আজমত উল্লাহ খাঁন।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে হেরে যাওয়া আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আজমত উল্লাহ খাঁন বলেছেন, নির্বাচনে জাহাঙ্গীরের কোনো কৌশল ছিল না। এক ব্যক্তির কৌশলের কাছে হারার মতো সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ না। দলে নানা পদে থাকা বিশ্বাসঘাতকরা মীরজাফরি করায় গাজীপুর সিটিতে নৌকার এমন হার হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ মে) আজমত উল্লাহ খাঁন তার টঙ্গী বাজারের বাসভবনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘গাজীপুর সিটিতে কেনো নৌকা হারল, তৃণমূল আওয়ামী লীগে মূল্যায়ণ করতে ৩১ মে থেকে ৮ জুন পর্যন্ত গাজীপুর মহানগরের থানা পর্যায়ে তৃণমূল নেতাকর্মীদের নিয়ে মূল্যায়ণ সভার ডাক দেওয়া হয়েছে। ওই সভায় নেতাকর্মীরা কি বলে এবং কারা এর জন্য দায়ী, তাদের মূল্যায়ণের ভিত্তিতে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
আজমত উল্লাহ বলেন, ‘দলের অভ্যন্তরে বিশ্বাসঘাতক ও মীরজাফর আছে। তাদের আইডেন্টিটিফাই করে ব্যবস্হা নেওয়া হবে অচিরেই। আওয়ামী পরিবারকে ঐক্যবদ্ধ রাখা আমার দায়িত্ব। একবার যারা মীরজাফরি করে তারা সব সময়ই মীরজাফরি করতেই থাকবে। মীরজাফর বিশ্বাসঘাতকদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। সবাইকে নিয়ে দল পরিশুদ্ধ করতে চাই, তার মধ্যে যেন মীরজাফর না থাকে, সে লক্ষ্যে পার্লামেন্ট নির্বাচনের আগেই দলে শুদ্ধি অভিযান চালানো হবে।’
তিনি বলেন, ‘দলের মধ্যে অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করা হবে। সিটি নির্বাচন পরবর্তী সৌজন্যে সাক্ষাতে রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগকে ঢেলে সাজানোর জন্য।’
তিনি আরো বলেন, ‘নেত্রীর কাছ থেকে আমি আমার রাজনৈতিক জীবনের সততার স্বীকৃতি পেয়েছি, সাক্ষাৎকালে নেত্রী বলেছেন ‘আমি জানি তুমি সৎ মানুষ’। এটা আমার অনেক বড় পাওয়া। ভীষণ পাওয়া নেত্রীর কাছ থেকে, এটুকু নিয়েই যেন বেঁচে থাকতে পারি আমি।’
এর আগে গত ২৫ মে গাজীপুর সিটি নির্বাচনে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুনের কাছে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী আওয়ামী লীগের একাংশের অসহযোগিতার কারনে আজমত উল্লাহ খাঁন পরাজিত হন। এ নিয়ে গাজীপুরসহ সারা দেশব্যাপী চলছে জাহাঙ্গীরের কৌশলী নানা বিশ্লেষণ। সেই সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নৌকার ব্যাজ বুকে ঝুলিয়ে নৌকায় ভোট না দিয়ে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের মাকে ঘড়ি মার্কায় ভোট দেয়ার চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে।
এমএইচ