ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২

মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা রোধে করণীয়

মতিলাল দেব রায়

প্রকাশিত: ২০:৪৮, ২৬ এপ্রিল ২০২৩

মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা রোধে করণীয়

মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মানুষের মূল্যবান প্রাণ নিভে যাচ্ছে, যা খুব মর্মান্তিক

প্রতিদিন সকালে পত্রিকার পাতায় চোখ রাখলে দেখা যায় দেশের বিভিন্ন শহর ও গ্রামাঞ্চলের রাস্তায় অহরহ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মানুষের মূল্যবান প্রাণ নিভে যাচ্ছে, যা খুব মর্মান্তিক। বাংলাদেশের গ্রামে-গঞ্জে দীর্ঘদিনের মোটরসাইকেল চালানোর অভিজ্ঞতা ও পর্যবেক্ষণ আমার লেখায় হয়তো বিভিন্নভাবে ফুটে উঠবে, যা বাস্তবে সমস্যা সমাধানে সহায়ক হতে পারে। এই বিশ্লেষণধর্মী আলোচনা পড়ে মোটরসাইকেল ব্যবহারে জনসাধারণের মধ্যে সাবধানতা ও সচেতনতা বৃদ্ধি হোক যাতে করে সাধারণ মানুষ নিরাপদে পথ চলতে পারে। বাংলাদেশের ঢাকা ছাড়া সকল আন্তঃনগর রাস্তা এবং গ্রামীণ রাস্তা খুবই ছোট পরিসরে তৈরি।

তাই যখন দুদিক থেকে মোটরসাইকেল এবং অন্যান্য যানবাহন চলে তখন মুখোমুখি দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকে। গ্রামের সড়কে চলাচলকারী মোটরসাইকেলের অধিকাংশ মালিকের বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকে না। ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান যে কোনো ক্রেতার কাছে ড্রাইভিং লাইসেন্স থাক বা না থাক মোটরসাইকেল বিক্রি করে থাকেন। সম্ভাব্য ক্রেতাগণ ড্রাইভিং লাইসেন্স না করা পর্যন্ত মোটরসাইকেল তালাবদ্ধ করে রাখার কথা, কিন্তু অনেকে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন না করে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে, আবেদন করা হয়েছে লিখে একটি নাম্বার প্লেট সাইকেলের পেছনে লাগিয়ে রাস্তায় চালিয়ে থাকেন। এই রকম চিত্র গ্রামের রাস্তায় নিয়মিত দেখতে পাওয়া যায়। গ্রামের যুবকগণ ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া রাস্তায় অপরিচিত লোকের সঙ্গে মোটর সাইকেলে কত বেশী গতিতে চালানো যায় তা নিয়ে প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই অসম প্রতিযোগিতার সমাপ্তি ঘটে উভয় পক্ষের প্রাণের বিনিময়ে, যা খুবই দুঃখজনক। 

মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার কারণ 
মোটরসাইকেল চালানোর জন্য আলাদা ট্রাফিক আইন বাংলাদেশে বলবৎ আছে কি না তা জানা নেই। তাছাড়া গ্রামের রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশের নজরদারি না থাকায় ট্রাফিক নিয়ম ভঙ্গ করে বিশেষ করে যুবক চালকরা বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালান এবং দুর্ঘটনা ঘটান। চালক ও তার সঙ্গে পথচারী, শিশু, বয়স্ক পুরুষ, মহিলার জীবনহানি ঘটে। দুর্ঘটনার কারণগুলো আমি এখানে উল্লেখ করছি। মোটরসাইকেল চালানোর জন্য দেশের রাস্তায় আলাদা কোন নির্ধারিত লাইন চিহ্নিত করা নেই এবং মোটরসাইকেল ঘণ্টা প্রতি কত কিলোমিটার গতিতে চালানো যাবে তা নির্ধারিত না থাকায় যে চালক যেদিকে সুযোগ পায় সেদিকে গাড়ি চালায়, তাতে দ্রুতগতিতে রাস্তার চলমান ছোট কার, মাইক্রোবাস, বাস-ট্রাকের চলাচলে বিঘœ ঘটায় এবং মোটরসাইকেলের গতি অন্যান্য বড় যানবাহনের গতির মধ্যে পার্থক্য থাকায় যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে।

