
ছবি: সংগৃহীত
ইসলামে জাকাত একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত, যা আর্থিক শুদ্ধি এবং সামাজিক সাম্যের প্রতীক। জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা মিজানুর রহমান আজহারি একটি বক্তব্যে বিস্তারিতভাবে জাকাত যোগ্য সম্পদের বিষয়টি তুলে ধরেছেন।
জাকাত যোগ্য সম্পদের তালিকা
মিজানুর রহমান আজহারি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেছেন যে, ইসলামী শরিয়াহ অনুযায়ী কিছু নির্দিষ্ট সম্পদের উপর জাকাত ফরজ হয়। এগুলো হলো:
১. স্বর্ণ ও রুপা: নির্দিষ্ট পরিমাণ স্বর্ণ (৭.৫ তোলা) ও রুপা (৫২.৫ তোলা) থাকলে তার উপর জাকাত ফরজ হয়।
২. নগদ টাকা ও ব্যাংক সঞ্চয়: ব্যক্তির হাতে থাকা বা ব্যাংকে জমা থাকা অর্থ যদি নিসাব পরিমাণ হয় (প্রায় ৮৫ গ্রাম স্বর্ণ বা সমমূল্যের সম্পদ), তবে তার উপর জাকাত ফরজ।
৩. ব্যবসায়িক পণ্য: যেকোনো ব্যবসার মূলধন এবং লাভযোগ্য পণ্য যদি এক বছর ধরে নিসাব পরিমাণে থাকে, তবে তার উপর জাকাত দিতে হবে।
৪. শেয়ার ও বিনিয়োগ: শেয়ারবাজার বা অন্য কোথাও বিনিয়োগ করা অর্থ যদি লাভজনক হয় এবং নিসাব পরিমাণে থাকে, তবে জাকাত দিতে হবে।
৫. গবাদি পশু: নির্দিষ্ট পরিমাণ উট, গরু, ছাগল ও ভেড়া থাকলে তাদের উপর জাকাত ফরজ হয়।
৬. খামার ও কৃষিজ পণ্য: কিছু কৃষিজ পণ্য ও খামারের আয় নির্দিষ্ট শর্ত সাপেক্ষে জাকাতের আওতায় পড়ে।
কাদের জন্য জাকাত ফরজ?
আজহারি আরও বলেন, একজন মুসলিম যদি পূর্ণ এক বছর ধরে নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হন, তবে তার উপর ২.৫% হারে জাকাত ফরজ হয়। জাকাত আদায় করলে শুধু ব্যক্তিগত সম্পদ শুদ্ধ হয় না, বরং সমাজের দরিদ্র ও অসহায় মানুষের কল্যাণেও তা ব্যয় হয়।
জাকাত আদায়ের গুরুত্ব
মিজানুর রহমান আজহারি তার বক্তব্যে আরও বলেন, জাকাত আদায় করা মুসলমানদের জন্য শুধু ধর্মীয় দায়িত্বই নয়, এটি সম্পদের বারাকাহ বৃদ্ধি করে এবং সমাজে অর্থনৈতিক ভারসাম্য তৈরি করে। তিনি মুসলিমদের প্রতি আহ্বান জানান, সঠিকভাবে হিসাব করে সময়মতো জাকাত আদায় করতে, যাতে সমাজের দরিদ্র জনগোষ্ঠী উপকৃত হয় এবং ইসলামের বিধান মেনে চলা সম্ভব হয়।
আসিফ