ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৬ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২

বিনিয়োগ খরা ও অর্থনৈতিক সংকট

ড. মো. আইনুল ইসলাম

প্রকাশিত: ১৮:১১, ২৬ জুন ২০২৫

বিনিয়োগ খরা ও অর্থনৈতিক সংকট

দীর্ঘদিন ধরে গ্যাসের সংকট বাংলাদেশের শিল্পকারখানার জন্য একটি অদৃশ্য শৃঙ্খল। তবে এ সমস্যা শুধু জ্বালানি সীমাবদ্ধতায়ই আটকে নেই; উচ্চ ব্যাংকঋণের সুদহার, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে অনিশ্চয়তা, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির কারণে ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস-এসব মিলে একটি জটিল অর্থনৈতিক জাল তৈরি করেছে। এতে পণ্যের চাহিদাও স্থবির। এছাড়াও দুর্নীতি, কর-প্রণালীর জটিলতা, আমলাতান্ত্রিক ধীরগতি এবং বন্দরে পণ্য খালাসে বিলম্বের মতো কাঠামোগত সমস্যাগুলো দীর্ঘদিনের। পারচেজিং ম্যানেজার্স ইনডেক্স (পিএমআই) সূচকে দেখা গেছে। উৎপাদন, কৃষি, নির্মাণ ও সেবা-এই চার খাতের সমন্বয়ে প্রস্তুতকৃত পিএমআই সূচক অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে অর্থনৈতিক সম্প্রসারণের গতি কমেছে, যেখানে এপ্রিলে সূচকের মান ৮.৮ পয়েন্ট হ্রাস পেয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, টাওয়েল রপ্তানির একটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান মাসে গড়ে ৬ লাখ ডলার আয় করলেও উৎপাদন ধসের কারণে গত এক মাসে কোনো রপ্তানি করতে পারেনি, যা শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধে সংকট তৈরি করেছে। কমবেশি সব খাতেই এ ধরনের স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। এর অন্যতম কারণ বাংলাদেশে বিনিয়োগের প্রবাহ আশঙ্কাজনক হারে সংকুচিত হয়েছে। জিডিপির অনুপাতে বিনিয়োগের হার উল্লেখযোগ্যভাবে না বাড়ার পাশাপাশি বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (এফডিআই) ধারাবাহিকভাবে পিছিয়ে আছে। স্বল্পন্নোত দেশ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার একবছর আগে বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক অঙ্গনের গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোয় নানা ধরনের অনিশ্চয়তা দেশের টেকসই অর্থনৈতিক সক্ষমতা অর্জনের পথে গুরুতর বাধা হিসেবে দেখা দিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) নিট এফডিআই ৮৬ কোটি ডলারে নেমে এসেছে, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১১৬ কোটি ডলার-অর্থাৎ ২৬% হ্রাস। বিশ্বব্যাংকের সহায়ক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি) এর সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিবেশে পাঁচটি মূল বাধা চিহ্নিত করা হয়েছে : বিদ্যুৎ ঘাটতি, অর্থায়নের সীমিত সুযোগ, দুর্নীতি, অনানুষ্ঠানিক খাতের আধিপত্য এবং উচ্চ করের বোঝা। এই প্রতিবেদনটি ২০২৫ সালের জুনে ঢাকায় অনুষ্ঠিত বিনিয়োগ সম্মেলনে প্রকাশিত হয়। আইএফসির বিশ্লেষণে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশে এফডিআই জিডিপির মাত্র ০.৪% (২০২৩), যা অর্থনীতির প্রত্যাশিত গতির সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ। বিদ্যমান এফডিআই মূলত দেশে ইতোমধ্যে অবস্থানরত বিদেশি কোম্পানিগুলোর পুনর্বিনিয়োগ থেকে আসছে, নতুন বিনিয়োগকারীরা আসছেন না। আঙ্কটাডের ২০২৪ সালের বিশ্ব বিনিয়োগ প্রতিবেদনও বাংলাদেশের জন্য হতাশাব্যঞ্জক চিত্র তুলে ধরে। বৈশ্বিক এফডিআই ২% কমলেও বাংলাদেশে এটি ১৪% হ্রাস পেয়ে ৩০০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় এ পরিমাণ নগণ্য: ভারত ২,৮১৬ কোটি, ভিয়েতনাম ১,৮৫০ কোটি, ইন্দোনেশিয়া ২,১৬৩ কোটি এবং কম্বোডিয়াও ৩৯৬ কোটি ডলার পেয়েছে। এফডিআই হ্রাসের পেছনে রেগুলেটরি সমস্যাগুলো-যেমন আমলাতান্ত্রিক দীর্ঘসূত্রতা, নীতির ঘনঘন পরিবর্তন, সুশাসনের অভাব এবং প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা-গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) স্বীকার করে, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা প্রধানত দুটি বিষয়ে আগ্রহী : সরকারি সুবিধা (বিশেষ করে লালফিতার দৌরাত্ম্য কমানো) এবং বিদ্যমান বিনিয়োগকারীদের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপ। অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগের চিত্রও আশাব্যঞ্জক নয়। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে জিডিপির অনুপাতে বিনিয়োগ ৩০.৭০% এ দাঁড়িয়েছে, যা অর্থনীতিবিদদের মতে অপর্যাপ্ত এবং ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে। প্রস্তাবিত ২০২৫-২৬ সালের বাজেট নিয়ে শিল্পখাতের উদ্যোক্তাদের মধ্যে তীব্র অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। রাসায়নিক, পেট্রোলিয়াম ও সিমেন্ট শিল্পের প্রতিনিধিরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে শুল্ক কাঠামোর পরিবর্তন স্থানীয় উৎপাদকদের আমদানিকারকদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় অসুবিধায় ফেলবে। উদাহরণস্বরূপ, পেট্রোলিয়ামজাত পণ্যের কাঁচামালের শুল্ক কমানো হয়েছে এবং আমদানি শুল্কও হ্রাস পেয়েছে, ফলে স্থানীয় শিল্পের সুরক্ষা ৫% থেকে ২%-এ নেমে এসেছে। এছাড়া ভোগ্যপণ্যে ২% অগ্রিম করের প্রস্তাব ভোক্তা মূল্য আরও বাড়াবে, যা মধ্যবিত্ত ও নিম্নআয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য নতুন সংকট ডেকে আনবে।
বিনিয়োগ খরার প্রভাব কর্মসংস্থানে সরাসরি পড়ছে। আইএফসি প্রতিবেদন অনুযায়ী, আবাসন, পেইন্ট অ্যান্ড ডাইস, তৈরি পোশাক ও ডিজিটাল আর্থিক সেবা-এই চার খাতে নীতিগত সংস্কার করা গেলে বছরে ৩৫ লাখ নতুন চাকরির সুযোগ সৃষ্টি সম্ভব। তবে সেগুলো বাস্তবায়নে বাধা রয়েছে : আবাসন খাতে জমির মূল্যবৃদ্ধি ও নিবন্ধন জটিলতা, শিল্পে কাঁচামাল আমদানিতে উচ্চ শুল্ক ও দীর্ঘসূত্রতা এবং ডিজিটাল লেনদেনে সীমাবদ্ধতা। এছাড়া বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) অবস্থান থেকে উত্তরণের পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে শুল্ক সুবিধা হারানো হবে, যা রপ্তানি আয়কে ঝুঁকির মুখে ফেলবে। সরকার কিছু সংস্কারের উদ্যোগ নিলেও তা পর্যাপ্ত বলে মনে করা হচ্ছে না। উদাহরণস্বরূপ, বিদেশি কোম্পানিগুলোর জন্য ঋণ-ইকুইটি অনুপাত শিথিল করার প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে, যাতে তারা স্থানীয় মুদ্রায় দীর্ঘমেয়াদি ঋণ নিতে পারে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, অবকাঠামো উন্নয়ন ও নীতির ধারাবাহিকতা ছাড়া এফডিআই প্রবাহ ফিরিয়ে আনা কঠিন। ২০২৪ সালে বৈশ্বিক এফডিআই ১১% কমলেও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ১০% বৃদ্ধি করে ২২৫ বিলিয়ন ডলার অর্জন করেছে। এই অঞ্চলের শক্তিশালী অর্থনীতি, উৎপাদন খাতের সম্প্রসারণ এবং ভোক্তাবাজার উন্নয়ন বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করছে। অথচ বাংলাদেশ সেই স্রোতে পিছিয়ে।
জাতিসংঘ বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থার (আঙ্কটাড) ‘স্প্যারিং দ্য ভালনারেবল : দ্য কস্ট অব নিউ ট্যারিফ বার্ডেনস’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি এই উদ্বেগকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে যে, নতুন আমদানি শুল্কের ঢেউ বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যের গতিশীলতাকে নতুন আকার দেবে এবং অনেক উন্নয়নশীল দেশের জন্য বাণিজ্য খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে দেবে। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল অর্থনীতির জন্য এটি বৈশ্বিক বাণিজ্যে বৈষম্য বাড়ার ঝুঁকিতে ফেলছে। আঙ্কটাড ঝুঁকিপূর্ণ অর্থনীতি বলতে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি), ছোট দ্বীপ, উন্নয়নশীল রাষ্ট্র এবং স্থলবেষ্টিত উন্নয়নশীল দেশকে চিহ্নিত করেছে। যদিও এই দেশগুলো বৈশ্বিক বাণিজ্যে অতি সামান্য অংশীদার, তারাই এখন সবচেয়ে উচ্চমাত্রার শুল্ক বৃদ্ধির মুখে পড়েছে। উদাহরণস্বরূপ, এলডিসি দেশগুলোর ওপর শুল্ক এপ্রিল মাসেই দ্বিগুণ হয়ে ১৬ থেকে ৩২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা জুলাইয়ে ৪৪ শতাংশ হতে পারে। এটি বৈশ্বিক বাণিজ্য নিয়মনীতি এবং পূর্ববর্তী বাণিজ্য চুক্তিগুলোকে কার্যত উপেক্ষা করছে, যা এতদিন ধরে অগ্রাধিকারমূলক সুবিধা ভোগ করা দেশগুলোকেও ক্ষতিগ্রস্ত করছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্ক নীতি বাংলাদেশের জন্য বিশেষভাবে উদ্বেগের কারণ। 
চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা অপরিহার্য। প্রথমত, সরকারকে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য প্রধান বাণিজ্য অংশীদারদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা ও বহুমুখী ফোরামে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরে নতুন শুল্ক নীতিমালার নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে বোঝাতে হবে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) এর মতো প্ল্যাটফর্মে সক্রিয় অংশগ্রহণ করে ন্যায্য বাণিজ্য পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে হবে। দ্বিতীয়ত, বাণিজ্য বহুমুখীকরণ একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল। বাংলাদেশের উচিত শুধু মার্কিন বাজারের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে নতুন নতুন বাজারে প্রবেশাধিকার অন্বেষণ করা। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপান, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার করা যেতে পারে। আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তিগুলোতে (যেমন বিমসটেক, ডি-৮) সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আঞ্চলিক বাণিজ্য বৃদ্ধি করা যেতে পারে। তৃতীয়ত, পণ্য বহুমুখীকরণ এবং রপ্তানি সক্ষমতা বৃদ্ধি করা অত্যাবশ্যক। শুধু পোশাক খাতের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে অন্যান্য সম্ভাবনাময় খাত যেমন, ওষুধ, চামড়াজাত পণ্য, আইসিটি পরিষেবা, কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য এবং হালকা প্রকৌশল পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধিতে জোর দিতে হবে। এর জন্য পণ্যের মান উন্নয়ন, উদ্ভাবন এবং সার্টিফিকেশনে বিনিয়োগ প্রয়োজন। 
এটি পরীক্ষিত সত্য যে, উন্নয়নকামী দেশগুলোর বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে সবার আগে সুষ্ঠু ও স্থিতিশীল নীতিকাঠামোর পাশাপাশি আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। আজকের উন্নত দেশগুলোর উন্নয়ন পরিক্রমা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, তাদের প্রাথমিক পর্যায়ে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের মূলে ছিল নির্ভরযোগ্য আইনের শাসন, সম্পত্তি অধিকারের সুরক্ষা, দুর্নীতিমুক্ত পরিবেশ এবং একটি অনুমানযোগ্য অর্থনৈতিক নীতি। এসব দেশ বিনিয়োগকারীদের জন্য এমন এক পরিবেশ তৈরি করেছিল, যেখানে তাদের পুঁজি সুরক্ষিত থাকবে এবং লাভের নিশ্চয়তা থাকবে। এছাড়া প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং দক্ষ শ্রমশক্তির জোগান নিশ্চিত করাও সমান গুরুত্বপূর্ণ ছিল, যা বিনিয়োগকারীদের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে। দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতার বার্তা দিতে পারলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আকৃষ্ট হয় এবং দেশের অবকাঠামো, শিল্প ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কোনো বিনিয়োগকারীই চান না যে তার বিনিয়োগকৃত অর্থ কোনো ধরনের ঝুঁকির মুখে থাকুক।
বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক সংকট বহুমুখী। বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশের অভাব, বিদ্যমান শিল্পের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা হ্রাস, এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির ধীরগতি। মধ্যপ্রাচ্যের সংকট এবং সংরক্ষণবাদী অর্থনৈতিক প্রবণতা উভয়ই বাংলাদেশের অর্থনীতিতে চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। তবে, সঠিক কৌশল এবং সময়োপযোগী পদক্ষেপের মাধ্যমে বাংলাদেশ এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখতে পারে। এটি একটি সমন্বিত প্রচেষ্টা দাবি করে যেখানে সরকার, বেসরকারি খাত এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারদের মধ্যে সহযোগিতা অপরিহার্য। সরকারি সংস্কারের ঘোষণা ও বিনিয়োগ সম্মেলনের আয়োজন ইতিবাচক পদক্ষেপ হলেও বাস্তবে এর প্রভাব নির্ভর করবে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কমানো, শুল্ক নীতির সামঞ্জস্যতা আনা এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার উপর। টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য অর্থনীতির কাঠামোগত সংস্কার ছাড়া বিকল্প নেই।

লেখক : অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

প্যানেল

×