মোটরসাইকেল নতুন কেনার পর এর কেপাসিটি কতটুকু, কতমাইল বেগে চালালে গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় অধিকাংশ চালক জানেন না। কোনো প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট থেকে কোনো লেসন না নিয়েই মোটরসাইকেল নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়েন এবং দুর্ঘটনা ঘটান। মোটরসাইকেল চালানো শিখানোর জন্য সরকারি-বেসরকারি কোনো প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট এখনও গড়ে উঠেনি। চালকগণ কীভাবে মোটরসাইকেল স্টার্ট দিতে হয়, কিভাবে গিয়ার পরিবর্তন করতে হয়, কিভাবে ডাউন এবং আপ রাস্তায়, কোন গিয়ারে গাড়ি চালাতে হয়, পায়ের ব্রেক কখন চাপ দিতে হয়, সিগনাল লাইটের ব্যবহার, হেডলাইট দিয়ে কিভাবে বিপরীত দিক থেকে আসা গাড়িকে সিগন্যাল দিতে হয়, পেট্রোল শেষ হয়ে গেলে কিভাবে রিজার্ভে সংরক্ষিত তেল থেকে তেল ব্যবহার করে জরুরি সময়ে মোটরসাইকেল চালাতে হয়, ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে না জেনেই গাড়ি চালান।

ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে অজ্ঞ থাকায় দুর্ঘটনায় পড়েন অধিকাংশ বাইক ব্যবহারকারীগণ। যে সকল রাস্তা ট্রেন লাইন ক্রস করে যেয়ে হয় সে রেলক্রসিংয়ে প্রায়ই মোটরসাইকেল ও অন্যান্য যানবাহনের সঙ্গে দুর্ঘটনা ঘটে, তাই সকল রেলওয়ে ক্রসিংয়ে সার্বক্ষণিক পাহারার জন্য রেলওয়ে পুলিশকে দায়িত্ব দিতে হবে। রেলওয়ে পুলিশ সারাদিন বসে বসে সময় কাটান, তাই তাদের এই দায়িত্ব দিলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে মনে হয়। 
প্রশিক্ষণহীন বাইকাররা দুর্ঘটনায় পড়ে যদি শারীরিকভাবে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত না হন তাহলে এক সপ্তাহ নীরব থেকে পরবর্তীতে আবার দুর্বার গতিতে মোটরসাইকেল চালান। অনেক সময় প্রতিবেশী, বন্ধু-বান্ধব বা কোনো কোনো ক্ষেত্রে নিজের ভাই চাচা-চাচি তাদের পেছনের সিটে বসিয়ে চালান এদের অধিকাংশ মোটরসাইকেলের পেছনের সিটে বসে গাড়িতে দুদিকে দুই পা ঝুলিয়ে সামনে বসা চালকের ওপর চাপ দিয়ে বসে থাকেন এবং চালককে বিব্রতকর অবস্থায় গাড়ি চালাতে বাধ্য করেন। মোটরসাইকেলের গতি যখন বেশি এবং রাস্তায় যদি গর্ত বা পানি থাকে তখন হঠাৎ গাড়ির গতি অনেক কমিয়ে দিতে হয় তখন যাত্রীদের ধাক্কা চালকের ওপর পড়ে সে সময় ড্রাইভার ধাক্কা সহ্য করে নিজের সিটে স্বাভাবিক নিয়মে বসে থাকেন তাহলে কোনো সমস্যা হয় না।

আর যদি ড্রাইভারের অমনোযোগিতার কারণে ধাক্কার চাপ সহ্য বা শরীরের ভারসাম্য রক্ষা করতে সক্ষম না হন তখন পেছনে বসা যাত্রীগণ সঙ্গে সঙ্গে মোটরসাইকেল থেকে সিটকে পড়েন, তখন যদি খুব দ্রুতগতিতে আসা কোনো বাস বা ট্রাক গতি নিয়ন্ত্রণ না করতে পারে তখন মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। যারা মোটরসাইকেল চালিয়েছেন এমন কোনো বন্ধু-বান্ধব মোটরসাইকেলের চালকের পেছনে বসেন তাহলে এই যাত্রী নিজের শরীরের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন, কিন্তু যারা মোটরসাইকেল কোনোদিন চালাননি এবং পেছনে কোনোদিন বসে সাইকেলে ভ্রমণ করেননি তারা মোটরসাইকেলে চালকের পেছনে বসে কোথাও যান তখন তিনি চালকের মোটরসাইকেলের গতির সঙ্গে শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে পারেন না যার জন্য অনেক সময় চালককে দুর্ঘটনায় পড়তে হয়।

