ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মেসিদের সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে

প্রকাশিত: ১৮:২১, ১০ জানুয়ারি ২০২৩; আপডেট: ১৮:২৮, ১০ জানুয়ারি ২০২৩

মেসিদের সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল

২০১১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে ফিফা প্রীতি ম্যাচ খেলেছিল বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় এই দলটি।

কাতার বিশ্বকাপ কেন্দ্র করে বাংলাদেশে আর্জেন্টিনাকে সমর্থনের ঢেউ উঠেছিল। সে খবর পৌঁছে গেছে খোদ মেসিদের দেশেই। মেসিরাও জানে বাংলাদেশে তাদের সমর্থকদের কথা। সেসব বিবেচনা করেই দ্বিতীয়বার আর্জেন্টিনাকে ঢাকায় এনে ম্যাচ খেলানোর পরিকল্পনা করছে বাফুফে। এমনকি প্রতিপক্ষ হিসেবে ব্রাজিলকে পাওয়ারও চেষ্টা করবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন।
 
আর্জেন্টিনার ম্যাচ ঢাকায় হলে সেটা জুন-জুলাইয়ের আগে নয়। কারণ, যে ভেন্যুতে খেলা হবে সেই বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে চলছে বড় ধরণের সংস্কার কাজ। কবে নাগাদ এই স্টেডিয়াম মেসিদের ম্যাচ আয়োজনের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হবে?

মঙ্গলবার এমনটি জানতে চাওয়া হয়েছিল যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপির কাছে। কারণ, জুন-জুলাইয়ে খেলা হলে তার অনন্ত এক মাস আগে স্টেডিয়ামে পরিপূর্ণভাবে ম্যাচ আয়োজনের উপযুক্ত করে তুলতে হবে। ওই সময় ফিফা মাঠ পর্যবেক্ষণও করবে।

এ বিষয়ে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমরা এরই মধ্যে কয়েকবার বৈঠক করেছি বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ নিয়ে। অ্যাথলেটিকস ট্র্যাক নির্মাণের যে ঠিকাদার আছে তারা বলেছে এটা আমাদের ফেব্রুয়ারির মধ্যেই বুঝিয়ে দেবে। মার্চ মাসটা আমরা রেখেছি মাঠে ঘাস লাগানোর জন্য। বাকি কাজগুলো বাইরে থেকে ক্রেন লাগিয়ে হবে, যাতে মাঠের মধ্যে খেলার কোন ব্যঘাত না হয়। মাঠে যাতে খেলাধুলা চালু করতে পারি তার জন্য এরই মধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, এপ্রিলের মধ্যেই কাজ কাজ শেষ করতে। এপ্রিলের পর আমরা আর যেতে চাই না।’

গ্যালারিতে শেড দেওয়ার বড় একটা কাজের বেশি কিছু হয়নি এখনো। এ প্রসঙ্গে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ‘এই শেডের জন্য বাজেট বর্ধিত করা হয়েছে। এই কাজটা বাইরে থেকে করা হবে। ভেতরে খেলাধুলার কোন সমস্যা হবে না।’

মাঠের ঘাস প্রসঙ্গে মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি বলেছেন,‘পুরো মার্চ মাসটা আমরা সময় নিয়েছি। ফুটবল মাঠের ঘাস নিয়ে বিভিন্ন রকম বিতর্ক থাকে। এটা মানসম্পন্ন হয়নি, বিভিন্ন রকমের ঘাস লাগানো হয়েছে... ইত্যাদি ইত্যাদি। অতীতে এরকম নানা কথাবার্তা উঠেছে। যে কারণে, ঘাস লাগানোর দায়িত্বটা বাফুফেকে দিয়েছি। 

কারণ, তারাই এটা ব্যবহার করবে। তারা যাতে ভালো মান দেখে ঘাস লাগাতে পারে। তারা তাদের উপযোগী যেন করে তুলতে পারে। সে জন্যই তাদেরকে আমরা দায়িত্ব দিয়েছি। বাফুফে মার্চ মাসটা সময় নিয়েছে। তারা এপ্রিলের মধ্যে মাঠ বুঝিয়ে দিতে পারবে বলে আমাকে জানিয়েছে।’

কেবল মাঠ তৈরি করলেই তো হবে না। আর্জেন্টিনার মতো দলকে আনতে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার যা দরকার স্টেডিয়ামের সেগুলো কি জুন-জুলাইয়ের মধ্যে তৈরি করা সম্ভব? এমন প্রশ্নের জবাবে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমাদের হাতে এখনো ৬ মাস সময় আছে। তাই ফ্লাড লাইট নিয়ে আমরা দরপত্র প্রক্রিয়ায় যাচ্ছি। আসলে সবকিছুর মূলে রয়েছে আর্থিক বিষয়। আমাদের আর্থিক যে সমস্যাটা আছে সেটা সমাধানের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে চেষ্টা করছি। ফ্লাড লাইটের যে সমস্যা আছে সেটা জুনের আগেই সমাধান করা যাবে।’

বর্ধিত বাজেট কবে অনুমোদ হবে, কবেই বা সব কাজ শেষ হবে? এমন প্রশ্নে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ‘বর্ধিত যে বাজেট তার জন্য মাঠে খেলার কোন সমস্যা হবে না। ওই বাজেটটা হচ্ছে কেবল শেডটাকে ঘিরে। ওটা আমরা বাইরে থেকে কাজ করতে পারবো। দরকার হলে এই কাজটা এক দুইমাস বন্ধ থাকবে। আমার মনে হয় বর্ধিত বাজেটের শেড স্থাপনের যে কাজ সেটা আমরা আর্জেন্টিনা টিম এসে যাওয়ার পর শুরু করবো। 

গ্যালারিতে চেয়ার বসানোর দরপত্র প্রক্রিয়াধিন রয়েছে। পাশপাশি ফ্লাডলাইটের দরপত্রও দেবো। অন্য কাজ যেহেতু হয়নি তাই ফ্লাডলাইটটা এখনো চিন্তা করিনি। এর আগে আমরা ২০১১ সালে আর্জেন্টিনাকে যেভাবে স্বাগত জানিয়েছিলাম, যে ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিয়েছিলাম, যেমন মাঠে খেলিয়েছিলাম, আমরা আশা করি, তার চেয়ে উন্নত মাঠ এবং সুযোগ-সুবিধা দিয়ে মেসিদের দলকে স্বাগত জানাতে পারবো ইন্শাআল্লাহ।’

 

এমএস

সম্পর্কিত বিষয়:

×