
টাইম ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর গবেষণার ফলাফল—চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করলে আমাদের সমালোচনামূলক চিন্তাশক্তি হ্রাস পেতে পারে। MIT Media Lab-এর গবেষক নাতালিয়া কোসাইমিনা এবং তার সহগবেষকরা একটি গবেষণায় দেখেছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ওপর নির্ভরশীলতা মানুষের মস্তিষ্কের সক্রিয়তায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
গবেষণার কাঠামো কী ছিল?
গবেষণায় অংশগ্রহণকারী ৫৪ জন ব্যক্তিকে তিনটি দলে ভাগ করা হয়:
-
চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারীরা
-
গুগল সার্চ ব্যবহারকারীরা
-
কোনো প্রযুক্তি ব্যবহার না করে নিজে লেখার দল
তিনটি দলকেই নির্দিষ্ট বিষয়ে একাধিক প্রবন্ধ লেখার কাজ দেওয়া হয়। লেখার সময় তাদের মস্তিষ্কের EEG (Electroencephalogram) রেকর্ড করা হয়, যা ব্রেইন অ্যাকটিভিটি পরিমাপ করতে সহায়ক।
কী দেখা গেলো?
গবেষণার ফলাফল ছিল উদ্বেগজনক:
-
চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারীদের মস্তিষ্কের সক্রিয়তা ছিল সবচেয়ে কম
-
তারা ভাষাগত ও আচরণগতভাবে সবচেয়ে দুর্বল পারফরম্যান্স করেছে
-
সময়ের সাথে তারা ধীরে ধীরে আরও অলস হয়ে পড়েছে, অধিকাংশই শেষে গিয়ে কপি-পেস্টে ভরসা করেছে
গবেষকরা বলেন, চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারীরা মেশিনের ওপর এতটাই নির্ভরশীল হয়ে পড়ে যে নিজেরা আর ভাবনার চেষ্টা করে না। এভাবে নিয়মিত AI-ভিত্তিক টুল ব্যবহার করলে মানুষের মৌলিক বিশ্লেষণক্ষমতা, ভাষাগত দক্ষতা এবং লেখার অভ্যাস ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
কী বার্তা দিল এই গবেষণা?
এই গবেষণা আমাদের মনে করিয়ে দেয়, চ্যাটজিপিটির মতো টুল কেবলমাত্র সহায়ক হিসেবে ব্যবহার করলেই সুফল মিলবে। পুরোপুরি নির্ভরশীল হলে তা আমাদের চিন্তাশক্তি ভোঁতা করে দিতে পারে।
MIT-এর গবেষণা সমাজের সামনে এক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছে:
“আমরা কি প্রযুক্তির সুবিধার জন্য নিজেদের চিন্তা করতেই ভুলে যাচ্ছি?”!
Jahan