
ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বের সবচেয়ে বসবাসযোগ্য শহরগুলোর একটি তালিকা প্রকাশ করেছে দ্য ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (EIU)। ২০২৫ সালের এই Global Liveability Index রিপোর্টে মোট ১৭৩টি শহরকে ৫টি মূল ক্যাটাগরিতে মূল্যায়ন করা হয়েছে: স্থিতিশীলতা, স্বাস্থ্যসেবা, সংস্কৃতি ও পরিবেশ, শিক্ষা এবং অবকাঠামো।
এই তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের কোনও শহরই শীর্ষ ২০-এ স্থান পায়নি, তবে হাওয়াইয়ের হোনলুলু ২৩ নম্বরে উঠে এসে টানা দ্বিতীয়বারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সেরা শহর হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ পাঁচ শহর
এই তালিকায় হোনলুলুর পরেই রয়েছে আটলান্টা, যা তালিকায় ২৯তম অবস্থানে রয়েছে। এরপর রয়েছে পিটসবার্গ (৩০তম), সিয়াটল (৩৪তম) এবং ওয়াশিংটন ডিসি (৩৮তম)। অথচ নিউইয়র্ক ও লস অ্যাঞ্জেলেসের মতো বড় শহরগুলো যথাক্রমে ৬৯তম ও ৫৭তম স্থানে এসেছে।
বিশ্লেষণ বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের ২১টি শহরের মধ্যে ১৪টি শহরের র্যাঙ্ক কিছুটা বেড়েছে, তবে তা অনেকটাই অন্যান্য শহরের অবস্থান অবনতি হওয়ায়।
কেন পিছিয়ে পড়ছে আমেরিকার বড় শহরগুলো?
EIU রিপোর্ট অনুযায়ী, শিক্ষা খাতে মার্কিন শহরগুলো ভালো স্কোর করেছে, কিন্তু সহিংসতা ও সামাজিক অস্থিরতা তাদের র্যাঙ্কিং নিচে নামিয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়,
“যুক্তরাষ্ট্রে দুর্বল বন্দুক নিয়ন্ত্রণ আইন রয়েছে, ফলে অনেক অপরাধই সহিংস ও প্রাণঘাতী, যা সামাজিক সংহতিকে দুর্বল করে দেয়।”
গবেষকরা মনে করছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের প্রস্তাবিত বাজেট কাটছাঁট—বিশেষ করে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে—আগামীতে মার্কিন শহরগুলোর অবস্থান আরও খারাপ করতে পারে। রিপোর্টে লেখা হয়েছে, “এই ধরনের পরিকল্পনা অঞ্চলটিকে ভবিষ্যতের রিপোর্টে আরও অবনতির দিকে নিয়ে যেতে পারে।”
বসবাসযোগ্য শহরগুলোর তালিকায় শীর্ষ শহরগুলো
বিশ্ব তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ডেনমার্কের কোপেনহেগেন, যা স্থিতিশীলতা, শিক্ষা ও অবকাঠামোতে সর্বোচ্চ স্কোর করেছে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা ও সুইজারল্যান্ডের জুরিখ (যুগ্মভাবে)। তালিকায় অস্ট্রেলিয়ার তিনটি শহরও জায়গা করে নিয়েছে—মেলবোর্ন (৩য়), সিডনি (৬ষ্ঠ), এবং অ্যাডেলেড (৯ম)।
অন্যদিকে, সিরিয়ার রাজধানী ডামাস্কাস তালিকার একেবারে শেষে (১৭৩তম) অবস্থানে রয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়, “সরকার পরিবর্তনের পরেও গৃহযুদ্ধের ক্ষত এখনো সারেনি, বসবাসযোগ্যতার দিক থেকেও কোনো উন্নতি হয়নি।”
মুমু ২