
ছবি: সংগৃহীত
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত বিতর্কিত নির্বাচনগুলোর জন্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন না করে ‘ভয়-ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে’ ভোটবিহীন নির্বাচন আয়োজনের অভিযোগ তুলে তিন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সন্ধ্যায় কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে শহীদ মিনার চত্বরে কুশপুত্তলিকা দাহ কর্মসূচি পালিত হয়। সাবেক সিইসি কাজী রকিব উদ্দীন আহমদ, কেএম নূরুল হুদা এবং কাজী হাবিবুল আউয়ালের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।
উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আলমগীর হোসেনের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব হায়দার আলী মিঞা, যুগ্ম আহ্বায়ক ওবায়দুর রহমান বুলবুল, আব্দুর রশিদ সরকার, এরশাদুল হাবীব নয়ন, পৌর বিএনপির সদস্য সচিব সোলায়মান আলী সরকার এবং উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক তৌফিকুর রহমান লাভলু প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, নির্বাচন কমিশনের পক্ষপাতমূলক ভূমিকার কারণেই দেশের গণতন্ত্র বারবার হোঁচট খেয়েছে। তারা দাবি করেন, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে ভোটারদের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে, যা দেশের ইতিহাসে ‘বিনা ভোটের নির্বাচন’, ‘নীশিরাতের নির্বাচন’ এবং ‘আমি আর ডামি নির্বাচন’ নামে পরিচিত হয়ে আছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপিসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দল ভোট বর্জন করায় ১৫৩টি আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশ নিলেও বিএনপি ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তোলে, যেখানে অধিকাংশ ভোট আগের রাতেই সম্পন্ন হওয়ার অভিযোগ ওঠে। আর ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর বর্জনের মধ্যে আওয়ামী লীগ শরিকদের জন্য আসন ছেড়ে দিয়ে 'প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক' নির্বাচনের আড়ালে একক আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে।
বক্তারা আরও বলেন, এসব নির্বাচনের মাধ্যমে একচ্ছত্র শাসন প্রতিষ্ঠা করে আওয়ামী লীগ ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় ছিল। তবে জনগণের প্রতিরোধ ও ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের মুখে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতন ঘটে।
আসিফ