ছবি: সংগৃহীত
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বর্তমানে দেড় কোটিরও বেশি বাংলাদেশের নাগরিক রয়েছেন, যা মোট জনসংখ্যার এক দশমাংশেরও বেশি। কিন্তু এই বিশাল জনগোষ্ঠীর কোনো ভোটাধিকার নেই। প্রবাসে থেকে ভোট দেওয়ার সুযোগ এখনও বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য চালু হয়নি, যদিও দেশের অর্থনীতিতে তাদের অবদান অনস্বীকার্য। তারা যে রেমিটেন্স পাঠান, তা এখন বাংলাদেশের বৈদেশিক আয়ের অন্যতম প্রধান উৎস।
এই প্রেক্ষাপটে প্রবাসীদের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবি নিয়ে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করেছে প্রবাসীদের ভোটাধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ ইউকে। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়—যে যেই দেশে রয়েছেন, সেই দেশ থেকেই যেন বাংলাদেশি প্রবাসীরা ভোট দিতে পারেন, সেই ব্যবস্থা চালুর দাবি জানানো হচ্ছে। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে সরকার গঠনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা যাতে ভোট দিয়ে নিজের মতামত প্রকাশ করতে পারেন—এটাই প্রধান দাবি।
সংগঠনের নেতারা উল্লেখ করেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ইতিমধ্যে এই ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করেছে। ইউরোপের বহু দেশের নাগরিক তাদের দেশের জাতীয় নির্বাচনে প্রবাসে থেকেও ভোট দেওয়ার সুযোগ পান। এমনকি, তুরস্কের সর্বশেষ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়-পরাজয়ের ক্ষেত্রে প্রবাসী ভোটারদের অবদান ছিল decisive বা নির্ধারক। তুরস্কের যেসব নাগরিক বিভিন্ন দেশে আছেন, তাদের ভোট সেই নির্বাচনের ফলাফলে বড় প্রভাব রেখেছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন— সংগঠনের আহ্বায়ক, ব্রিটিশ ইমিগ্রেশন অ্যান্ড অ্যাসাইলাম ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ বেলায়েত হোসাইন,সদস্য সচিব ব্যারিস্টার দিদার, যুগ্ম আহ্বায়ক ব্যারিস্টার নাজির আহমদ, ব্যারিস্টার ইকবাল হোসেন বাদশা, সিরাজুল ইসলাম, আমার দেশের বিশেষ প্রতিনিধি অলি উল্লাহ নোমান এবং সংগঠনের আরও বেশ কয়েকজন সদস্য।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, প্রবাসী বাংলাদেশি ভাইদের প্রতি অনুরোধ—আপনারা যে যেখানে আছেন, প্রত্যেকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে নাগরিক অধিকার, বিশেষ করে ভোট দেওয়ার বিষয়ে সোচ্চার হোন।
ফরিদ
