ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১২ জুন ২০২৫, ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

সংস্কারে জনগণের সিদ্ধান্তের বদলে কমিশন কেন? যা বললেন ড. ইউনূস

প্রকাশিত: ১৭:৩০, ১১ জুন ২০২৫

সংস্কারে জনগণের সিদ্ধান্তের বদলে কমিশন কেন? যা বললেন ড. ইউনূস

ছবি:সংগৃহীত

"এই নির্বাচন শুধু একটি সরকার গঠনের জন্য নয়, বরং একটি নতুন বাংলাদেশ তৈরির জন্য।" ,  লন্ডনের চ্যাথাম হাউজে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

 

 

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, "আমরা একটি উত্তেজনাকর সময় পার করছি। এই উত্তেজনাকে আমরা কাজে লাগাতে চাই, আর একটি নতুন বাংলাদেশ নির্মাণে রূপান্তর করতে চাই। আমাদের লক্ষ্য শুধু নিয়মিত ভোট নয়, বরং ভোটের মাধ্যমে একটি নতুন আদর্শিক রাষ্ট্র গঠন।"

তিনি বলেন, “যেদিন আমরা দায়িত্ব নিই, যারা রক্ত দিয়েছিল, সেই তরুণদের স্বপ্নের প্রতি দায়বদ্ধ ছিলাম আমরা। আমরা তাদের স্বপ্ন ও ইচ্ছাকে সম্মান জানিয়েছি। এখন সময় হয়েছে বিশ্ববাসীকে বিদায় জানিয়ে নতুন এক বাংলাদেশ গড়ে তোলার।”

 


নতুন বাংলাদেশের রূপরেখা দিতে গিয়ে ইউনূস বলেন, এই রূপান্তরের ভিত্তি হবে তিনটি স্তম্ভের ওপর—প্রথমটি হলো সংস্কার। তিনি বলেন, “আমরা আর সেই পুরনো প্রতিষ্ঠানগুলোতে ফিরতে চাই না যেগুলো সমস্যার জন্ম দিয়েছে। আমাদের সকল প্রতিষ্ঠান সংস্কারের আওতায় আনতে হবে।”

এই উদ্দেশ্যে অন্তর্বর্তী সরকার বিভিন্ন খাতে একাধিক কমিশন গঠন করে। নির্বাচন, সংসদ, সংবিধান, সিভিল সার্ভিসসহ প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় কাঠামো নিয়ে কমিশনগুলো তাদের পর্যবেক্ষণ ও সুপারিশ জমা দিয়েছে। এসব সুপারিশ আমূল পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।


তিনি জানান, সুপারিশ বাস্তবায়নের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য জরুরি। সে কারণেই গঠিত হয়েছে ‘ঐক্যমত্য গঠন কমিশন’। এই কমিশনের দায়িত্ব, সকল রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের একত্র করে আলোচনার মাধ্যমে সর্বজনস্বীকৃত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো।

তবে ইউনূস স্বীকার করেন, "বাংলাদেশের রাজনীতিতে এমন ঐকমত্য তৈরি করা সহজ নয়। অনেক রাজনৈতিক নেতা হয়তো বলবেন, 'ভোটারদের উপর আস্থা রাখুন।' কিন্তু বাস্তবতা হলো, ভোটদান প্রক্রিয়া কখনও কখনও অর্থের বিনিময়ে বিকৃত হয়। তাই আমরা চাচ্ছি একটি পরিশীলিত ও নৈতিক ভিত্তির ওপর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে।"

 

 

তিনি বলেন, "আমাদের চেষ্টার মূল লক্ষ্য, একটি বিশ্বাসযোগ্য, কার্যকর এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচনী প্রক্রিয়া তৈরি করা, যা দেশের প্রতিটি নাগরিকের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাবে।"

চ্যাথাম হাউজে দেওয়া এই বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও ভবিষ্যৎ রাজনীতির রূপরেখা তুলে ধরেন, যা দেশের রাজনীতিতে একটি ইতিবাচক পরিবর্তনের বার্তা বহন করে।

 

 

সূত্র:https://youtu.be/qjkCbpbZhGM?si=ULoFIShUf-hj37iq

ছামিয়া

আরো পড়ুন  

×