
ছবি: সংগৃহীত
হজ্ব ইসলাম ধর্মের পঞ্চ স্তম্ভের অন্যতম। এটি সামর্থ্যবান প্রত্যেক মুসলমানের জন্য জীবনে একবার পালনীয় এক গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। আল্লাহ তাআলা কুরআনে বলেন:
“এবং মানুষের মধ্যে হজ্বের জন্য আহ্বান করে দাও...”—সূরা হজ্জ, আয়াত ২৭
কিন্তু অনেকেই জানেন না, হজে কিছু রুকন (ফরজ বিষয়) রয়েছে—যেগুলো বাদ পড়লে হজ আদায় হয় না। আবার কিছু ওয়াজিব ও সুন্নত আমল আছে যেগুলো সঠিকভাবে পালন করা উচিত।
এই প্রতিবেদনে থাকছে হজের মূল রুকন, কুরআন-হাদীস ভিত্তিক ব্যাখ্যা এবং ইসলামী বিশেষজ্ঞদের মতামত।
🕌 হজের চারটি মূল রুকন (ফরজ)
হজে চারটি কাজ এমন, যা না করলে হজ আদায় হয় না। এগুলো হলো:
১. ইহরাম বাঁধা ও নিয়ত করা
-
কী: হজের নির্দিষ্ট সময় ও স্থান থেকে ইহরামের কাপড় পরে হজের নিয়ত করা।
-
প্রমাণ:
“...আর হজ ও উমরাহ আল্লাহর জন্য সম্পন্ন করো।” — সূরা বাকারা: ১৯৬
২. আরাফার ময়দানে অবস্থান করা (ওকূফে আরাফা)
-
তারিখ: ৯ জিলহজ
-
কী: দুপুর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফার ময়দানে থাকা
-
হাদীস:
“হজ হলো আরাফা।” — তিরমিজি, হাদীস: ৮৯১
৩. তাওয়াফে যিয়ারাহ (তাওয়াফুল ইফাদা)
-
তারিখ: ১০ জিলহজ বা তার পর
-
কী: কাবা শরীফের সাতবার তাওয়াফ
-
হাদীস:
“তোমরা আল্লাহর ঘরের তাওয়াফ করো...” — সহীহ বুখারি, হাদীস: ১৬৪১
৪. সাঈ করা (সফা-মারওয়া পাহাড়ের মাঝে দৌড়ানো)
-
কী: ৭ বার দৌড়ানো সফা থেকে শুরু করে মারওয়ায় শেষ
-
প্রমাণ:
“নিশ্চয়ই সফা ও মারওয়া আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্তর্ভুক্ত...” — সূরা বাকারা: ১৫৮
📝 হজের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ওয়াজিব ও সুন্নাত কাজ:
✅ মিনায় অবস্থান
✅ মুজদালিফায় রাত যাপন
✅ শয়তানের প্রতি কঙ্কর নিক্ষেপ (রমি)
✅ কুরবানি করা
✅ মাথা মুন্ডানো বা চুল কাটা
✅ বিদায়ী তাওয়াফ (তাওয়াফে বিদা)
সফর নয়, এটি আত্মশুদ্ধির ও আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের মাধ্যম। হজের প্রতিটি রুকনই অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও প্রমাণিত কুরআন ও হাদীস দ্বারা।
সঠিকভাবে হজ পালন করতে হলে জানতে হবে এর ফরজ, ওয়াজিব ও সুন্নাহ আমলসমূহ।
আঁখি