ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৬ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২

প্রসঙ্গ ইসলাম

ইসলামে যুদ্ধনীতি ॥ প্রসঙ্গ ইরান-ইসরাইল

খালিদ ইবনে আমিন

প্রকাশিত: ১৮:১৫, ২৬ জুন ২০২৫

ইসলামে যুদ্ধনীতি ॥ প্রসঙ্গ ইরান-ইসরাইল

ইসলামে যুদ্ধনীতি বলতে মূলত শরীয়াহ মোতাবেক যুদ্ধের নিয়ম-কানুন বা যুদ্ধের নৈতিক ও আইনি দিকগুলো বোঝায়, যা আল্লাহ প্রদত্ত ও রাসুল (সা.) প্রদর্শিত বিধানের আলোকে নির্ধারিত। ইসলামে সামরিক যুদ্ধনীতি আক্রমণাত্মক নয়, বরং আত্মরক্ষামূলক। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন দেশে যে যুদ্ধ হচ্ছে তার প্রায় সবগুলোই আক্রমণাত্মক যুদ্ধ। মূলত ইসলাম এমন এক জীবন দর্শনের নাম, যার অর্থই হলো শান্তি, শুধু শান্তি। ইসলামে সবধরনের যুদ্ধবিগ্রহ,  অশান্তি করা হারাম। প্রাচীন কাল থেকে বর্তমান বিশ্বব্যবস্থায়, মানবতার সমৃদ্ধির পথে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা যুদ্ধবিগ্রহ, যা সমাজ ও রাষ্ট্রীয় অপরাধ। যুদ্ধ মানেই বিভীষিকা, মৃত্যু, ধ্বংস ও অশান্তি।
বর্তমান বিশ্বে সামরিক শক্তিসম্পন্ন  দেশগুলো, নিজেদের কায়েমি স্বার্থ ও আধিপত্য বিস্তারে আগ্রাসী যুদ্ধ চাপিয়ে দিচ্ছে দুর্বল দেশগুলোর ওপর, যা অসম যুদ্ধ হিসেবেই বিবেচিত। যেমন মার্কিন-ভিয়েতনাম যুদ্ধ, ইরাক-মার্কিন যুদ্ধ, মার্কিন-আফগান যুদ্ধ, ইসরাইল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ এবং সর্বশেষ ইরান-মার্কিন যুদ্ধ। পারমাণবিক শক্তিধর ইসরাইলের সঙ্গে ইট, পাথর সুরকি নিয়ে লড়ে যাওয়া হামাসের অবস্থা শিশুদের খেলনা পিস্তল নিয়ে চোর-পুলিশ খেলার মতো, যা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের কল্যাণে দুনিয়াবাসি দেখে আসছে গত সাত দশক ধরে। যুদ্ধের সময় মানবিক আচরণ, শত্রু পক্ষের প্রতি শ্রদ্ধাপূর্ণ ব্যবহার এবং যুদ্ধবন্দিদের সঙ্গে ন্যায়সংগত আচরণ করতে হবে। তবে, এই নীতিগুলো প্রায়শই বিভিন্ন রাজনৈতিক ও আদর্শিক কারণে বিতর্কিত হয় এবং মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংঘাতগুলোতে এর প্রয়োগ নিয়ে মতভেদ রয়েছে। 
ইসলামের যুদ্ধনীতিতে মৌলিক কিছু দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যুদ্ধের বৈধতা অনুযায়ী, যুদ্ধ কেবল আত্মরক্ষা, নিপীড়নের শিকারদের রক্ষা এবং ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য বৈধ হবে। নিরীহ মানুষের সুরক্ষায় বেসামরিক নাগরিক, নারী, শিশু এবং অসুস্থ ব্যক্তিদের ওপর হামলা করা বা তাদের ক্ষতি করা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ।
যুদ্ধবন্দিদের প্রতি আচরণ : যুদ্ধবন্দিদের সঙ্গে মানবিক আচরণ করা এবং তাদের প্রতি নিষ্ঠুরতা পরিহার করা ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ  নির্দেশ। তাদের বন্দি করে নির্যাতন বা অসম্মান করা নিষিদ্ধ। যুদ্ধের সময় গাছপালা, ফসল এবং পরিবেশের ক্ষতি করা যাবে না। ইসলাম যুদ্ধরত পক্ষগুলোর মধ্যে শান্তি আলোচনা ও সন্ধি স্থাপনকে উৎসাহ দিয়েছে। শত্রুর প্রতি ন্যায়বিচার স্থাপনের কথাও বলা হয়েছে। যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর, বিজয়ী পক্ষকে অবশ্যই পরাজিত পক্ষের প্রতি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তাদের সঙ্গে অমানবিক বা নিষ্ঠুর আচরণ করা যাবে না। