
বাংলাদেশ বর্তমানে ডেঙ্গু ও করোনাভাইরাসের দ্বৈত হুমকির মুখে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জুন মাসে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা ১,২০০ ছাড়িয়েছে, মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। একই সময়ে, করোনার নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে চাপে ফেলছে। সরকারের চলমান উদ্যোগ সত্ত্বেও, এই সংকট মোকাবিলায় আরও কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন।
চ্যালেঞ্জসমূহ
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ : মশা নিধন ও সচেতনতা প্রচারণা চললেও, সিটি করপোরেশন ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। জনগণের অংশগ্রহণও কম।
স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা : গ্রামীণ হাসপাতালে ডেঙ্গু ও করোনা রোগীদের জন্য পর্যাপ্ত সরঞ্জাম ও জনবল নেই। জলবায়ু প্রভাব : অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাত ও তাপমাত্রা বৃদ্ধি ডেঙ্গু মশার প্রজনন বাড়াচ্ছে।
সরকারের প্রতি প্রত্যাশা
সমন্বিত পরিকল্পনা : স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় সরকারের সমন্বিত কার্যক্রম জোরদার।
জনসচেতনতা : কমিউনিটি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সচেতনতা বৃদ্ধি।
চিকিৎসা সুবিধা : গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সরঞ্জাম ও জনবল বৃদ্ধি।
গবেষণা : ডেঙ্গু ভ্যাকসিন প্রয়োগের সম্ভাব্যতা যাচাই ও করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে গবেষণা।
ডেঙ্গু ও করোনার এই দ্বৈত সংকট জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি। সরকারের তৎপরতার পাশাপাশি জনগণের সচেতনতা ও অংশগ্রহণ অপরিহার্য। একটি সুস্থ বাংলাদেশ গড়তে সরকারের দ্রুত ও কার্যকর হস্তক্ষেপ এখন সময়ের দাবি।
উত্তর বাড্ডা, ঢাকা থেকে
প্যানেল