ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২

গুগলে কখনোই খুঁজবেন না এই ১০টি জিনিস!

প্রকাশিত: ০৭:২৪, ১৭ জুন ২০২৫

গুগলে কখনোই খুঁজবেন না এই ১০টি জিনিস!

অনলাইনে যেকোনো তথ্য জানতে এখন সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হলো গুগল। তবে সব প্রশ্নের উত্তর জানা গেলেও, কিছু প্রশ্নের উত্তর জানার চেষ্টা আপনার জন্য হতে পারে ভয়ংকর। ইন্টারনেটের অন্ধকার জগতে এমন কিছু বিষয় রয়েছে যা কেবল অস্বস্তিকরই নয়, বরং শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে দিতে পারে। তাই অনলাইন অনুসন্ধানের ফাঁদ থেকে রক্ষা পেতে গুগলে কিছু বিষয় কখনোই সার্চ করা উচিত নয়। এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হলো এমন ১০টি বিষয়ের কথা, যা গুগলে সার্চ করলেই আপনার মনে গেঁথে যেতে পারে এক অনাকাঙ্ক্ষিত দুঃসহ অভিজ্ঞতা।

১. Two Girls, One Cup
২০০৭ সালের একটি ব্রাজিলিয়ান পর্নোগ্রাফিক ভিডিও, যার অনানুষ্ঠানিক নাম ‘Two Girls, One Cup’। এতে এমন এক বিকৃত যৌন আচরণ দেখানো হয়েছে যা ‘কোপ্রোফিলিয়া’ নামে পরিচিত—যেখানে মানুষ মল দ্বারা যৌন আনন্দ পায়। ভিডিওটি এতটাই অশ্লীল ও বীভৎস যে একবার চোখে পড়লেই তা ভুলে যাওয়া কঠিন।

২. ধূমপায়ীর ফুসফুস (Smoker’s lungs)
"ধূমপান মৃত্যু ডেকে আনে"—এই সতর্কবার্তা যতই চোখে পড়ুক, ধূমপানের ক্ষতিকর দিক অনুধাবন করতে চাইলে একবার গুগলে ‘Smoker’s lungs’ সার্চ করলেই যথেষ্ট। এতে দেখা যাবে স্বাভাবিক ও ধূমপায়ীর ফুসফুসের পার্থক্য, যা এতটাই ভয়ঙ্কর যে, ধূমপানের ইচ্ছাই চলে যেতে পারে।

৩. Mr. Hands
‘Mr. Hands’ নামটি শুনে নিরীহ মনে হলেও এর পেছনে রয়েছে ভয়ংকর কাহিনি। প্রকৃত নাম কেনেথ পিনিয়ানা, একজন প্রাক্তন ইঞ্জিনিয়ার যিনি ঘোড়ার সঙ্গে বিকৃত যৌনসম্পর্ক স্থাপন করতেন এবং তা ভিডিও করতেন। একবার এমন এক ঘটনার পর তিনি মারাত্মক অভ্যন্তরীণ আঘাতে মারা যান। এই ঘটনা নিয়ে ২০০৭ সালে একটি ডকুমেন্টারি ‘Zoo’ নির্মিত হয়।

৪. বিভিন্ন রোগের উপসর্গ (Symptoms of various ailments)
মাথা ব্যথা কিংবা শরীরে হালকা ব্যথা হলেই অনেকেই গুগলে সার্চ করে ফেলেন, কিন্তু এর ফলাফল অনেক সময় বিভ্রান্তিকর ও আতঙ্কজনক হতে পারে। গুগলে পাওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে ভুল চিকিৎসা বা অকারণ মানসিক চাপ তৈরি হতে পারে। তাই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়াই ভালো।

৫. Inside trash can
‘Inside trash can’ শব্দগুচ্ছটি সার্চ করলে নোংরা ও বর্জ্যপূর্ণ ছবি চোখে পড়বে, যা যতটা না ভয়ঙ্কর, তার চেয়েও বেশি অস্বস্তিকর। এই ছবিগুলো দেখে আপনি আপনার মনোযোগ পুরোপুরি হারিয়ে ফেলতে পারেন।

