
ডেঙ্গু ও করোনা প্রতিরোধে জনসচেতনতার বিকল্প নেই। ডেঙ্গু একটি ভাইরাসজনিত জ্বর যা এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায়। এই মশা সাধারণত ভোরবেলা ও সন্ধ্যার পূর্বে কামড়ায়। সাধারণ চিকিৎসাতেই ডেঙ্গু জ্বর সেরে যায়, তবে অবহেলায় ডেঙ্গু জ্বর মারাত্মক হতে পারে। বর্ষার সময় এ রোগের প্রকোপ বাড়ে। এডিস মশার বংশ বৃদ্ধি রোধের মাধ্যমে ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধ করা যায়। ঘরে এবং আশপাশে যে কোনো জায়গায় পানি জমতে না দেওয়া। ফলে এডিস মশার লার্ভা জন্মাতে পারবে না। ব্যবহৃত পাত্রের গায়ে লেগে থাকা মশার ডিম অপসারণে পাত্রটি ব্লিচিং পাউডার দিয়ে ঘষে পরিষ্কার করতে হবে। ফুলের টব, প্লাস্টিকের পাত্র, পরিত্যক্ত টায়ার, প্লাস্টিকের ড্রাম, মাটির পাত্র, বালতি, টনের কৌটা, ডাবের খোসা/নারিকেলের মালা, কন্টেইনার, মটকা, ব্যাটারি শেল ইত্যাদিতে এডিস মশা ডিম পাড়ে। কাজেই এগুলোর বর্জ্য পরিষ্কারের ব্যবস্থা নেওয়া। অব্যবহৃত পানির পাত্র ধ্বংস অথবা উল্টে রাখতে হবে যাতে পানি না জমে।দিনে অথবা রাতে ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি ব্যবহার করা।
অন্যদিকে করোনার জীবাণু থেকে মুক্তি পাওয়ার সর্বোত্তম উপায় হলো হাত পরিষ্কার রাখা। সাবান এবং গরম পানি অথবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে ঘন ঘন হাত ধোয়া। মাস্ক পরা। আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে আলাদা থাকা। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হওয়া যাবে না। লক্ষণ প্রকাশ পেলে জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া। সর্বোপরি, সচেতনতা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাই হচ্ছে ডেঙ্গু ও করোনা প্রতিরোধের সর্বোত্তম উপায়।
চাষাড়া, নারায়ণগঞ্জ থেকে
প্যানেল