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ইসলামের যুদ্ধনীতি প্রয়োগে কিছু বিতর্ক রয়েছে। এই নীতিমালার কিছু অনুসরণ করা হলেও, প্রায়শই রাজনৈতিক ও আদর্শিক কারণে এগুলো লঙ্ঘিত হয়। আধুনিক বিশ্বের আন্তর্জাতিক যুদ্ধনীতি অনুযায়ী, ফিলিস্তিন-ইসরাইল সংঘাতে, উভয় পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে এই নীতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলে, যদিও ইসরাইল নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর জিঘাংসা চরিতার্থ করছে যুগ যুগ ধরে। 
সম্প্রতি, ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে চলমান সংঘাতও এই নীতিগুলোর প্রয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তৈরি করেছে।  ইসলাম এমন সব কার্যক্রমকে কঠোরভাবে নিষেধ করে, যা মানবতার জন্য ধ্বংস ডেকে আনে। যে কোনো যুদ্ধ একটি  জাতির অস্তিত্ব নিশ্চিহ্ন করে দেয়, তেমনি প্রাকৃতিক সম্পদ বিনষ্ট করে এবং পৃথিবীর নানা ভূখণ্ডে বসবাসরত মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে ও সংকট সৃষ্টি করে।  ইসলামি পণ্ডিতদের মতে, ইসলামের যুদ্ধনীতির গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো। নারী, শিশু, অযোদ্ধা, বয়োবৃদ্ধ, শ্রমিক, প্রতিবন্ধীর ওপর আক্রমণ করা যাবে না, মৃত যোদ্ধার লাশের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করা যাবে না, আত্মসমপর্ণকারীদের প্রতি দয়াশীল হতে হবে, যুদ্ধবন্দিদের সঙ্গে সদাচরণ করতে হবে, প্রয়োজন ছাড়া বৃক্ষ কর্তন করা যাবে না, পশুপাখি হত্যা করা যাবে না, ঘরবাড়ি ধ্বংস করা যাবে না ইত্যাদি। 
ইসলাম সব ধরনের সামরিক আগ্রাসন, নাগরিকদের ওপর বোমা নিক্ষেপ, চরমপন্থা, গণহত্যার বিরোধী। ইসলাম প্রয়োজনসাপেক্ষ যেমন ন্যায়সংগত যুদ্ধের স্বীকৃতি দিয়েছে, তেমনি শান্তিচুক্তি বা সন্ধির বিধানের প্রতি গুরুত্বারোপ করে উৎসাহিত করেছে। যাতে যুদ্ধ নামক বিভীষিকাময় যন্ত্রণায় সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ ক্ষতবিক্ষত না হয়।
পবিত্র কোরআন ও হাদিসে বিবৃত হুদাইবিয়ার সন্ধির ঘটনা পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, রাষ্ট্রের স্বার্থসংরক্ষণ, দাওয়াতের প্রসার ও দিনের বিজয়ে সন্ধির অবদান ছিল অনেক বেশি। যদিও বাহ্যিক বিচারে সন্ধি ছিল একটু অপমানজনক ও শত্রু পক্ষকে ছাড় দেওয়া কিন্তু এর ফলাফল ছিল সুদূরপ্রসারী। ইসলামে কোনো যুদ্ধ, জিহাদ বা অভিযানকে ‘ফাতহুম মুবিন’ বা সুস্পষ্ট বিজয় বলা হয়নি। কিন্তু সন্ধি চুক্তিকে সুস্পষ্ট বিজয় বলে পবিত্র কোরআনে উল্লেখ করা হয়েছে। জালিমের অত্যাচার থেকে বাঁচতে, প্রয়োজনে  ইসলাম যুদ্ধ করার অনুমতি দিয়েছে। তবে কিছু শর্ত রয়েছে, যা বিদ্যমান থাকলেই, ইসলামী শরীয়ত যুদ্ধের  অনুমোদন দিয়েছে। 
