
ছবিঃ সংগৃহীত
ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান সংঘর্ষের কারণে মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে ভ্রমণ ও যোগাযোগ মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। পাকিস্তান সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে, ইরান ও ইসরায়েল উভয়ের আকাশসীমা বন্ধ, বহু আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল বা স্থগিত হয়েছে।
পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইরানের সঙ্গে তাদের সব সীমান্ত অস্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। চাগাই জেলার এক সীমান্ত কর্মকর্তা আত্তাউল মুনিম বলেন, “পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ইরানে প্রবেশ বন্ধ রাখা হয়েছে।” বেলুচিস্তানের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কাদির বখশ পিরকানি জানান, ৯০০ কিমি দীর্ঘ এই সীমান্তে সব সীমান্ত চৌকি বন্ধ করা হয়েছে।
এর আগে রোববার পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও উপপ্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার জানিয়েছেন, ইরান থেকে ৪৫০ পাকিস্তানি জাইরিনকে নিরাপদে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। পাশাপাশি ইরান ও ইরাকে থাকা আরও নাগরিকদের ফিরিয়ে আনতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। প্রথম দফায় ১৫৪ জন শিক্ষার্থীকে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। আরও জানান, ইরাকের আকাশসীমা বন্ধ থাকায় সেখানে আটকে পড়া পাকিস্তানিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে দূতাবাস। নিরাপদ অবস্থানের জন্য স্থানীয়ভাবে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
এছাড়া ইসরায়েল ১৩ জুন থেকে তার আকাশসীমা বন্ধ রেখেছে। তেলআবিবের বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সব ধরনের উড্ডয়ন ও অবতরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ওইদিন ইসরায়েল ইরানের উপর ব্যাপক বিমান হামলা চালায়, যেখানে তেহরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনাসহ ১০০টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়। এতে ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ, রেভল্যুশনারি গার্ডের প্রধান এবং শীর্ষ পারমাণবিক বিজ্ঞানীরা নিহত হন।
এর জবাবে ইরান ইসরায়েলের দিকে ১০০টিরও বেশি ড্রোন ছোড়ে, যেগুলোর অনেকগুলো প্রতিহত করা হয় বলে জানায় আইডিএফ (ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী)। ইরানের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আকাশসীমা ‘পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত’ বন্ধ রাখা হবে।
সূত্রঃ আল জাজিরা
নোভা