
ছবি: সংগৃহীত
ঈদুল আজহা উপলক্ষে পশু কোরবানি ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। তবে অনেকেই সঠিক নিয়ম না জানার কারণে ভুল করে থাকেন। আসুন জেনে নিই কোরবানি সংক্রান্ত কিছু জরুরি মাসায়েল।
যাদের ওপর কোরবানি ওয়াজিব, তারা হলেন নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক। মুসাফিরের ক্ষেত্রে কোরবানি ওয়াজিব নয়। তবে সফর অবস্থায় কেউ যদি নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হয় এবং ১৫ দিন থাকার নিয়ত করে, তাহলে তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব হবে।
কোরবানির সময়সীমা ১০ জিলহজ ফজর থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত। এই তিন দিনের মধ্যে প্রথম দিন কোরবানি করা সবচেয়ে উত্তম। ঈদের নামাজের আগে কোরবানি করা জায়েজ নয়। রাতে কোরবানি করা মাকরূহ হলেও জায়েজ আছে।
কোরবানির পদ্ধতি সম্পর্কে জানা জরুরি। নিজ হাতে কোরবানি করা মুস্তাহাব। "বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার" বলে জবাই করতে হবে। জবাই করার সময় দোয়া পড়া জরুরি নয়, তবে উত্তম। চারটি রগের মধ্যে তিনটি কাটা আবশ্যক।
কোরবানির জন্য গরু, মহিষ, উট, ছাগল, ভেড়া, দুম্বা ইত্যাদি পশু জায়েজ। গরু, মহিষ বা উটে সর্বোচ্চ ৭ জন শরিক হতে পারে। প্রত্যেকের অংশ কমপক্ষে সাত ভাগের এক ভাগ হতে হবে। সব শরিকের কোরবানির নিয়ত থাকা আবশ্যক।
নাবালেগ শিশুর পক্ষ থেকে কোরবানি করা নফল। তবে নাবালেগের সম্পদ থেকে কোরবানি করা জায়েজ নয়। কোরবানির গোশত নিজে খাওয়া, আত্মীয়-স্বজনকে দেয়া এবং গরীব-মিসকিনকে দেয়া - এই তিন ভাগে বণ্টন করা মুস্তাহাব। কোরবানির চামড়া বিক্রি করে তার মূল্য দান করতে হবে।
পশু নির্বাচনের সময় স্বাস্থ্যকর ও নিখুঁত পশু বেছে নেয়া উচিত। কোরবানির পর পশুর রক্ত সম্পূর্ণভাবে প্রবাহিত হতে দেয়া প্রয়োজন। পরিবেশের কথা বিবেচনা করে কোরবানির ব্যবস্থা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব।
কোরবানি শুধু একটি প্রথা নয়, বরং এটি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যম। সঠিক নিয়মে কোরবানি আদায় করলে আল্লাহ তাআলা আমাদের এই ইবাদত কবুল করবেন ইনশাআল্লাহ। প্রত্যেক মুসলিমের উচিত কোরবানির এই জরুরি মাসায়েলগুলো জানা এবং তা অনুসরণ করা।
সাব্বির