৬. Rat king
‘Rat king’ শব্দটি শুনে যদি মনে হয় কোনো রাজকীয় ইঁদুরের গল্প, তাহলে ভুল করছেন। এটি আসলে এমন এক দৃশ্য যেখানে একসঙ্গে অনেকগুলো ইঁদুরের লেজ চিটচিটে বা লোমযুক্ত পদার্থের মাধ্যমে জট পাকিয়ে একত্রিত হয়ে যায়। দৃষ্টিকটুভাবে বাঁধা এই ইঁদুরগুচ্ছের ছবি মানসিকভাবে চরম অস্বস্তিকর।

৭. Mouth larva
মুখের ভেতর লার্ভা বা পোকা—শুনলেই গা শিউরে ওঠে। এটি একটি প্যারাসাইট যা দূষিত খাবার বা পানির মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে। এটি মুখগহ্বরে বাসা বাঁধতে পারে এবং চিকিৎসা না করলে মারাত্মক সংক্রমণ, টিস্যু ধ্বংস এবং মৃত্যুর ঝুঁকি পর্যন্ত বাড়ায়। গুগলে এর ছবি দেখা মানেই আতঙ্কে পড়া।

৮. Red pill
আপনি যদি মনে করেন ‘Red pill’ মানেই ‘The Matrix’ সিনেমার রেফারেন্স, তাহলে ভুল ভাবছেন। গুগলে এই শব্দটি সার্চ করলে আপনি পৌঁছে যাবেন Reddit-এর ‘The Red Pill’ কমিউনিটিতে, যা একপ্রকার নারীবিদ্বেষী ও পুরুষ আধিপত্যবাদী মতাদর্শে পূর্ণ। এই প্ল্যাটফর্মে পুরুষদের পক্ষ নিয়ে নারীদের বিরুদ্ধাচরণে উস্কানি দেওয়া হয়।

৯. ফাস্ট ফুডে পাওয়া অদ্ভুত জিনিস (Things people have found in fast food)
দ্রুত খাবারে নানান অস্বাভাবিক জিনিস পাওয়ার খবর মাঝে মাঝেই শোনা যায়। একবার কেউ খুঁজে পেয়েছিল একটি স্যুপ ক্যানের ভিতর মৃত ইঁদুর, আরেকজন Subway স্যান্ডউইচে কামড় দিয়ে পেয়েছিলেন ধারালো ছুরি। এমনকি পিজ্জার ভেতর রক্তমাখা ব্যান্ডেজও পাওয়ার ঘটনা রয়েছে। এমন সব ছবি ও গল্প গুগলে দেখা মানে নিজের রুচি ও ক্ষুধা হারিয়ে ফেলা।

১০. Calculus bridge
‘Calculus bridge’ শব্দটি শুনে যদি মনে হয় গাণিতিক কিছু, তাহলে ভুল করছেন। এটি একটি ডেন্টাল টার্ম, যার মানে দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা পাথরের মতো শক্ত প্লাক। এটি মাড়ি পচা, দাঁতের ক্ষয় ও দুর্গন্ধের কারণ হতে পারে। এর ছবিগুলো এতটাই বীভৎস যে, একবার দেখলেই আপনি দাঁতের যত্নে মনোযোগী হয়ে উঠবেন।

ইন্টারনেট যেমন জ্ঞানের খনি, তেমনি কিছু জায়গায় এটি ভয়ংকর ও মানসিকভাবে আঘাতকারী অভিজ্ঞতার উৎসও হতে পারে। সবকিছুই গুগলে সার্চ করা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। নিজেকে অপ্রয়োজনীয় মানসিক চাপ, আতঙ্ক কিংবা বিরক্তি থেকে বাঁচাতে সচেতনভাবে এড়িয়ে চলুন এই বিষয়গুলো।

 

 

তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

আফরোজা

×