
ছবি: সংগৃহীত
সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে হারের পরেও আশাবাদী কণ্ঠে ফুটবলের সম্ভাবনার কথা বললেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। জাতীয় স্টেডিয়ামে জমজমাট পরিবেশে অনুষ্ঠিত ম্যাচে শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলে হারলেও, মাঠ ও গ্যালারি—দুটোতেই ফুটেছিল ফুটবলপ্রীতির জোয়ার।
ম্যাচ শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে আসিফ মাহমুদ সজীব বলেন, “বাংলাদেশের ফুটবল নিয়ে যে নতুন জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে, আমরা সেটাকে পজিটিভলি কাজে লাগাতে চাই। দর্শকদের আস্থা ও ভালোবাসা আবার ফিরিয়ে আনতে পেরেছি—এটাই বড় অর্জন।”
ঈদের ছুটিতে উপচে পড়া দর্শক, ঢাকার বাইরে থেকেও আগত সমর্থক এবং জাতীয় দলের প্রতি মানুষের নতুন করে জেগে ওঠা আগ্রহ দেখে খুশি ক্রীড়া সংশ্লিষ্ট মহল। যদিও সিঙ্গাপুরের কাছে হেরে গেছে বাংলাদেশ, তবুও রাকিব হোসেনের দুর্দান্ত গোল এবং দলীয় প্রচেষ্টা সামগ্রিকভাবে আশাব্যঞ্জক বলে মনে করছেন অনেকে।
মাঠের ফলাফল মন ভরাতে না পারলেও গ্যালারিতে উপস্থিত হাজারো দর্শকের উচ্ছ্বাস, খেলার প্রতি আগ্রহ এবং হামজা চৌধুরীর মতো খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স নিয়ে আলোচনাগুলো দেশের ফুটবলের ভবিষ্যৎকে ঘিরে একটি ইতিবাচক আবহ তৈরি করছে।
এক দর্শক বলেন, “হামজা সমিতরা আজকে অনেক ভালো খেলাটা আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। আগের চেয়ে ভালো খেলেছে বাংলাদেশ। সামনে ভালো কিছু হবে বলেই বিশ্বাস।”
বাংলাদেশের ফুটবল এখন আর শুধু মাঠের খেলা নয়—এটি হয়ে উঠছে মানুষের আবেগ, পরিচয় ও প্রেরণার প্রতীক। আর এই আবেগের শক্তিকে সংগঠিতভাবে কাজে লাগানোর আহ্বান জানাচ্ছেন ক্রীড়া উপদেষ্টা।
Mily