ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২

১১ দফা নির্দেশনা

এ.এফ.এম ফৌজি চৌধুরী

প্রকাশিত: ১৮:৫১, ২৫ জুন ২০২৫

১১ দফা নির্দেশনা

ডেঙ্গু একটি ভাইরাসজনিত রোগ। এই রোগের জীবাণুর নাম ডেঙ্গু ভাইরাস। এই ভাইরাসের চারটি প্রজাতি আছে। চার প্রকার ভাইরাসের কারণে একজন মানুষের একাধিকবার ডেঙ্গু আক্রান্তের সম্ভাবনা থাকে। দ্বিতীয় বার আক্রান্তদের শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হতে পারে। এ রোগের একমাত্র ধারক হচ্ছে মানুষ। স্ত্রী জাতীয় এডিস মশার কামড়ের মাধ্যমে এ রোগ বিস্তার লাভ করে। করোনাভাইরাসের সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে সচেতনতা। মানুষ একটু সচেতন হলেই এর সংক্রমণ থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব। সাধারণত গরম আবহাওয়ায় অর্থাৎ প্রতি বছর জুন-জুলাইয়ের দিকে করোনাভাইরাস বেশি সংক্রমিত হয়। এ বছরও তাই হয়েছে। করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট এবং সংক্রমণ বৃদ্ধির যে কোনো আশঙ্কা উদ্বেগজনক। তবে সীমিত সম্পদ ও সামর্থ্যরে মধ্যেও একটি বৈশ্বিক মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিভাগ প্রশংসনীয় সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ১১ দফা নির্দেশনাও জারি করেছে। নিদের্শগুলোর মধ্যে রয়েছে, জনসমাগম যথাসম্ভব এড়িয়ে চলা এবং রাস্তায় ও জনসম্মুখে মাস্ক ব্যবহার করা, হাঁচি কাশির সময় বাহু বা টিস্যু দিয়ে নাক মুখ ঢেকে রাখা, সাবান বা সেনিটাইজার দিয়ে ঘন ঘন হাত ধোঁয়া, অপরিচ্ছন্ন হাতে নাকে মুখে হাত না দেওয়া, আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ যথাসম্ভব এড়িয়ে চলা, জ¦র কাশি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হলে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত বাড়িতে থাকা, প্রয়োজনে নিকটস্থ হাসপাতালে ভর্তি কিংবা স্বাস্থ্য বাতায়নে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার যদিও এখনো উদ্বেগজনক নয়। তবে প্রতিবেশী দেশগুলোতে হঠাৎ করে সংক্রমণের হার অনেক বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশকে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হচ্ছে। আমাদের যেন আর কোনো লকডাউন কিংবা বৈশ্বিক বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক বিচ্ছিন্নতার সম্মুখীন হতে না হয়, সেদিকে আগেই খেয়াল রাখতে হবে। ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে জনসচেতনতা এবং স্বাস্থ্যবিধি পালনের কোনো বিকল্প নেই। করোনা সংক্রমণ এখনো উদ্বেগজনক হয়ে না উঠলেও যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি, বিকল্প ব্যবস্থা ও নীতি-নির্ধারণ করা জরুরি। 
প্রত্যেকটি জীবন অমূল্য। ডেঙ্গু ও করোনা যে আজ প্রাণঘাতী তা আর অস্বীকার করার সুযোগ নেই। তাই মানুষকে বাঁচাতে হলে এই রোগ নিয়ন্ত্রণে রাজনৈতিক সদ্দিচ্ছা, প্রশাসনিক জবাবদিহিতা এবং জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ এই তিনটি বিষয় নিশ্চিত করতে হবে। বিগত ডেঙ্গু ও করোনা মহামারির অভিজ্ঞতার আলোকে সাফল্য, ব্যর্থতাসহ আগামীর প্রস্তুতি ও পরিষেবা নিশ্চিত করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধির ওপর জোর দেওয়া প্রয়োজন এবং সবার তা মেনে চলা জরুরি। তা হলেই একদিন আমরা ডেঙ্গু ও করোনার বিরুদ্ধে বিজয়ী হতে পারব। 

মৌলভীবাজার থেকে

প্যানেল

×