ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নির্বাচনে না আসলে বিএনপি ভেঙে যেতে পারে

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ২১:১৪, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩; আপডেট: ২১:২২, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

নির্বাচনে না আসলে বিএনপি ভেঙে যেতে পারে

কৃষিমন্ত্রী

বিএনপির আন্দোলনে সরকারের পতন কখনই হবে না। আগামী নির্বাচনে জোটের পরিধি বাড়বে কিনা সেটা এখনো বলার সময় হয়নি। এমনো হতে পারে বিএনপি নির্বাচনে আসবে না। আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে বিএনপি হয়তো ভেঙ্গে যেতে পারে। তাদের অস্তিত্বের প্রশ্ন আসতে পারে। বহুলোক বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে দলে আসতে পারে। অন্য দলে যাওয়ার জন্যও কথা বলতে পারে। সেগুলো বিবেচনা করে আওয়ামী লীগ পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিবে।

শনিবার (ফেব্রুয়ারি) বিকালে টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার আটিয়া ইউনিয়নের ছিলিমপুরে এমএ করিম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের সদর উপজেলার ছিলিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বিএনপি-জামায়াত অশুভ শক্তির সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও ষড়যন্ত্রমূলক অপরাজনীতির বিরুদ্ধে এ শান্তি সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।

কৃষিমন্ত্রী আরো বলেন, বিএনপি-জামায়াত যত আন্দোলনই করুক না কেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী সঠিক সময়েই অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি যতই আন্দোলন কর্মসূচি করুক, কোনক্রমেই বৈধ সরকারের পতন ঘটাতে পারবে না। আগে ঢাকায় আন্দোলন করতো বিএনপি, সেখানে ব্যর্থ হয়ে তারা বিভাগে, তারপর জেলায় আন্দোলন কর্মসূচি দিয়েছে। আর এখন ইউনিয়নে ইউনিয়নে কর্মসূচি দিচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ কোন পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছে না। বিএনপি যাতে আন্দোলনের নামে ২০১৫ সালের মতো তান্ডব সৃষ্টি করতে না পারে এবং দেশকে অস্থির করে বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিতে না পারে, সেজন্যই এই শান্তি সমাবেশের আয়োজন। এর মাধ্যমে আমরা আওয়ামী লীগের লাখ লাখ নেতাকর্মীকে সচেতন করছি ও সক্রিয় রাখছি। এ সমাবেশ মানুষের নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য।

ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতা করা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দায়িত্ব। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ কর্মসূচির মাধ্যমে সেই দায়িত্ব পালন করছে। বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচি থেকেও নিরাপদ দূরে থাকছে। আওয়ামী লীগের পাহারাদার হল বাংলাদেশের জনগণ। আওয়ামী লীগকে জনগণই ক্ষমতায় এনেছে, আর পাহারা দেয় জনগণ। তাদের নিরাপত্তায় আওয়ামী লীগ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আছে। বিএনপি তো সবসময় সন্ত্রাস করে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে তারা হত্যা করে ক্ষমতায় এসেছে। স্বৈরাচার এরশাদ সেও তো ক্ষমতায় এসেছে হত্যার মাধ্যমে। 

বিগত ২০০৪ সালে ক্ষমতায় থেকে কিভাবে তারা গ্রেনেড হামলা করলো। কতোবার তারা আমাদের প্রধানমন্ত্রীর জীবনের উপর আঘাত করেছে। বিগত ২০০১ থেকে কোথাও আমাদের সভা করতে দেয়নি, ১৪৪ ধারা দিয়েছে। এই ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড নতুন কিছু নয়। ইন্নশাআল্লাহ আওয়ামী লীগ এসব মোকাবেলা করে টিকে আছে ৭৫ সাল থেকে। আগামী দিনেও আমরা বিএনপির সকল সন্ত্রাস, সহিংসতা মোকাবেলা করবো। 

আমার জনগণের সাথে আছি। আগামীতে কোন সারের দাম বাড়বে না। কৃষি খাতে উৎপাদন যেন অক্ষুন্ন থাকে, অব্যাহত থাকে। তার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল কিছুই করবেন। 

ছিলিমপুর এম.এ. করিম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত টাঙ্গাইল সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হোসেন মানিকের সভাপতিত্বে শান্তি সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক, সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের এমপি, ছানোয়ার হোসেন এমপি, আহসানুল ইসলাম টিটু এমপি ছাড়াও শান্তি সমাবেশে আওয়ামী লীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
 
 

এমএস

সম্পর্কিত বিষয়:

×