অধিকাংশ নব্য বাইকাররা খেলার মাট, স্কুলের মাটে বন্ধু-বান্ধবকে নিয়ে গিয়ে পুরনো বাইক দিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকেন। সঙ্গে যাওয়া বন্ধু শুধুমাত্র নিজে চালানোর অভিজ্ঞতা নিয়ে বন্ধুকে সাহায্য করতে যান। তার না আছে মোটরসাইকেলের বিভিন্ন পার্টস, ব্রেক, পায়ের ব্রেক, হাতের ব্রেক, গিয়ার পরিবর্তন করা, গাড়ি স্টার্ট দেওয়া, ইঞ্জিন নিউট্রেল করা, ইতাদি সম্পর্কে ধারণা। প্রথম গিয়ার পরিবর্তন করে পরবর্তীতে দ্বিতীয় তৃতীয় গিয়ার পরিবর্তন করার নিয়ম না জেনেই মোটরসাইকেলের ওপর বসেই ইঞ্জিন স্টার্ট দেন এবং ইচ্ছামতো গিয়ার পরিবর্তন করেন, তখন ইঞ্জিনের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হয় এবং কালো ধোঁয়া বের হতে থাকে। এভাবে মোটরসাইকেল একদিন চালিয়ে রাস্তায় উঠে যান, যা খুবই ভয়ংকর ও বিপজ্জনক। 

দুর্ঘটনা প্রতিরোধে করণীয়
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা হলে মাথায় বেশি আঘাত লাগে এবং সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা না দিলে অধিকাংশ বাইকাররা মৃত্যুবরণ করেন যদি শরীরের অন্যান্য স্থানে আঘাত লাগে তখন চিকিৎসা করলে ভালো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। গ্রাম ও শহরের সকল যুবক-যুবতী পুরুষ মহিলাকে রাস্তায় মোটরসাইকেল চালাতে হয় তাদের নিজেদের নিরাপত্তা ও সড়কে অন্যদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য মাথায় হেলমেট ব্যবহার করতে হবে। এতে মূল্যবান প্রাণ বাঁচবে এবং দুর্ঘটনা থেকে নিজের প্রাণ রক্ষা করা যাবে। রাস্তায় দেশের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের সঙ্গে স্লোগান দিলে সড়ক নিরাপদ হবে না যতদিন পর্যন্ত দুর্ঘটনার মূল কারণ চিহ্নিত করে, তার সমাধানের ব্যবস্থা না করা হয়।

আমরা শহরে ও মফস্বলের বিপণি বিতানগুলোর সামনে অনেক পুরুষ মহিলা নিজেদের জন্য কাপড় ও প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে আসেন তাদের অধিকাংশ মা-বোনদের মোটরসাইকেলের পেছনে বসিয়ে সঙ্গে একটি ছোট শিশুকে বহন করে নিয়ে আসেন আরও আশ্চর্যের বিষয় বেশির ভাগ মহিলা শাড়ি পরে মোটরসাইকেলের একদিকে দুই পা শূন্যে ঝুলিয়ে দিয়ে এবং চালকের পেছনে ছোট শিশুকে বসিয়ে চালকের বাম দিকে হেলান দিয়ে এমন এক ভঙ্গিমায় বসে থাকেন, যা দেখে একজন সচেতন পথচারীও ভয় পেয়ে যেতে পারেন। অনেক মোটরসাইকেলের দ্বারা যাত্রী বহন করে অর্থ উপার্জন করে থাকেন তাই এ ব্যাপারে জাতীয় সংসদে মোটরসাইকেল চালানোর নিয়ম-কানুনসহ একটি নতুন ট্রাফিক আইন তৈরি করে বাস্তবায়ন করলে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা কমে যাবে।

আরও কয়েকটি পর্যবেক্ষণ আছে, তা হলো মোটরসাইকেলের চালকের কিছু শারীরিক যোগ্যতা নির্ধারিত করে দিতে হবে। লাইসেন্সের আবেদন করার পর সকল আবেদনকারীদের ডোপ টেস্ট করা বাধ্যতামূলক করতে হবে। 
আরেকটি খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো বিভিন্ন কোম্পানির মোটরসাইকেলের উচ্চতায় ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়, বাস্তবতা হলো চালক যদি মোটরসাইকেলের সিটে বসে দুদিকে পা দিয়ে মাটি স্পর্শ করতে পারেন, সেই সিটের উচ্চতা হবে ওই ব্যক্তির জন্য সঠিক। কোন সচল মোটরসাইকেল ট্রাকে করে কোনো চালক এক জেলা থেকে অন্য জেলায় নিয়ে যেতে পারবেন না। ঢাকাসহ সকল শহর এলাকায় ঘণ্টায় ২৫ কিলোমিটার এবং গ্রাম এলাকায় ঘণ্টায় ৩৫ কিলোমিটার গতি বেগের বেশি গতিতে মোটরসাইকেল চালাতে পারবেন না। 