প্রথমত, রাষ্ট্র অস্তিত্ব ও রাষ্ট্র প্রধানের অনুমতি বা নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে রসুল (স.) বলেন, ‘রাষ্ট্রপ্রধান হলো ঢাল, যাকে সামনে রেখে যুদ্ধ পরিচালিত হবে’ (বুখারি- ২/৫৫৩)। দ্বিতীয়ত, রাষ্ট্র অনিরাপদ বা হুমকির সম্মুখীন হলে। অর্থাৎ শত্রুপক্ষ আক্রমণ করবে বা রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও নাগরিক নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন হলে আত্মরক্ষামূলক যুদ্ধনীতির অনুমোদন দেয় ইসলাম। পবিত্র কোরআনে সুরা হজের-৩৯ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘যুদ্ধের অনুমতি দেওয়া হলো তাদেরকে, যারা আক্রান্ত হয়েছে। কারণ, তাদের প্রতি অত্যাচার করা হয়েছে।’ তৃতীয়ত, সন্ধি ও শান্তির সুযোগ গ্রহণ। যে কোনো ধরনের যুদ্ধই ধ্বংস ও অশান্তি সৃষ্টির পথ। মানবজাতিকে যাতে ধ্বংস ও সংকটময় পরিস্থিতিতে পড়তে না হয়, সেই জন্য ইসলাম যুদ্ধপূর্বে সন্ধি বা শান্তিচুক্তির ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছে ও নির্দেশনা দিয়েছে। কোরআনে সুরা আনফালের ৬১ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘তারা যদি সন্ধির প্রতি ঝুঁকে পড়ে, তবে তুমিও তাদের প্রতি ঝুঁকে পড়ো। আর আল্লাহর ওপর নির্ভর কর। নিশ্চয়ই তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞানী’। চতুর্থত, যদি যুদ্ধ করা ছাড়া বিকল্প কোনো পথ না থাকে তাহলে যুদ্ধের ময়দানে যোদ্ধাদের সঙ্গেই-বা যারা অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ করতে সামনে আসে তাদের সঙ্গেই যুদ্ধ করতে হবে। অর্থাৎ যোদ্ধাদের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করা। 
সুরা বাকারার ১৯০ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধ করো তাদের সঙ্গে যারা তোমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করছে। কিন্তু সীমা লঙ্ঘন করো না। আল্লাহ সীমা লঙ্ঘনকারীদের পছন্দ করেন না’। এখানেও ইসলাম ন্যায়সংগত যুদ্ধ করার কথা বলে। জনগণের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব সংরক্ষণের নিমিত্তে মাতৃভূমিকে বহিঃশত্রু ও অভ্যন্তরীণ শত্রুর আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য জানমাল ও জ্ঞানবুদ্ধি দ্বারা যে সংগ্রাম করা হয় সেটাই ন্যায়সংগত যুদ্ধ। সুরা বাকারার ১৯৩ নং আয়াতে আল্লাহ আরও বলেন, ‘তোমরা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে থাকো, যতক্ষণ না ফিতনা দূর হয়’। 
যুদ্ধক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে, যাতে সাধারণ নাগরিক, নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা আঘাত প্রাপ্ত না হয়। হাদিসে বলা হয়েছে, ‘যুদ্ধে তোমরা প্রতারণা বা ধোঁকার আশ্রয় নেবে না, চুক্তিভঙ্গ করবে না, কোনো মানুষ বা প্রাণীর মৃতদেহ বিকৃত করবে না বা অসম্মান করবে না, কোনো শিশু-কিশোর, নারীকে হত্যা করবে না, কোনো বৃদ্ধ কিংবা 
 অসুস্থ রোগীকে হত্যা করবে না। অন্য ধর্মের পুরোহিত-সন্ন্যাসী বা ধর্মযাজকদের হত্যা করবে না, কোনো বাড়িঘর,  শষ্যক্ষেত্র কিংবা ফলের বাগান ধ্বংস করবে না, খাদ্যের প্রয়োজন ছাড়া গরু, উট বা কোনো প্রাণী বধ করবে না, যুদ্ধের প্রয়োজন ছাড়া কোনো গাছ কাটবে না। তোমরা দয়া ও কল্যাণ করবে, কারণ আল্লাহ দয়াকারী- কল্যাণকারীদের ভালোবাসেন’ (আসসুনানুল কুবরা- ৯/৯০)।
