ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২

বিশেষ খাদ্য সহায়তা

প্রকাশিত: ২১:১৩, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২

বিশেষ খাদ্য সহায়তা

বর্তমান সময়ে আকস্মিকভাবে কিছুটা অস্থির হয়ে উঠেছে নিত্যপণ্যের বাজার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে কাজ করছে খাদ্য ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এ লক্ষ্যে চলমান ওএমএস কার্যক্রম চালিয়ে নেয়ার পাশাপাশি সরকারীভাবে বিভিন্ন প্যাকেজ কর্মসূচী হতে নেয়া হয়েছে। এবার রমজানে কোটি পরিবারকে ভর্তুকিতে খাদ্য সহায়তা দেয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে তালিকাও প্রায় চূড়ান্ত করা হয়েছে। কোনভাবেই নিম্ন আয়ের মানুষ যাতে কষ্ট না পায় সেজন্য সরকার আরও কিছু প্যাকেজ কর্মসূচী রমজানের আগেই শুরু করবে। জনকল্যাণমূলক সরকারের লক্ষ্যই হচ্ছে দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সার্বিক সহায়তা দান। দেশে প্রথম করোনারোগী শনাক্তের পর থেকে মানুষ বাঁচাতে একের পর এক কর্মসূচী গ্রহণ করে চলেছে মানুষের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ সরকার। সরকারপ্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সার্বক্ষণিকভাবে কাজ করে চলেছেন। একের পর এক পরিকল্পনা গ্রহণ করছেন, পাশাপাশি চলছে সেসব বাস্তবায়নের কাজ। করোনায় বিপর্যস্ত অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে মৌলিক মানবিক প্রয়োজন মেটানোর লক্ষ্যে মানুষের জীবন বাঁচাতে, তাদের মুখে হাসি ফোটাতে একের পর এক কল্যাণমুখী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। গত বছরই রেশন কার্ডের মাধ্যমে দুই বেলা দুই মুঠো খাওয়ার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল দুস্থ অসহায় দরিদ্র মানুষের জন্য। আমরা দেখেছি ঈদ উপলক্ষে দুই কোটি দরিদ্রের হাতে পৌঁছে দেয়া হয়েছিল নগদ টাকা। এককালীন আড়াই হাজার করে এই টাকা পেয়েছে ৩৫ লাখ পরিবার। এবারের রমজানে একটু ভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। এবার এক কোটি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে। এটি নিঃসন্দেহে যুগান্তকারী পদক্ষেপ। সরকার নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আনার জন্যও পদক্ষেপ নিয়েছে। কোনভাবেই যেন নিম্ন আয়ের মানুষ কষ্ট না পায় সেজন্য সরকার সতর্ক ও সচেতন। রমজান সামনে রেখে নিত্যপণ্যের দাম আর না বাড়ার নিশ্চয়তা ইতোমধ্যেই দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী। মার্চ থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচী শুরু করা হচ্ছে। তখন ৫০ লাখ পরিবার ৩০ কেজি করে চাল পাবেন। এপ্রিলেই উঠবে নতুন বোরো ধান। আশা করা যায় এর মধ্যেই চালের দাম কমে আসবে। সরকারের নিয়মিত খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে ওএমএস বা সুলভ মূল্যে খাদ্যপণ্য বিক্রির ব্যবস্থা। দেশব্যাপী দুই হাজারের বেশি কেন্দ্রে ওএমএস চালু আছে। গত মাস থেকেই টিসিবির মাধ্যমে নিত্যপণ্য বিক্রির পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। টিসিবির মাধ্যমে দেয়া হবে তেল, চিনি, ডাল, ছোলা, পেঁয়াজ ও খেজুরের মতো সামগ্রী। সার্বিক বিচারে বলা যায়, নিম্ন আয়ের মানুষের খাদ্যচাহিদা মেটাতে যা যা করণীয় সরকার সেসবই করছে। মানুষের প্রতি দায়বদ্ধ সরকার তাই বিপদের দিনে বড় ভরসার জায়গা হয়ে উঠেছে। তবে একই সঙ্গে এ কথাও বলা প্রয়োজন যে, মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের নতুন কোন সিন্ডিকেট যাতে গড়ে উঠতে না পারে সেজন্য কঠোর নজরদারি বাড়ানো প্রয়োজন। একই সঙ্গে মজুতদারি ঠেকাতে নিয়মিত অভিযান চালানোও জরুরী।
×