ছবি: সংগৃহীত
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন বলেছেন, অবিলম্বে শপথ গ্রহণের ব্যবস্থা না করা হলে, তিনি নিজেই ভোটারদের উপস্থিতিতে শপথ গ্রহণ করে চেয়ারে বসবেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, সিটি করপোরেশনকে স্থবির করে ফেলার মাধ্যমে নগরভবনে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে, যা বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টার অবহেলার ফল।
মঙ্গলবার (৩ জুন) রাজধানীর গুলিস্তানে নগর ভবনে মেয়র পদে শপথ পড়ানোর দাবিতে আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জুয়েল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি ডা. জাহেদুল কবির জাহিদ ও ছাত্রদলের সহসভাপতি ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল প্রমুখ।
ইশরাক হোসেন বলেন, মেয়রের পদে বসানোর ক্ষেত্রে যে টালবাহানা করা হচ্ছে, তাতে সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে জনমনে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, নগর ভবন কীভাবে চলবে তা ঢাকাবাসী নির্ধারণ করবে; কোনো বহিরাগত উপদেষ্টা বা প্রশাসক দিয়ে এটি পরিচালনা করতে দেওয়া হবে না।
তিনি আরও জানান, ঈদ সামনে রেখে জনদুর্ভোগ বিবেচনায় নগর ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। ঈদের পর দুর্বার আন্দোলনের ঘোষণা দেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতি অভিযোগে বিএনপি প্রার্থী ইশরাক হোসেন নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। ২০২৫ সালের ২৭ মার্চ রায় দিয়ে তাকে মেয়র ঘোষণা করা হয়। এরপর ২৭ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশ করে। তবে আইনি জটিলতার কারণে তাকে শপথ পড়ানো হয়নি। গত ২ জুন হাইকোর্টে রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শপথ গ্রহণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন।
ইশরাক হোসেন বলেন, "মেয়র হবো কিনা সেটি দলীয় সিদ্ধান্ত।" তিনি আরও বলেন, "আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি, তবে শপথ গ্রহণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দলীয়ভাবে নেওয়া হবে।"
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা চলতি বছরের জুনে। আইন অনুযায়ী, মেয়াদ শেষের আগের তিন মাসে (এপ্রিল-জুন) নতুন নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। তবে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করা হয়েছে। এখন প্রশ্ন উঠেছে, শপথ গ্রহণের পর তিনি কতদিন মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
শিহাব
