ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পেশাজীবী পরিষদের আলোচনায় ফখরুল

সরকার নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২৩:৫৯, ২৩ জানুয়ারি ২০২৩

সরকার নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

বর্তমান সরকার দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে   অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এখন কেউ ভোট দিতে যেতে চায় না। সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপিপন্থি ‘বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ’ আয়োজিত ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অভিযোগ করেন। 
ফখরুল বলেন, গণতন্ত্রের ব্যাপারে আওয়ামী লীগ সব সময় একই জায়গায় থাকে। স্বাধীনতার পর তারা বাকশাল গঠন করে গণতন্ত্র হত্যা করে। আজকে ৫০ বছর পরে আবারও একই কথা বলতে হচ্ছে। আবারও আমাদের রাস্তায় নামতে হচ্ছে। গণতন্ত্রের জন্য বুকের রক্ত দিতে হচ্ছে। মির্জা ফখরুল বলেন, মূল্যবোধ বিরোধী কার্যক্রম পাঠ্যপুস্তকে মেনে নিতে পারি না। তবে শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, আপনারা কেউ ইস্যু তৈরি করবেন না, আমরা সংশোধনের ব্যবস্থা নিচ্ছি। তবে ইস্যু তো আমরা তৈরি করছি না, বরং শিক্ষামন্ত্রী ইস্যু তৈরি করে দিয়েছেন।

তাই আমাদের বক্তব্য হচ্ছে, অবিলম্বে পাঠ্যপুস্তকের অসংযুক্তিগুলো বাতিল করতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, জনগণ আমাদের আন্দোলনে শরিক হয়েছে। তাই জনগণের উত্তাল তরঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকার ভেসে যাবে। তিনি বলেন, দেশে এখন চলছে এক ব্যক্তির শাসন। আওয়ামী লীগের নেতারা বলেন, ‘গণতন্ত্র হবে আমাদের মতো করে। কিসের ভোট, তোমাদের ভোটও আমরা দেব।’ তারা এখন গণতন্ত্রের কথা বলেন। কিন্তু  তাদের গণতন্ত্র তো বহুদলীয় গণতন্ত্র থেকে একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করা।

ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের মানুষ না খেয়েও হাসে। তারা গণতান্ত্রিক দেশে কথা বলতে চায়। সেই লক্ষ্যে বিএনপি ঘোষিত ১০ দফার প্রথম দাবি হচ্ছে বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্তি, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে একটি নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের মাধ্যমে তাদের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। জনগণের মধ্যে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করে আমরা সেই নির্বাচনে অংশ নিয়ে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করব।
ফখরুল বলেন, বর্তমানে যে সংসদ আছে সেটা হলো একদলীয় ক্লাব অব আওয়ামী লীগ। তাই আজকে স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও আমাদের গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য রাজপথে রক্ত দিতে হচ্ছে, প্রাণ দিতে হচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা একটি অসম সংগ্রাম করছি। যেখানে আমাদের প্রতিপক্ষ অত্যন্ত প্রভাবশালী। যাদের হাতে রয়েছে রাষ্ট্রশক্তিসহ বন্দুক-পিস্তল-গ্রেনেড, যা তারা ছুড়ে মারে। আর আমাদের নামে মামলা দেয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, অনির্বাচিত আওয়ামী লীগ সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলতে বলতে অজ্ঞান হয়ে যায়। অথচ তাদের ’৭২-৭৫ সালে গণতন্ত্র হরণ করে কেন বাকশাল করতে হয়েছে? এটা জিজ্ঞাসা করলেই তাদের গায়ে আগুন লেগে যায়। 
আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. আবদুল লতিফ মাসুম, সাংবাদিক নেতা কামাল উদ্দিন সবুজ, শিক্ষক নেতা অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া, প্রফেসর সহিদুল হাসান, ড. বোরহান উদ্দিন, প্রফেসর কামরুজ্জামান, কৃষিবিদ গোলাম হাফিজ কেনেডি, ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু।

×