পশ্চিমা দুনিয়া, বিশেষ করে মুসলিম বিশ্বের বিভাজিত পরিস্থিতির বাস্তবতায়, মুসলিম দুনিয়ার তেল সম্পদের ওপর কুনজর রেখেছে যুগ যুগ ধরে। মধ্যপ্রাচ্যের আরব দেশগুলো পরিবারতান্ত্রিক রাজতন্ত্র চলে আসছে প্রায় শতাব্দীকাল ধরে। এই সুযোগে ইউরোপ-আমেরিকার পরাশক্তিগুলোর প্রত্যক্ষ ছত্রছায়ায় আরবে রাজতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক রূপপরিগ্রহ লাভ করেছে। ভিন্নমত দমন ও দলনে তাদের তুলনা মেলা ভার। শুধু নিজেদের ক্ষমতা পাকাপোক্ত রাখতে ভাতৃপ্রতিম ফিলিস্তিনি মাজলুম অসহায় নারী পুরুষের প্রতি তাদের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। নিজ মাতৃভূমিতে ফিলিস্তিনিরা আজ পরবাসি। আমেরিকাসহ পশ্চিমারা তাদের মতের বাইরে গেলেই ঐ দেশের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞার খড়গ ঝুলিয়ে দেয়। এভাবে তারা ভিন্ন মতের উদীয়মান রাষ্ট্রগুলোকে কোনো ঠাসা করে। এতে নিষেধাজ্ঞা প্রাপ্ত রাষ্ট্রের নাগরিকদের জীবন বিষণ্ন হয়ে ওঠে। যা মানবাধিকারের চূড়ান্ত লঙ্ঘন এবং মানবতাবিরোধী অপরধ।
‘জায়নবাদ’ বা ইহুদিবাদের বিষয়ে তুরস্কের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ড. নাজমুদ্দিন এরবাকান সুন্দর একটি উদাহরণ দিয়েছেন,  ‘জায়নবাদ’ হলো একটি কুমিরের মত। এর উপরের চোয়াল হলো আমেরিকা আর নিচের চোয়াল হলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এর জিহ্বা আর দাঁত হল ইসরাইল এবং এর শরীরসহ অন্যান্য অঙ্গসমূহ হলো মুসলিম দেশ ও অন্যান্য দেশের রাষ্ট্রের শাসকগোষ্ঠী, মিডিয়া, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এবং এর সঙ্গে সম্পৃক্ত বিভিন্ন সংগঠন। ইসরাইলের প্রতিটি প্রধানমন্ত্রী এই কথাটি বলে থাকেন যে, ‘আমাদের দুটি মানচিত্র রয়েছে। একটি হলো দেওয়ালে খচিত, অপরটি হল আমাদের অন্তরে খচিত মানচিত্র।’ এৎবধঃ গরফফষব ঊধংঃ চৎড়লবপঃ যায়নবাদীদের আকিদার সঙ্গে সম্পর্কিত; এই বিষয়কে তারা তাদের ধর্মের অংশ মনে করে। এটাই হলো ইসরাইলের পরিকল্পনা। মুসলিম হিসেবে আমরা কী করে থাকি? তাঁর মতে, এই বৃহৎ কুমিরটি আজ বিশ্বকে গ্রাস করে তিলে তিলে খাচ্ছে, শান্তি-শৃঙ্খলা হজম করছে, গাজায় নিষ্পাপ শিশুদের হত্যা করছে।’ প্রায় দুই বছরের যুদ্ধে ফিলিস্তিনের ৫৬ হাজারের বেশি নিরীহ নারী পুরুষ শিশু হত্যা করেছে। এমন কী আন্তর্জাতিক ত্রাণকর্মীরাও তাদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি। গাজায় পৌনে চার লাখ মানুষ এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে আজ সবচেয়ে বড় বাধা হলো এই যায়নবাদ। এ থেকে উত্তরণের একটাই পথ। আমাদের কুরআনের আলোকে নতুন দুনিয়া সৃষ্টি করতে হবে। কারণ ইসলাম ছাড়া বিশ্বে শান্তি অসম্ভব। পৃথিবীর সকল প্রান্তেই ইসলামী যুদ্ধনীতি আল কোরআনের নির্দেশনায়ই হতে হবে। ইসলাম যুদ্ধের সময় মানবতা ও ন্যায়বিচারের ওপর জোর দেয়। তবে, এর প্রয়োগ সবসময় সহজ নয় এবং প্রায়শই বিভিন্ন রাজনৈতিক ও আদর্শিক কারণে এই নীতিগুলো লঙ্ঘিত হতে দেখা যায়, যা কোনো অবস্থাতেই কাম্য নয়।
লেখক: সাংবাদিক

প্যানেল

×