
ছবি : সংগৃহীত
নাথিং-এর সিইও কার্ল পেই মাঝে মাঝেই অ্যাপলকে উদ্দেশ করে ব্যঙ্গ করেন। তা সে অ্যাপলের কোনো পণ্য হোক বা নতুন কোনো নিয়োগ—প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠান হিসেবে অ্যাপল সম্পর্কে কিছু না কিছু বলার থাকে তার। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সৃজনশীলতা নিয়ে কথা বলার সময় তিনি ফের তির ছুড়েছেন অ্যাপলের দিকে। এবার তিনি বলেন, অ্যাপল আর আগের মতো সৃজনশীল বা অনুপ্রেরণাদায়ক নেই।
এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে কার্ল পেই তার কোম্পানির ভবিষ্যৎ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ও উদ্ভাবনী ভাবনার বিষয়ে বিস্তারে কথা বলেন। সেখানেই তিনি বলেন, “আজকের অ্যাপল আর সেই অ্যাপল নয়, যা আমি ছোটবেলায় চিনতাম। গত বছর তারা ‘অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স’ নিয়ে অনেক ঢাকঢোল পেটাল, কিন্তু এক বছর পর সেটা এখন কেবল কিছু জেনারেটেড ইমোজিতে এসে ঠেকেছে। ফলে ভোক্তারা এখন সন্দিহান হয়ে পড়েছে।”
কার্ল পেই আরও বলেন, “ব্যক্তিগতভাবে আমি অ্যাপল দ্বারা দারুণভাবে অনুপ্রাণিত ছিলাম—প্রথম আইপড, প্রথম আইফোন—এই জিনিসগুলোই আমাকে এই ইন্ডাস্ট্রিতে নিয়ে এসেছে।” তবে এখনকার বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো কর্পোরেট সংস্কৃতিতে ঢুকে পড়েছে এবং তার ফলে সৃজনশীলতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে মনে করেন তিনি। আর এখানেই Nothing আলাদা কিছু করতে চায়—তরুণদের জন্য অনুপ্রেরণাদায়ক হতে চায়।
অ্যাপল নিয়ে হতাশা প্রকাশের পাশাপাশি, পেই এ আই-এর ভবিষ্যৎ নিয়েও মতামত দেন। তিনি বলেন, এ আই-এর জন্য স্মার্টফোনই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হবে।
তার ভাষায়, “স্মার্টফোন মানে বছরে ১০০ কোটির বেশি ইউনিট। এটি সবচেয়ে বড় ও বৈচিত্র্যময় বাজার। আমরা স্মার্টফোন দিয়ে সব কিছু করি, আর ভালো এ আই-এর জন্য দরকার প্রচুর তথ্য। কাজেই আগামী কয়েক বছরে AI-এর জন্য স্মার্টফোনের বিকল্প কিছু হবে না।”
ভবিষ্যতের স্মার্টফোন নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কার্ল পেই বলেন, ভবিষ্যতের অপারেটিং সিস্টেম এতটাই ব্যবহারকারী-কেন্দ্রিক হবে যে, অ্যাপের আর দরকারই হবে না। “ওএস তার ব্যবহারকারীকে খুব ভালোভাবে চিনবে এবং সেই অনুযায়ী নিজেকে অপটিমাইজ করবে।
সানজানা