চালকের জন্য বাধ্যতামূলক
হেলমেট ব্যবহার বাধ্যতামূলক। মোটরসাইকেল চালককে প্যান্ট পরে এবং সম্পূর্ণ পা ঢাকা জুতা পরতে হবে। কোনো অবস্থায় লুঙ্গি, ধুতি, শাড়ি স্যান্ডেল পরে সাইকেল চালানো যাবে না। মোটরসাইকেলে বসার আগে মবিল, তেল ঠিকমতো আছে কি না, চাকাতে ঠিকমতো বাতাস আছে কি না দেখে নিতে হবে। তাছাড়া ব্রেক কাজ করছে কি না, টুলবক্স ঠিক জায়গায় রক্ষিত আছে কি না, প্লাগ পরিষ্কার করা হয়েছে কি না ইত্যাদি বিষয়গুলো চেক করে যাত্রা করা উচিত। মোটরসাইকেল কেনার যোগ্যতা অর্জন করার প্রথম শর্ত হবে ক্রেতার প্রমাণিত মাসিক আয় থাকতে হবে। মোটরসাইকেল চালকের উচ্চতা ৫-১০ ইঞ্চি হতে হবে। মাদক সেবনকারী মোটরসাইকেল ব্যবহারের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।

মোটরসাইকেলে শিশুকে বহন করা যাবে না। ফেরিতে পারারারের সময় মোটরসাইকেল আরোহীকে মোটরসাইকেলের ওপর চালকের মতো ফেরিতে থাকা অবস্থায় বসে থাকা চলবে না। মোটরসাইকেল কেবল যাতায়াতের জন্য ব্যবহার হবে। মোটরসাইকেল দিয়ে কোনো রাজনৈতিক মিছিল করা যাবে না। মোটরসাইকেল থেকে কালো ধোঁয়া বের হলে মোটরসাইকেল রাস্তা থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে। পরিবেশ দূষণে ভূমিকা রাখে এমন কোনো কিছু ব্যবহার করা যাবে না। 

সরকারের দায়িত্ব
সরকারকে ট্রাফিক আইন তৈরি করে তা বাস্তবায়নের জন্য যাবতীয় সহযোগিতা করতে হবে। শহরে এবং গ্রামে বাছাইকৃত স্থানে মোটরসাইকেলের পার্কিংয়ের জন্য স্থান নির্ধারিত করে দিয়ে অবকাঠামো তৈরি করে দিতে হবে।  মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহতদের  পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিতে হবে। ঢাকা চট্টগ্রাম সিলেটসহ অন্যান্য শহরে কয়টি মোটরসাইকেল চলবে তা জনসংখ্যা অনুপাতের ওপর ভিত্তি করে শহরবাসীকে আগে থেকেই জানিয়ে দিতে হবে। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তির নাম ও ঠিকানা স্থানীয় প্রশাসনের খাতায় লিপিবদ্ধ রাখতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট কেউ চাহিবা মাত্র যাতে সরবরাহ করতে পারেন। 
প্রতি বছর মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের ঠিকানাসহ নামের তালিকা জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশ করতে হবে। দেশের যানবাহনের চাপ এবং যানজটের কথা মাথায় রেখে এবং দেশের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য এক জেলা থেকে অন্য জেলায় মোটরসাইকেল যাতায়াত বন্ধ করে দিতে হবে। ঢাকা শহরে মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল, রিকশার জন্য জন্য পরীক্ষামূলক আলাদা লাইন চালু করা যেতে পারে। এ ব্যাপারে সিটি করপোরেশনকে সম্পূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে হবে। 
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রতিদিন মানুষের মূল্যবান জীবন চিরতরে নিভে যাচ্ছে এবং পরিবারকে পঙ্গু করে দিচ্ছে। বিশেষ করে দেশের যুব সমাজ এই মোটরসাইকেল বেশি ব্যবহার করে থাকেন এবং তাদের অধিকাংশ দুর্ঘটনায় প্রতিনিয়ত মৃত্যুবরণ করছেন, যা দেশের ও সমাজের উন্নতিতে একটি বিরাট জাতীয় সমস্যা হয়ে উঠেছে। তাই বিষয়টি নিয়ে অবিলম্বে সরকারী পদক্ষেপ না নিলে জাতির বিরাট ক্ষতি হয়ে যাবে। 
    লেখক : সাংবাদিক, নিউইয়র্ক প্রবাসী

×