
সোমবার ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুশীলনে বাংলাদেশের তিন নারী ফুটবলার
এএফসি নারী এশিয়ান কাপ বাছাই ফুটবল খেলতে আজ মধ্যরাতে ঢাকা ছাড়বে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল। এর আগে বিকেলে মতিঝিলের বাফুফে ভবনে হবে সংবাদ সম্মেলন। সেখানে সার্বিক অবস্থা ও লক্ষ্যের কথা জানানো হবে। বাংলাদেশ তাদের ম্যাচগুলো খেলবে মিয়ানমারে। সেখানে নারী ফুটবলারদের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে।
এর আগে গত মার্চে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে টুর্নামেন্টের ড্র অনুষ্ঠিত হয়। বাছাইপর্বে অংশ নিতে যাওয়া ৩৪টি দলকে আট গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। ছয়টি গ্রুপে আছে চারটি করে দল। পাঁচ দলের গ্রুপ করা হয়েছে দুটি। বাছাইপর্বের আয়োজক দেশগুলো হলো কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, জর্ডান, মিয়ানমার, তাজিকিস্তান, থাইল্যান্ড, উজবেকিস্তান এবং ভিয়েতনাম। বাংলাদেশের জন্য এই বাছাইপর্ব কঠিন চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে।
বাংলাদেশের গ্রুপে থাকা মিয়ানমার ও বাহরাইন র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়েছে আছে। এই গ্রুপে কেবল তুর্কমেনিস্তানই (১৪১তম) বাংলাদেশ (১২৮তম) থেকে পিছিয়ে আছে। নারীদের ফুটবলে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ৫৫তম স্থানে থাকা মিয়ানমার এই গ্রুপের শীর্ষ র্যাঙ্কের দল, বাহরাইন র্যাঙ্কিংয়ে ৯২তম স্থানে রয়েছে। বাছাইপর্ব শুরু হয়েছে সোমবার, চলবে ৫ জুলাই পর্যন্ত।
আটটি গ্রুপ বিজয়ী ২০২৬ সালের ১ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত তিনটি আয়োজক শহরে অনুষ্ঠিতব্য চূড়ান্ত পর্বে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন চীন, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র এবং জাপানের সঙ্গে যোগ দেবে। বাংলাদেশের মিশন শুরু হবে ২৯ জুন। টুর্নামেন্টে ভালো করার জন্য বাংলাদেশ অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার, ঋতুপর্ণা চাকমাদের মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের ওপর নির্ভর করবে।
জর্দানে ত্রিদেশীয় সিরিজে ভালো করার পর আত্মবিশ্বাস বেড়েছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের। র্যাঙ্কিংয়ে উপরের দিকে থাকা জর্দান ও ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে ড্রয়ে নতুন স্বপ্নের জাল বুনেছে কোচ পিটার বাটলারের দল। নারী ফুটবলের ইতিহাসে প্রথমবার এশিয়া কাপে খেলার স্বপ্ন দেখছে মেয়েরা। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে আগে পাড়ি দিতে হবে বাছাই পর্বের গ-ি। বাংলাদেশের এএফসি নারী এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের শুরু ২৯ জুন। গ্রুপ ‘সি’তে সেরা হতে পারলেই এশিয়া কাপের মূল পর্বে খেলার স্বপ্নপূরণের উচ্ছ্বাসে ভাসবেন আফঈদা খন্দকার-ঋতুপর্ণা চাকমারা।