বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
বক্তব্যে উঠে আসে, ক্যানসার, হৃদরোগ, হাঁপানি, স্ট্রোক, ডায়াবেটিসসহ নানা জটিল রোগ সম্পর্কে জানার পরও অনেকেই তামাক ব্যবহার থেকে সরে আসছেন না। কেবল আইন করে এই অভ্যাস বন্ধ করা সম্ভব নয়; এজন্য প্রয়োজন সামাজিক আন্দোলন।
বক্তারা বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণে খেলাধুলা ও শারীরিক চর্চা অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। তাই তরুণ প্রজন্মকে খেলাধুলার সঙ্গে সম্পৃক্ত করে তামাকমুক্ত সমাজ গড়ার আহ্বান জানান তাঁরা।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের প্রকল্প বাস্তবায়ন অধিশাখার যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ সফিউল আলম, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব আবু সুফিয়ান এবং রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. এসআইএম রাজিউল করিম। সভা সঞ্চালনা করেন সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লায়লা নূর তানজু।
মিরাজ খান